বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
ই ন্টা র ভি উ

কোনো কাজের জন্য খুব বেশি মরিয়া নই

ফারহানা মিলি

কোনো কাজের জন্য খুব বেশি মরিয়া নই

চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী ফারহানা মিলি। ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে পরী চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। ইদানীং ব্যস্ত রয়েছেন ঈদের জন্য নির্মিত কিছু একক ও খণ্ড নাটকে অভিনয়ে। ঈদের ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিভিন্ন অজানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন—পান্থ আফজাল

 

সম্প্রতি একটি নাটকের শুটিং করলেন...

ঈদের জন্য নির্মিত গোলাম সোহরাব দোদুলের পরিচালনায় ‘জোড়াসাঁকো’ নাটকের শুটিং করেছি। লিখেছেন শাহজাহান সৌরভ। নাটকে আমার চরিত্রের নাম অরণী। সহশিল্পী আছেন দিনার ভাই, নিলয় ও তানজিন তিশা। এটি এনটিভিতে প্রচার হবে।

 

ঈদ উপলক্ষে কী কী নাটকে কাজ করেছেন?

শামীম জামানের পরিচালনায় ৬ পবের্র খণ্ড নাটকে কাজ করেছি। গ্রামীণ জোকস অবলম্বনে নির্মিত নাটকটির নাম ‘চুটকি ভাণ্ডার’, যেটির ৩টি পর্বে আমি অভিনয় করেছি। ঈদের জন্য করেছি সোহেল ইমনের ‘ওপেনটি বায়স্কোপ’। আমার বিপরীতে মোশাররফ ভাই। মোশাররফ ভাই ও অপর্ণার সঙ্গে আরেকটি নাটকে কাজ করেছি। জাহিদুল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় ও মেহরাব জাহিদের লেখায় ‘প্রফেসর ডাবলু’। কিছুদিন আগে কাজ করলাম আলমগীর রুমনের ‘গুলজার’ নাটকে। এ ছাড়াও বৃন্দাবন দাসের গল্পে একটি কাজ করার কথা আছে।  

 

‘মনপুরা’র পর আর আপনাকে কেন চলচ্চিত্রে তেমন দেখা যায়নি?

আসলে আমার সব কিছুতেই সময় লাগে। আমি কোনো কাজের জন্য খুব বেশি মরিয়া নই। কাজ আমার কাছে আনন্দের। আর সিনেমা সহজ কিছু না। অনেক ভেবে-চিন্তে আর মাথা ঠাণ্ডা রেখে করতে হয়। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘মনপুরা’র সেই পরী চরিত্রের এই আমি আজও দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক বেশি রেসপন্স পাই। আর নাটক অনেক করছি আমি। কারণ সিনেমা থেকে নাটকে সময় দেওয়া সহজ। আমার ৫ বছরের বেবি রয়েছে। তাই সময়টা বের করতে কঠিন হয়। তবে আল্লাহর রহমতে সবসময়ই আমি কাজের মধ্যে ছিলাম। ভালো গল্প, নির্মাতা হলে চলচ্চিত্র নিয়ে আরেকটি লাফ দিতে পারি।

 

পরী-ইয়াসের ‘স্বপ্নজাল’ কি দেখা হয়েছে?

হলে গিয়ে এখনো দেখা হয়ে ওঠেনি। হলে গিয়েই দেখার ইচ্ছে রয়েছে। এটি আইফ্লিক্সে চলে আসাতে কিছুটা সময় দেখেছি; তবে শেষ করতে পারিনি।

 

থিয়েটার চর্চা কি চালিয়ে যাচ্ছেন?

 তেমন করে এখন পারছি না। এটি হচ্ছে শেখার মাধ্যম। আমি সর্বশেষ লোকনাট্য দল ও নাট্যকেন্দ্রে কাজ করেছি। 

 

অনেক নাটকে তো অভিনয় করছেন। কিন্তু দর্শক কি সেভাবে নাটক দেখছে?

আমার তো মনে হয়, দর্শক এখনো নাটক দেখে; তবে টিভিতে তেমন করে নয়। আর আমরা আগের সময়ের মতো ভালো গল্প আর বেশি সময় নিয়ে নাটকের কাজ করছি না। তাই মানসম্পন্ন নাটক খুব কম হচ্ছে। তবে অনেকেই নাটক ইউটিউবে দেখে নেয় সময় করে। এখন তো এত এত চ্যানেল, অনেক বিজ্ঞাপন। দর্শক নাটক দেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এখনকার সময়ে সবাইকেই অনেক বেশি কাজ করতে হবে। তবে আমি কিন্তু ইউটিবে নাটক প্রচারের কারণে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অনেক অনেক রেসপন্স পাই। 

 

আপনার ফেসবুক প্রীতি কেমন?

আমি ফেসবুক তেমন করে ব্যবহার করি না। আর ফেসবুকে আমি আমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি। সবার কাছে তেমন অ্যাভেলেবেল না। তাই ফেসবুক আসক্তি বলতে গেলে তেমন নেই।

সর্বশেষ খবর