মানুষের বাগান ছবির শুটিং নিয়ে শুনলাম ঢাকার বাইরে এখন। শুটিং কেমন চলছে?
হা হা হা... হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ‘মানুষের বাগান’ ছবিটির নির্মাতা নুরুল আলম আতিক। পুরো টিমের সঙ্গে শুটিং হচ্ছে আবার আনন্দও করছি। লঞ্চেও শুটিং করেছি। এর আগে ঢাকায় কিছু অংশের শুটিং হয়েছে।
বেশ কিছুদিন স্পর্শিয়ার কোনো খোঁজ ছিল না। ছবিটির শুটিং শুরু হওয়ার পরও তো অনেকদিন অসুস্থ ছিলেন। কি হয়েছিল?
বেশ কিছুদিন মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আট দিন বিছানায় বিশ্রামে ছিলাম। ধুলাবালি, ঠাণ্ডার কারণে অ্যাজমা সমস্যা হয়েছিল। অন্যদিকে মানসিকভাবেও একটু ভেঙে পড়েছিলাম। আর আমার রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকার কারণে গাঁটে ব্যথা আছে। এখন সুস্থ, তাই আবার শুটিং করছি। দোয়া করবেন।
নাটকে অভিনয় করা ছেড়েছেন কেন?
নাটক এখন যে নিয়মে চলছে তা আমার কাছে ঠিক মনে হয়নি। তাই ছেড়েছি। নাটকের নেই একটা ভালো স্ক্রিপ্ট; নেই ভালো কোনো চরিত্র, নেই তেমন বাজেট। আর নাটক তো এ সময় হয়ে পড়েছে বাক্সবন্দী। তিন-চারটি চরিত্রে নাটক নির্মিত হচ্ছে।
নাটককে গুডবাই জানিয়ে পুরোদমে চলচ্চিত্র আর ওয়েব সিরিজে কেন?
এতদিন টেলিভিশনে অভিনয় করেছি, এখন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছি। তাই করছি। বাংলা চলচ্চিত্রের এখনকার অবস্থা নিয়ে নানা মানুষ নানা কথা বলে। তবে আমি মনে করি, বর্তমান অবস্থা ভালো নয় বলে সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলে তা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
মুক্তি প্রতীক্ষিত কোন কোন ছবি রয়েছে?
‘বন্ধন’ ও ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’ দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসার জন্য প্রস্তুত। বাকি দুটি ছবি ‘কাঠবিড়ালী’ এবং ‘আবার বসন্ত’র শুটিং শেষ; পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আর ‘মানুষের বাগান’ তো করছি। এর শুটিং অচিরেই শেষ হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এই তো!
অভিনীত ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’ ছবিটি ১১তম জয়পুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে। কেমন লাগছে?
অবশ্যই এই সংবাদটি আনন্দের ও ভালো লাগার। চিত্রনাট্যের জন্য ‘বেস্ট অরিজিনাল স্ক্রিনপ্লে’ অর্জন- এটা কি কম কথা! এই সুসংবাদের অংশীদার পুরো টিম। এই ছবির মতোই আরও ভালো ছবি নির্মিত হোক। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে সমাদৃত হোক আমাদের সিনেমা- এই মন থেকে চাই।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। অনলাইন কনটেন্ট নিয়ে আপনি কি ইতিবাচক?
তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এখন প্রযুক্তির যুগ। অনলাইন কনটেন্টের দরকার আছে। তা নাহলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। সময়ের সঙ্গে তো তাল মেলাতেই হবে। আমি এটি নিয়ে অনেক বেশি পজেটিভ।
কাজের সংখ্যা নাকি মান, কাজ করতে গেলে কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেন?
সংখ্যা নয়, মান দেখেই কাজ করি। যখন যে চরিত্রে অভিনয় করি, চেষ্টা করি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজটি করার। এটি পেশা হলেও অর্থ উপার্জনের মূল লক্ষ্য মনে করি না।
কেউ কেউ আপনাকে কাঠবিড়ালী বলে ডাকে। রহস্যটা কি?
হা হা হা... এটা আসলেই রহস্যময়! কে এই নামে ডাকে সেটা বলা যাবে না (ফিক করে হেসে)। তবে মুক্তার ‘কাঠবিড়ালী’ ছবিটি করার পর থেকেই এই নাম ধরে ডাকে। তার কাছে মনে হয়, আমি স্বভাবে অনেক চঞ্চল; ঠিক যেন কাঠবিড়ালীর মতো। তবে আমি কিন্তু ভীষণ অভিমানী।