শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিদায় আমজাদ হোসেন

বিদায় আমজাদ হোসেন

জন্ম : ১৪ আগস্ট, ১৯৪২ - মৃত্যু : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার ও সাহিত্যিক আমজাদ হোসেন শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন। গত ১৪ ডিসেম্বর বেলা ২টা ৫৭ মিনিটে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। ১৮ নভেম্বর ব্রেইন স্ট্রোক করার পর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ নভেম্বর রাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তাকে নিয়ে লিখেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

আমজাদ হোসেনের জম্ম  ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট, জামালপুরে। শৈশব থেকেই তিনি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন। যাত্রার শুরুটা ছিল মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি অভিনয় করেন মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে। আমজাদ হোসেনের লেখা নাটক ‘ধারাপাত’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন সালাহউদ্দিন। এতে আমজাদ হোসেন নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। এরপর তিনি জহির রায়হানের ইউনিটে কাজ শুরু করেন। এভাবেই দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে ১৯৬৭ সালে নিজেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। নাম ‘জুলেখা’। তার পরিচালিত ব্যাপক দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র হচ্ছে- ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জম্ম  থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ইত্যাদি। ১৯৮১ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আমজাদ হোসেন। আমজাদ হোসেন একাধারে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জম্ম  থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী অনেক সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে (১৯৯৩) ভূষিত করেছে। এ ছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

ব্যতিক্রমধর্মী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা তার কর্মজীবনে ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন।  তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে একসঙ্গে ছয়টি ভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং একই সঙ্গে পাঁচটি বিভাগে (গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রের জন্য) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ ছবিতে আমজাদ হোসেনের অভিনয় জীবন শুরু। একই বছর মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয় করেন। তার লেখা নাটক ‘ধারাপাত’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন পরিচালক সালাহউদ্দিন। এতে আমজাদ হোসেন প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। পরবর্তীকালে তিনি জহির রায়হানের সঙ্গে যোগ দেন এবং তার সহকারী হিসেবে কয়েকটি ছবিতে কাজ করেন। এর মধ্যে রয়েছে বেহুলা (১৯৬৬)। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। আমজাদ  হোসেন পরিচালিত প্রথম ছবি ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমণি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) নির্মাণ করে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা অর্জন করেন।  তার লেখা কাহিনী নিয়ে ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি জহির রায়হান পরিচালিত সাড়া জাগানো ‘জীবন থেকে নেয়া’।  ১৯৭০-এর দশকে তিনি নয়নমণি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সুন্দরী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৯৮০-এর দশকে কসাই (১৯৮০), জম্ম  থেকে জ্বলছি (১৯৮২), দুই পয়সার আলতা (১৯৮২), ভাত দে, কসাই (১৯৮২), দুই পয়সার আলতাসহ কয়েকটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেন। চলচ্চিত্র ছাড়াও টিভি নাটক ‘জব্বর আলী’ নির্মাণ ও এতে অভিনয় করে ছোট পর্দার দর্শকদের কাছেও আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা লাভ করেন বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব।

 

 

আমজাদ হোসেনের শূন্যতা অপূরণীয়  - ববিতা

আমজাদ ভাই নেই এ কথাটা ভাবতেই কষ্টে মনটা দুমড়ে মুচড়ে যায়। আমজাদ ভাইয়ের বেশির ভাগ ছবিতে কাজ করেছিলাম, যেগুলো ছিল মাইলস্টোন। কোন গুণটি ছিল না তার। গীতিকার, গল্পকার থেকে শুরু করে অভিনেতা, পরিচালক সবদিক থেকেই সফল তিনি। আমজাদ ভাইয়ের  ছবি যেমন পুরস্কৃত হতো, তেমনি বাণিজ্যিকভাবেও সফল হতো। ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেন পর্যন্ত তার ছবির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। চলচ্চিত্রে আমজাদ হোসেন একজনই ছিলেন। ছবিতে গ্রামবাংলাকে হৃদয়গ্রাহী ও মর্মস্পর্শী করে তুলে আনতে পারতেন তিনি।

নয়নমণি, গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, ভাত দে ছবিগুলো ছিল গ্রামকেন্দ্রিক। আমজাদ হোসেনের ছবি এদেশের চলচ্চিত্রে বিপ্লব এনেছিল। কুসংস্কার আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা তার ছবিগুলোতে মূর্ত হয়ে উঠত। সাধারণ মানুষ তার যাপিত জীবনের ছায়া খুঁজে পেতেন এসব ছবিতে। আমজাদ হোসেন মানেই একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। তার শূন্যতা অপূরণীয়। তাকে নিয়ে অনেক স্মৃতি মনে জমে আছে। একটা কথা মনে পড়ছে। আমরা রাত দুইটা-তিনটা পর্যন্ত বসে আছি। কনকনে শীত। অপেক্ষায় আছি কখন শুটিং আরম্ভ হবে। যেই ডাক আসত, আমরা খুশিতে ছুটে যেতাম। আমজাদ ভাই আমাদের শট নেবেন, মনভরে অভিনয় করতে পারব। এই জিনিস আর কোনো পরিচালকের মধ্যে আমি পাইনি। মাঝে মধ্যে তার ওপর বিরক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটত। পরে অবশ্য জেনেছি, এটা তার দোষ ছিল না। আমরা সবাই সকালবেলা যার যার পোশাক পরে তৈরি হয়ে আছি, অথচ আমজাদ ভাই তৈরি হননি। তিনি দেরি করে এসেছেন।

পরে জানতে পারলাম, গ্যাস্ট্রিকের কারণে সারা রাত তার পেটে ব্যথা করেছে। আরেকটা কথা বলি, এমনও হয়েছে, সব প্রস্তুত কিন্তু সিকোয়েন্স লেখা নেই। তিনি দ্রুত লিখে ফেললেন এবং কাজটা এত ভালো হলো যে, আমাদের চোখে পানি এসে গেল। সবাই আমরা পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতাম। আমজাদ ভাই নেই, এ কথা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। শুধু একটা কথাই বলব, যেখানে থাকুন, ভালো থাকুন আমজাদ ভাই। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র শুটিং করতে ঢাকা থেকে জামালপুর যাচ্ছিলাম। হাজার মানুষের ভিড়ে তিনি কাগজ-কলম নিয়ে বসে গেলেন। লিখে ফেললেন কালজয়ী গান ‘হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ’। আমি তাকিয়ে ছিলাম অপলক। কীভাবে পারেন মুহূর্তের মধ্যে এমন অসাধারণ সব কথা সৃষ্টি করতে। তিনি খুব সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন।  ট্রেনে করে আমরা যাচ্ছিলাম। কেউ কেউ ফার্স্ট ক্লাসে আর কেউ সেকেন্ড ক্লাসে যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমন সময় তিনি এসে বললেন, ‘কিসের ক্লাস! বাংলাদেশে কোনো ক্লাস নেই। সবাই সমান। আমরা একসঙ্গেই বসব সবাই।’ খ্যাতির চূড়ায় অবস্থান করা একজন মানুষ অবলীলায় যখন এমন কথা বলতে পারেন, তাকে সম্মান না জানিয়ে কি উপায় আছে? আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

তিনি বেঁচে আছেন সবার মাঝে -আনোয়ারা

একজন আমজাদ হোসেন দ্বিতীয়বার এই পৃথিবীতে আসবেন না।

তিনি তার চোখ দিয়ে দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে গেছেন কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে হয়।

গ্রামবাংলার নানা কুসংস্কার, মোড়লদের আধিপাত্য, সাধারণ মানুষের বঞ্চনা, অভাব-অনটন এবং অসৎ রাজনীতির চিত্র তার কর্মে অবিরত ফুটে উঠেছে এবং কালজয়ী হয়ে রয়েছে। আমজাদ হোসেন মারা যাননি। তিনি অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন তার অনবদ্য সৃষ্টির মাধ্যমে। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

 

আমজাদ হোসেন একটি ইতিহাস - সুচন্দা

আমজাদ হোসেন মানে এদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম একটি ইতিহাস। জহির রায়হানের পরে দেশ, সমাজ, পরিবারের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির চিত্র অনবদ্য ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে যিনি তার লেখনী আর পর্দায় তুলে ধরেছেন তিনি হলেন আমজাদ হোসেন। তার সৃষ্টিশীল কর্মে সত্যিকার অর্থে এদেশের চলচ্চিত্র, সাহিত্য, নাটক আর সংস্কৃতি জগৎ অভাবনীয় পূর্ণতা পেয়েছে। তার প্রয়াণ মানে গভীর শূন্যতা আর অভিভাবকহীনতা । এই শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তিনি বেঁচে থাকলে চলচ্চিত্র জগৎ একজন মুরব্বির ছায়ায় থাকত। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

 

উজ্জ্বল নক্ষত্র হারালাম - ফারুক

আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’তে প্রথম অভিনয় করেছিলাম। আমার প্রথম ছবি ‘জলছবি’ করার সময় থেকেই দুজনের পরিচয়। বন্ধুত্ব তৈরি হয় আমাদের। এরপর ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ করার সময় তৈরি হয় পারিবারিক সম্পর্ক। শুধু একজন গুণী নির্মাতা নন, ভালো মনের মানুষও ছিলেন।

আমি নির্বাচনী প্রচারণায় আছি, এমন মুহূর্তেই খবরটা পেলাম। শোনার পর থেকেই খুব খারাপ লাগছে। এই মুহূর্তে আর কী বলার আছে। শুধু বলব, চলচ্চিত্রের আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র হারালাম। এমন অলরাউন্ডার পরিচালক আর আসবেন না। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

 

বড় একা হয়ে গেলাম - আলাউদ্দিন আলী

আমজাদ হোসেনকে হারিয়ে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। কিছু বলার ভাষা নেই আমার। কী করব তা-ও মাথায় আসছে না। শরীর অসুস্থ লাগছে। আমজাদ হোসেনের সঙ্গে কাটানো স্মৃতিগুলো ঘিরে ধরেছে। রাতের পর রাত পার করেছি স্টুডিওতে। তিনি লিখতেন আর আমি সুর করতাম। অনেক কালজয়ী গান আমাদের। একেকটা গানের পেছনে হাজার স্মৃতি। তার ছবিতে কাজ করেই প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করি। বলতে গেলে আমার কর্মজীবনের সফলতার টার্নিং পয়েন্ট হলেন আমজাদ হোসেন। আজ আমার সবচেয়ে কাছের মানুষটি চলে গেলেন। সত্যিই বড় একা হয়ে গেলাম।

 

 

তার কাজ  কালোত্তীর্ণ -ইলিয়াস কাঞ্চন

আমজাদ ভাই রাষ্ট্র ও সমাজ উদ্বুদ্ধকরণ কাজের স্বাক্ষর রেখে গেছেন তার অমর সৃষ্টির মাধ্যমে। এই গুণী মানুষটির সঙ্গে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে তিনি একজন সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন বা এ ধরনের কিংবদন্তি মানুষদের ছুঁয়েছেন। তার প্রতিটি কাজ ছিল নিখুঁত, সুন্দর আর কালোত্তীর্ণ। ব্যক্তি আমজাদ হোসেনের মৃত্যু হলেও সৃষ্টিশীল এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। এ ধরনের কিংবদন্তি মানুষের কখনো মৃত্যু হয় না। তার কাজই তাকে বাঁচিয়ে রাখে অনন্তকাল। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

 

অভিভাবক হারালাম - অপু বিশ্বাস

আমজাদ আঙ্কেল আমার সত্যিকারের একজন অভিভাবক ছিলেন। তার ‘কাল সকাল’ ছবিটিতে প্রথম আমি অভিনয় করি। ছোট্ট চরিত্র হলেও এত বড় মাপের একজন নির্মাতার হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছি, এটা আমার জন্য গর্ব ও ভাগ্যের।

তার মতো একজন মানুষের হাতে চলচ্চিত্রে আমার অভিষেক হয়েছে বলেই হয়তো আজ আমি এত বড় মাপের একজন তারকা হতে পেরেছি। ইচ্ছা ছিল তার কোনো একটি ছবিতে আবার অভিনয় করব। কিন্তু বিধাতার অমোঘ বিধানে আজ তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 

 

 

একনজরে

 

নাটক

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টিভি নাটক নির্মাণ করেও আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আমজাদ হোসেন। বিশেষ করে তার ‘জব্বার আলী’ সিরিজের নাটকের কথা কখনো ভুলতে পারবে না দর্শক। এ ছাড়াও অর্ধশতাধিকেরও বেশি নাটক, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নির্মাণ করে গেছেন তিনি।

 

উপন্যাস

তার রচিত উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য : নিরক্ষর স্বর্গে, দ্রৌপদী এখন ট্রেনে, দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভালোবাসা,  আমি এবং কয়েকটি পোস্টার,    রক্তের ডালপালা, ফুল বাতাসী, রাম রহিম, আগুনে অলঙ্কার, ঝরা ফুল, শেষ রজনী, মাধবীর মাধব মাধবী ও হিমানী, মাধবী সংবাদ ইত্যাদি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস, জীবনী, ইতিহাস, কিশোর উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, ফিকশন, রচনাসমগ্র, কিশোরসমগ্র রচনা করে গেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর