বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

তাজিন আহমেদ আর নেই

শোবিজ প্রতিবেদক

তাজিন আহমেদ আর নেই

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ আর নেই। গতকাল, তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর বলে শুরুতেই নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। এরপর ইলেকট্রিক শক ও ইসিজি রিপোর্ট দেখার পর বেলা ৪টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর হোসেন তাজিন আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডা. হাসিব। গতকাল দুপুরে হার্ট অ্যাটাক করলে দ্রুত তাকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম জানান, ‘তাজিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাজিন আহমেদ সকাল ১০টা নাগাদ উত্তরায় নিজ বাসায় হার্ট অ্যাটাক করেন। মাঝে আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। শেষে রিজেন্ট হাসপাতালে আনা হয়।’ গতকাল বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, মরদেহ সমাহিত করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবার থেকে নেওয়া হয়নি। ছেলেবেলা থেকেই চারকোণা বাক্সে নিজের অভিনয় দেখার দারুণ ইচ্ছে ছিল তাজিন আহমেদের। মায়ের হাত ধরেই অভিনয় জগতে পথচলা শুরু। তিনি শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, সাংবাদিকতা, উপস্থাপনা, নাটক লেখা এবং পরিচালনা করেও প্রশংসিত হয়েছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন। উপস্থাপনা বেশ উপভোগ করতেন তাজিন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘চেতনা’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তার উপস্থাপনার শুরু। পরবর্তীসময়ে এনটিভিতে টিফিনের ফাঁকে, এ ছাড়া অন্যান্য অনুষ্ঠানেও উপস্থাপনা করেছেন। রেডিওতেও উপস্থাপনা করেছেন। সদা হাস্যময়ী তাজিন আহমেদের জন্ম ৩০ জুলাই ঢাকার লালবাগে তার নানুবাড়িতে। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। বাবা কামাল আহমেদ এবং মা দিলারা জলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ভোরের কাগজ, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। আনন্দভুবন ম্যাগাজিনে কলামিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘নাট্যজন’ নাটকদলের হয়ে মঞ্চে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে যোগ দেন। শেষদিন পর্যন্ত তিনি ‘আরণ্যক’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

 

অশ্রুজলে স্মরণ

জাহিদ হাসান

তাজিন এভাবে চলে যাবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। তার মতো দক্ষ একজন অভিনেত্রীর অকাল প্রয়াণে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সৃষ্টিকর্তা তাকে জান্²াতবাসী করুন।

 

ডলি জহুর

এমন অকাল বিদায় কীভাবে মেনে নেব। সদা হাসিখুসি আর অত্যন্ত বিনয়ী এই মেয়েটির সহজেই সবার মন জয় করার ক্ষমতা ছিল প্রখর। তার এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

আফরোজা বানু

তাজিন এত অল্প বয়সে কেন চলে যাবে। তার মতো দক্ষ অভিনেত্রী ও ভদ্র একটি মেয়ের অবস্থান কীভাবে পূর্ণ হবে? তাজিনের চলে যাওয়া মানে শোবিজ অঙ্গনে নতুন করে আরেকটি শূন্যতার সৃষ্টি হওয়া।

 

গাজী রাকায়েত

একটি নক্ষত্রের পতন হলো। তাজিনের এই চলে যাওয়ার অর্থ শোবিজ জগতে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হওয়া। তার মতো একজন দক্ষ অভিনেত্রী আর কখনো আসবে বলে মনে হয় না। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

ডি এ তায়েব

তাজিন এভাবে অকালে আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে যাবে তা কখনো বিশ্বাস করার মতো নয়। তার সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। অত্যন্ত ভদ্র ও বিনয়ী মেয়ে ছিলেন। কাজ তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

শহীদুল ইসলাম সাচ্চু

তাজিন দক্ষ অভিনেত্রী ছিলেন। কিছু বিদায় মেনে নেওয়া যায় না। তাজিনের মত হাস্যোজ্জ্বল প্রাণ চঞ্চল একজন মানুষ কখনো এভাবে অকালে চলে যেতে পারে না। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর