রবিবার, ১৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : নিমা রহমান

ছবিটি দেখার পর তারিকের ফ্যান হয়ে গেছি

ছবিটি দেখার পর তারিকের ফ্যান হয়ে গেছি
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা নিমা রহমান। দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও স্বামী তারিকের সঙ্গে অভিনীত ‘নোলক’ ছবিটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে। আর ‘বেপরোয়া’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও বিভিন্ন অজানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? দীর্ঘদিন পর দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন; একটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে...

জ্বি, ভালো আছি। হুমম... নোলক ও বেপরোয়া করেছি। নোলক ঈদে প্রেক্ষাগৃহে চলছে। বেপরোয়া অন্য সময়ে মুক্তি পাবে। দুটো ছবিতেই তারিক আমার সহশিল্পী।

 

তারিক আনামের ‘আবার বসন্ত’ ছবির প্রিমিয়ারে গিয়েছিলেন। কেমন লাগল?

বলাকা সিনেওয়ার্ল্ডে ‘আবার বসন্ত’ ছবির প্রিমিয়ার করেছিল ছবিটির নির্মাতা অনন্য মামুন। তারিকের সঙ্গে বসে ছবিটি দেখলাম। সত্যি করে বলতে গেলে, দেখার পর থেকে তার ফ্যান হয়ে গেছি। কী দুর্দান্ত অভিনয় করল সে! স্পর্শিয়াও অনেক ভালো অভিনয় করেছে।

 

আপনার অন্তর্ভেদী দৃষ্টির রহস্য কী?

অনেকে বলেছে, আপনি মানুষকে পড়তে পারেন, আপনাকে দেখে ভয় লাগে। কিন্তু বাস্তবে আমি কিন্তু এমন নই; একটু রিজার্ভ। আবার যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব একটু বেশি তাদের সঙ্গে খুবই খোলামেলা।

 

হুমায়ুন ফরিদীর সঙ্গে স্মৃতি জানতে চাই?

ফরিদীর প্রথম নায়িকা ছিলাম আমি। খুবই কাতুকুতু স্বভাবের ছিল; জড়িয়ে ধরা যেত না, কাতুকুতুর ব্যারাম ছিল। কিন্তু সে সর্বদাই ছিল হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণখোলা, পাগলাটে স্বভাবের।

 

হুমায়ুন আহমেদের নাটক করেছেন কয়টি?

হুমায়ুন আহমেদের কিছু নাটক করেছি, সিরিয়াল করা হয়নি। তখন হুমায়ুন আহমেদ কিন্তু শুটিংয়েও আসতেন না। উনি ‘অয়োময়’ কিংবা ‘কোথাও কেউ নেই’ থেকে শুটিংয়ে আসা শুরু করেন। হুমায়ুন ভাইয়ের নাটকে নূর ভাইয়ের সঙ্গে বেশি অভিনয়  করেছি। তখন তো নাটকের রিহার্সেল হতো। এখন তো তেমন হয় না। তাই নাটকের মানও কমে গেছে।

 

নির্মাতা হিসেবেও পরিচিত নিমা রহমান...

৯৮ সাল থেকে নাটক, লাইফ স্টাইল শো, কুকিং শো করছি। এখনো বানাচ্ছি। লাইফ স্টাইল শো প্রথম করি আমি। সেই লাইফ স্টাইল শো ভেঙে এখন প্রচুর শো হচ্ছে। কুকিং শোর পাইওনিয়ার আমি; ৭-৮টা শো করেছি। ডেইলি সোপ-লাইস্টাইল শোর পাইওনিয়ারও আমি।

 

আপনাকে নাটকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে খুঁজে পাওয়া যেত, যাকে বলে জীবন ঘনিষ্ঠ চরিত্র। রহস্যটা কী?

চেঞ্জ ইজ দ্য মোস্ত পারমানেন্ট থিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। পরিবর্তনটাই মুখ্য। যেমন আমার ছেলে ও বৌর মধ্যে কোনো খটমট লাগলে আমি খুবই আপসেট হই। কিন্তু তারিখ আমাকে বলে, লেট দেম হ্যান্ডেল দেয়ার লাইফ। আর বললে বিশ্বাস করবেন না, এই মুহূর্তে ছেলের বৌও আমাদের শেখাচ্ছে। সে তো ইউনিভার্সিটির টিচার, লেকচারার নৃত্যকলা বিভাগে। ওর কাছ থেকে গৌড়ীয় নৃত্য, ইতিহাস শিখছি।

 

আপনি কি গ্যাজেটফ্রিক?

আমি কিন্তু কখনই গ্যাজেটফ্রিক নই। আমি খুব পুরনো দিনের। রোজ গ-গোল হয় ফোন ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারি না। তবে, ওয়েস্টার্ন ক্লাসিকস নিয়ে কাজ করার, রেনেসাঁ পিরিয়ডের ছবি দেখা ও লেখকদের লেখা পড়ে বড় হয়েছি।

 

এক সময় মঞ্চে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। এখন কেন দেখা যাচ্ছে না?

সময় হয়ে ওঠে না। এক সময় তো অনেক করেছি; এখন ছেলে করছে।

সর্বশেষ খবর