শিরোনাম
বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : ফজলুর রহমান বাবু

দর্শক প্রশংসা একটা বড় পাওয়া

দর্শক প্রশংসা একটা বড় পাওয়া

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের জাঁদরেল অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। ‘মনপুরা’, ‘হালদা’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘স্বপ্নজাল’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় হয়েছে প্রশংসিত। সম্প্রতি অভিনয়ের জন্য ২য় বারের মতো অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন?

জি,ভালো আছি।

 

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

অভিনয় নিয়েই যত ব্যস্ততা। বেশ কিছু নাটক ও সিরিয়ালের কাজ করছি।

 

এইবার দিয়ে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন। কেমন লাগছে?

জাতীয় পুরস্কার একটি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। একেবারে যেটা প্রত্যাশা করিনি সেই জায়গা থেকেই পুরস্কারটি পেয়েছি। আসলে আমার অভিনয় বা চলচ্চিত্র যারা দেখেছে, তারা যদি মনে করে আমি সেই চলচ্চিত্র অথবা চরিত্রের জন্য পুরস্কার পাব তাহলে সেটাই আসল প্রাপ্তি। আমি মনে করি, যে যেটার প্রাপ্য তাকে সেভাবেই সম্মানিত করা উচিত।

 

‘স্বপ্নজাল’ ছবিটিতে আপনার অভিনয়ের জন্য দর্শকরা অনেক প্রশংসা করেছে...

দর্শক প্রশংসা একটা বড় পাওয়া। আমার কাছে এটা সম্মানের ও অনুপ্রেরণার। আয়নাল গাজী নামে একজন নেগেটিভ চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। তবে ‘মনপুরা খ্যাত নির্মাতা’ নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের কাছে আমার যেমন ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল ঠিক তেমনি দর্শকদেরও ছিল। দীর্ঘ নয় বছর পর তিনি ‘স্বপ্নজাল’ নির্মাণ করেছেন।

আমার তো মনে হয়,‘মনপুরা’ থেকে ‘স্বপ্নজাল’ অনেক ভালো হয়েছে। একেক সময় বাস্তবতা একেক রকম থাকে। ছবিতে আয়নাল গাজীর সব অপকর্মের দোসর থাকে ইরেশ যাকের। সেও দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। এর আগেও দর্শক আমাকে ‘শঙ্খনাদ’ ছবিতে কাফনের কাপড় চোর হিসেবে, অজ্ঞাতনামায় একজন সহজ-সরল বাবা হিসেবে, গহীন বালুচরে অন্যভাবে দেখেছে। দর্শক যে আমাকে গ্রহণ করতে পেরেছে এই জন্য আমি খুবই আনন্দিত। দিনের শেষে কিন্তু বাঙালি দর্শকরা গল্প দেখতে চায়।

 

‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে কার অভিনয় বেশি ভালো লেগেছে?

ছবির প্রতিটি চরিত্রই বেশ ভালো করেছে; বেশিও না কমও না। তবে বিশেষভাবে বলতে গেলে আমি ছবির নায়ক রোহানের কথাই বলব। আমার জানা মতে, এর আগে সে কোনো নাটক বা ছবিতে কাজ করেনি। আর পরীর অভিনয় দেখে আমি তো খুবই অবাক হয়েছি। পরী যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছে তার নাম শুভ্রা। সাধারণত আমাদের কমার্শিয়াল ছবিগুলোতে নায়িকাদের মেকআপ, গেটআপ, অভিনয় সব মিলিয়ে অন্যরকম থাকে। কিন্তু পরীকে দেখে আমার একবারের জন্যও মনে হয়নি। এর আগে সে ১৫-১৬ মেইনস্টিম ছবিতে অভিনয় করেছে। ওকে দেখে মনে হয়েছে যে, আমাদের প্রতিবেশী কোনো সুন্দরী মেয়ে; যে কিনা মফস্বলে থাকে, একটু গান করে, পড়াশোনা করে। পরীর মাঝে শুভ্রা চরিত্রটি বেশ ফুটে উঠেছে। আর ইরেশ ছোট্ট একটি চরিত্রে কি দুর্দান্ত অভিনয় করেছে!

 

আপনি তো একজন কণ্ঠশিল্পীও... 

আসলে গান আমার পেশা নয়। আমার গান গাইতে ভালো লাগে। আমি অনুরোধের গানগুলোই মূলত করেছি। তবে দিন শেষে অভিনয় নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

 

অভিনয়ে এত বৈচিত্র্যতা! কীভাবে পারেন?

আমি অভিনয় করলে বিশ্বাসযোগ্যভাবে করার চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রে আমি নিজেকে একজন সৌভাগ্যবান মানুষ মনে করি। কারণ, আমি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি।

 

ইউটিউবনির্ভর নাটকের ভবিষ্যৎ কী?

আমি কিন্তু এটাকে ভালোভাবেই দেখছি। নতুন নতুন মাধ্যম, প্রযুক্তি যেমন বের হবে তেমনি কাজের ক্ষেত্র বাড়বে। এখন তো টেলিভিশনের সঙ্গে ইউটিউবও একটা চ্যানেল। সব দর্শক তার রুচি এবং সময় মতো সব দেখবে। ভবিষ্যতে ইউটিউবের মাধ্যমেই সব নাটক, চলচ্চিত্রের প্রচার বাড়বে বলে আমার ধারণা।

সর্বশেষ খবর