প্রেমিকপুরুষ শাকিব খানের রোমান্সে-ভরা মনকে নাকি বসন্তের মাতাল হাওয়া আবার উসকে দিয়েছে। এবার এই সুদর্শন নায়কের ভালোবাসার তীর গিয়ে বিঁধেছে টালিগঞ্জের কন্যা শ্রাবন্তীর হৃদয়ের গভীরে। দুজনের মনের উষ্ণতার পারদ লাফিয়ে উঠেছে বলে কানে কানে বলছে দুষ্ট বাতাস। বছর দুয়েক আগে দুজন জুটি বাঁধেন ‘শিকারি’ ছবিতে। তখন থেকেই নাকি শ্রাবন্তীর মনটি রীতিমতো শিকার করে বসেছিলেন পাকা মন-শিকারি শাকিব খান। শিকারি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে দুজন যখন চোখাচোখি হয়েছিলেন তখনই নাকি শ্রাবন্তীর মায়াবি চোখের গভীরে ডুবে গিয়েছিলেন রোমান্স-বয় শাকিব খান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একই বৃত্তের কাজে বন্দী থাকলেও শ্রাবন্তীর চোখ-ধাঁধানো রূপের আলোয় নিজেকে ঝালিয়ে নিয়ে কাজের প্রতি এক্সট্রা কেয়ারিং হয়ে ওঠেন শাকিব। ঘড়ির কাঁটা মেপে সুয্যি মামা জাগার আগে ঘুমের বিছানা ছেড়ে নিজের চিরচেনা রূপের আড়ষ্টতা ভাঙতে উদ্যমী হয়ে ওঠেন এই প্রেমিক-পুরুষ। সুইমিং, জিম, জগিং, ডায়েট কন্ট্রোল, ঘণ্টা বাজার আগেই ক্যামেরার সামনে সুবোধ বালকের মতো দাঁড়িয়ে যাওয়া—মানে এককথায় বেশ লক্ষ্মী ছেলে হয়ে ওঠেন এই রমণীমোহন নায়ক। আর ফলাফলটা একেবারে ‘এ’-প্লাস পাওয়ার মতো। শিকারি ছবিতে দর্শক পেল এক নবরূপের রঙিলা শাকিবকে আর এই মন উচাটন নায়ক স্নাত হলেন শ্রাবন্তীর হরিণী চোখের আলোতে। দুজনের মনের কাটাকাটি আর চোখের চোখাচোখিতে তাদের ঘিরে বেজে উঠল ‘ও ছুড়ি তোর বিয়ে হবে ঘোমটা মাথায় দিয়ে, ছাদনা তলায় গিয়ে...’ মন রাঙা করা এমন গানে ভালোবাসা উবুঝুবু প্রেমিক শাকিব গেয়ে ওঠেন ‘বিয়ের পিঁড়িতে আর স্বর্গের সিঁড়িতে আজকাল পিরিত কাঁঠাল মিষ্টি লাগে তাই। সত্যি মিষ্টি হয়ে উঠল দুজনার দুটি বাধা না-মানা মন। শাকিবের শিকার করা হরিণী-কন্যা শ্রাবন্তী নিমিষে হয়ে গেলেন এই রোমান্টিক ছেলের প্রিয়তমা। কলকাতায় যখন শিকারি ছবির চিত্রায়ণ চলছিল তখন মনের সব মাসালা দিয়ে রেঁধে-আনা খাবার প্রিয় মানুষটির মুখে নিজ হাতে তুলে দিয়েছিলেন মন মজে যাওয়া হরিণী শ্রাবন্তী। তাদের এই পরম মমতা কোনাচোখে দেখে অনেকেই আঁচ করে ফেলেছিলেন উতলা মনের গোপন আদান-প্রদানের চিত্রনাট্য। শুধু কি সেটে? না, সময়ের ফাঁকফোকর গলিয়ে মন আনচান করা শাকিব ছুটে যেতেন প্রিয়তমা শ্রাবন্তীর বাড়ির উঠোনে। জোরে কড়া নাড়তেন মনের দরজায়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দুজন মিলে স্বপ্নের রংমাখা রঙিন প্রজাপতির ডানায় ভেসে বেড়াতেন অতি সঙ্গোপনে, ভালোবাসার সাতরঙা ভুবনে...। লোকে বলে ভালোবাসা হলো জলের মতো। যা নাকি কেটে দুভাগ করা যায় না। সত্যি তাই। দুজনের সঙ্গোপনের ভালোবাসা মাঝে অনেক দিন নিজ নিজ কাজের ব্যস্ততায় দুজনকে দুই ভুবনের বাসিন্দা করে রেখেছিল। দূর থেকে দেখে বুকের বাম দিকটায় কুঁকিয়ে ওঠা ব্যথাটা এতদিন অতি কষ্টে দুজনে চেপে রেখেছিলেন। না ভালোবাসার দেবী এত নিষ্ঠুর নয়। তাই তো তারা আবার একে অপরের স্পর্শে এখন ভালোবাসার রঙিন প্রজাপতি হয়ে ফুলে ফুলে উড়ছেন। ‘ভাইজান এলো রে’ ছবিটি দুজনকে এক করে আবার ক্যামেরায় চোখ রাখল। আর অবাক হয়ে দেখল শিকারি বালক আর হরিণী-কন্যার আহারে কী প্রেম...!