মিথিলা নামে মিডিয়ায় সুপরিচিত হলেও পুরো নাম রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটক, টেলিছবি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ওয়েব ফিল্ম নিয়ে। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
কেমন আছেন? শুনলাম সাউদ আফ্রিকা যাচ্ছেন। কি কাজে?
ভালো আছি। অফিসের কাজে একটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে সাউদ আফ্রিকা যাচ্ছি। শিগগিরই দেশে ফিরব।
আপনার অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘অবশেষে ভালোবেসে’ আজ প্রকাশ হচ্ছে। এটিতে দর্শক মিথিলাকে কতটা নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবে?
এই ওয়েব ফিল্মটির গল্পে ও আমার চরিত্রে চমৎকার একটি রহস্য রয়েছে। এটি না দেখলে দর্শক অনেক কিছুই মিস করবে। অভিনয় করতে করতে আমি এর চরিত্রের সঙ্গে একদম মিশে গেছি। ফলে আমার ভক্তরা ফিল্মে অনেকটাই নতুন এক মিথিলাকে আবিষ্কার করতে পারবেন। এটি শাহরিয়ার শাকিলের আলফা-আই মিডিয়া প্রোডাকশন্স লিমিটেডের ব্যানারে নির্মিত। কাহিনী ও পরিচালনায় ফরহাদ আহমেদ। এটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট বায়োস্কোপ অরিজিনালসে মুক্তি পাচ্ছে।
এটিতে তো আজিজুল হাকিম, প্রীতম আহমেদ, ইমি ও রাহাত আহমেদ ছিলেন। সবাই কেমন অভিনয় করেছেন?
সবাই অনেক ভালো অভিনয় করেছেন! হাকিম ভাই তো চমৎকার একজন অভিনেতা, আমার একজন প্রিয় মানুষ। এই ওয়েব ফিল্মে আমি ইরার চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার প্রেমিক অর্ক রাহাত রহমান। প্রীতম অতিথি অভিনেতা হিসেবে ছিলেন। সিঁথির কণ্ঠে একটি গানও রয়েছে। তবে, ৩৫ মিনিটের এ ফিল্মটির চার দিন ধরে শুটিং হয়েছে।
রনির নির্মাণে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে নাবিলার সঙ্গেও প্রথমবারের মতো কাজ করেছেন...
নাবিলার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ ছিল। নাম ‘ব্লাড রোজ’। সহশিল্পী ছিলেন ইরেশ ও মনোজ। এর আগে ‘মুখোমুখি’, ইফতেখার ফাহমীর ‘একটি সবুজ ব্যাগ’ ও আর বি প্রীতমের ‘ওয়েলকাম টু ফ্যামিলী’তেও কাজ করেছিলাম। ‘প্রথম প্রেম’ নামে একটি টেলিছবিও করেছি।
হাবিবের গানের মডেলও হয়েছেন...
সেটি ছিল আমার জীবনের প্রথম মিউজিক ভিডিও। শুধু হাবিবের কারণেই কাজটা করেছি। তা না হলে মিউজিক ভিডিওতে জীবনেও কাজ করতাম না।
পড়াশোনা, সংসার, সন্তান, ক্যারিয়ার সব একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়াটা চ্যালেঞ্জিং নয়?
কাজ করা আমি খুব উপভোগ করি। আর যে কোনো চাপের মধ্যেও অন্য সবকিছু থেকে নিজের কনসেন্ট্রেশন সরিয়ে শুধু ওই কাজটাই মনোযোগ দিয়ে করি।
ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে অভিমত কি?
সম্পর্ক সুন্দর রাখতে বেশি প্রয়োজন হলো বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বের সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে ভালোবাসাটা শুরুতে যেমন অনুভব করতেন, পরবর্তীতে সেই অনুভূতিটা ক্ষয়ে যায়।