ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ববির ‘নোলক’। আর ঈদুল আজহায় মুক্তির দৌড়ে রয়েছে ‘বেপরোয়া’। এছাড়া সমসাময়িক অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে
ববির সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল
নোলক নিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মিল কতটুকু পেলেন?
প্রত্যাশা তো অনেক। তারপরও অনেকটাই পেয়েছি, তার জন্য দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসার কমতি ছিল না।
অনেকে বলছেন প্রচারে শাকিব খানের অসহযোগিতা ছিল...
শাকিব খানও এ ছবির অনেক বড় অংশ। এটার জন্য অতিরিক্ত কিছু করার দরকার ছিল না। তিনি যদি ন্যূনতম শিল্পীর নীতিগত দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে, সাধারণত শিল্পীরা যা করেনÑ একটা ছবির জন্য সেটুকুও করতেন তাহলে নতুন প্রযোজকের জন্য আরও ভালো হতো।
বর্তমানে ব্যস্ততা কী নিয়ে?
কোরবানির ঈদে ‘বেপরোয়া’ আসবে। তার প্রচারণায় অংশ নেওয়া এবং প্রাথমিক কাজকর্ম সারছি। মা হজে যাবেন, আপাতত কাজের জন্য
বের হতে পারছি না।
প্রযোজক সমিতির নির্বাচন করছেন, শখের বসে...
না. না.. তা হবে কেন? এসব ঝামেলার কাজ বা কষ্টের কাজ কেউ শখের বসে করে! অবশ্যই দায়িত্ববোধ আছে।
চলচ্চিত্রের দুর্দিন নিয়ে এত হাহাকার, উত্তরণের উপায় কী?
সবার আগে মন-মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। এটা যে কোনো ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষেত্রে আরও বেশি। কারণ এটা একটা শিল্প। শিল্পীদের মন-মানসিকতার দিক দিয়ে অনেক ভালো হওয়া উচিত। এর সঙ্গে যারা যুক্ত প্রযোজক, নির্মাতা সবার। হ্যাঁ, এখানে প্রযোজকের গুরুত্ব বেশি। প্রযোজক বাঁচলে নির্মাতা বাঁচবেন, কলাকুশলী থাকবে। এখানে যা হয়, আমি দেখি প্রযোজকদেরই বেশি ঝামেলা পোহাতে হয়। তাকে টাকাও খরচ করতে হয়, সবার পেছনে পেছনে ঘুরতেও হয়। আর নতুন প্রযোজক হলে তো কথাই নেই। তাকে আরও বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সময় এসেছে এসব নিয়ে ভাবার।