চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখারউদ্দীন নওশাদ চলচ্চিত্র শিল্পের বর্তমান অচলাবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই শিল্পকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ছবি নেই। ছবি ও দর্শকের অভাবে লোকসান গুনে ইতিমধ্যে প্রায় এক হাজার ৫০টির মতো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় আড়াইশর মতো সিনেমা হল দিয়ে প্রযোজক কীভাবে ব্যবসা করবেন। বর্তমানে সময়োপযোগী ছবি নির্মাণ করতে যে অর্থ ব্যয় দরকার এই স্বল্প সিনেমা হল দিয়ে সেই অর্থ কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এ কারণে নামি প্রযোজনা সংস্থাগুলো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। নওশাদ বলেন, নির্মাতাদের অভিযোগ সিনেমা হলের পরিবেশ মন্দ হওয়ায় দর্শক আসে না। কথাটি সত্য নয়। আমি ধারদেনা করে আমার মধুমিতা সিনেমা হলটি সংস্কার করেছি। কিন্তু ছবির অভাবে এখন ব্যবসা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছি। মাস শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, নানা বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করতে সিনেমা হল মালিকরা হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় সিনেমা হলই এখন বাধ্য হয়ে বুকিং এজেন্টদের কাছে ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ্উদ্যোগে সিনেমা হল নির্মাণ ও ডিজিটাল প্রজেক্টর স্থাপনের কথা শুনলেও তার বাস্তবায়ন নেই। প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে চলচ্চিত্র শিল্পের দুরবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে দীর্ঘদিন আগে আবেদন করলেও আজ পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু চলচ্চিত্রবান্ধব তাই তার সঙ্গে দেখা করা গেলে এই শিল্পের চলমান বন্ধ্যত্ব মোচন সম্ভব হতো।