মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → পূজা চেরী

প্রেমের পাঠ চুকিয়ে বিয়েও করে ফেলেছি

প্রেমের পাঠ চুকিয়ে বিয়েও করে ফেলেছি

ঢাকাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম দর্শকনন্দিত নায়িকা পূজা চেরী। সিয়ামের বিপরীতে ‘পোড়ামন-টু’ ও ‘দহন’ চলচ্চিত্র দুটিতে অনবদ্য অভিনয় করে পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। সেই ধারাবাহিকতায় সজলের সঙ্গে প্রথমবার জুটি বেঁধে করছেন ‘জিন’। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন -পান্থ আফজাল

 

সজলের বিপরীতে ‘জিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। গল্পটি কী নিয়ে?

এটি সাইকো থ্রিলার গল্পের ছবি। অর্থাৎ বলা যায় একটা ভৌতিক ছবি। গল্পটা একটু অন্যরকম। এতে অল্প বিস্তর রোমান্স আছে। জাজের সিনেমাতে রোমান্টিক জুটি হিসেবে দর্শক সজল-পূজাকে দেখতে পাবে।

 

ছবিতে আপনার চরিত্রের নাম কী?

মোনালিসা। কিন্তু সবাই আদর করে ‘মোনা’ বলে ডাকে। জিন নিয়েই ছবির গল্প। আর এ ছবিতে জিনটা আমার ওপরেই ভর করে।

 

ভূতে ভয় পান?

আমি তেমন একটা ভূতের ভয় পাই না। যখন প্রথম এ মুভির গল্প শুনি আমি সত্যি আশ্চর্য হয়েছিলাম যে, একটা ভৌতিক সিনেমার গল্প কীভাবে একটা মানুষকে এতটা ভয় দেখাতে পারে। সঙ্গে ছিল আমার মা, সে ভূতের ভয় পায় না বললেই চলে। সেও গল্প শুনতে শুনতে আমার হাতটা ধরে বলল, ‘পূজা, গল্পটা খুবই ভয়ানক’। এ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত নিজের মধ্যে শুধু আমার চরিত্রটাকেই দেখতে পেয়েছি।

 

মানিকগঞ্জ অধ্যায় শেষ করে ‘জিন’ ছবির শুটিং থেকে কবে ঢাকায় ফিরেছেন?

গত পরশু রাতে। শুটিং হয়েছে মানিকগঞ্জের জমিদার বাড়িতে। মানিকগঞ্জে মোট চার দিন শুটিং করেছি। গেল মাসের শেষের দিকে ঢাকার অদূরে সাভারের মধুমতি হাউজিংয়ে শুরু হয় ‘জিন’ ছবির শুটিং।

 

শুটিং কি শেষ?

প্রায় শেষের দিকে বলা যায়। তবে গান, অ্যান্ড ক্লাইমেক্সসহ বেশকিছু দৃশ্য বাকি রয়েছে। অ্যান্ড ক্লাইমেক্সসহ বেশকিছু দৃশ্যের শুটিং হবে এফডিসিতে; তবে গান কে কে গাইছেন বা কোথায় শুটিং হবে সেটা এখনো জানি না।

 

ছবিতে আপনার হিরো সজল। ব্যক্তি ও অভিনেতা হিসেবে সজল কেমন?

ব্যক্তি হিসেবে তিনি অসাধারণ! তিনি অনেক মজার মানুষ। শুটিং সেটে সারাক্ষণ হাসি, আড্ডা আর দুষ্টামিতে মাতিয়ে রাখেন। অনেক বছর আগে সজল ভাইয়ের সঙ্গে শিশুশিল্পী হিসেবে একটা নাটকে কাজ করেছিলাম। আর এখন তার নায়িকা হয়ে কাজ করছি। উনার সঙ্গে কাজ করাটা ভীষণ উপভোগ করছি।

 

আর নির্মাতা, ডিওপিও সহশিল্পীদের সম্পর্কে অভিমত কী?

এর আগেও নাদের ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছি কিন্তু উনার নির্মাণে এটাই আমার প্রথম কাজ। যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি তিনি। তিনি যেমন ভালো মানুষ তেমনি তার ডিরেকশনও অসাধারণ! আর সহশিল্পী হিসেবে রোশান ভাই চমৎকার একজন মানুষ। ভালো অ্যাকটিং জানেন, বোঝেন। মুনের সঙ্গে ‘প্রেম আমার টু’-তে কাজ করেছিলাম। এখন এ ছবিতে করছি। যতটুকু তার সঙ্গে কাজ করেছি, অনেক ভালো লেগেছে। আর আরেকজন মজার মানুষ নবী (সহিদ উন নবী)। ইউনিটে না এলে সবাই তাকে অনেক মিস করে। সারাক্ষণ শুধু মজার মজার কথা বলে হাসায়; হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যথা হয়ে যায়। জিন সিনেমায় ক্যামেরায় আছেন সাইফুল শাহীন ভাইয়া। যিনি আমার অতি পছন্দের মানুষ। তার সঙ্গে আমার আপন ভাইবোনের মতো সম্পর্ক।

 

জিন ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

এখন পর্যন্ত যতটুকু কাজ করেছি আমি খুব এনজয় করেছি। সারা রাত শুটিং করার পরও কোনো ক্লান্তি অনুভব করিনি। আজকে শুটিং নেই তারপরও ইচ্ছে করছে শুটিং করি। টিমটাকে অনেক মিস করি। আশা করছি দর্শকরা সিনেমাটি পছন্দ করবেন।

 

এ ছাড়া এখন আর কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত?

‘শান’ ছবিটির শুটিং এখনো শেষ হয়নি। এ ছাড়া আরও কিছু ছবির অফার রয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত নয়। সামনে পরীক্ষা; প্রস্তুতির জন্য সময় দিচ্ছি।

 

গুঞ্জন আছে, অভিনয় করতে গিয়ে বাস্তবে সিয়ামকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। কথাটি কতটুকু সত্য?

একদমই না। এ বিষয়টা কখনো কাজ করেনি। তাহলে তো আর অভিনয় করতে পারতাম না। সে আমার ভালো বন্ধু। রঙিন পর্দায় সে আমার হিরো, বাস্তবে নয়। সবসময় খেয়াল রাখি, সিয়াম-পূজা জুটির রসায়ন দর্শক পর্দায় দেখতে চায়। সেভাবেই আমরা অভিনয় করে যাব।

 

তাহলে কি পূজার জীবনে প্রেম আসেনি?

প্রেম করছি তো! জিনের র‌্যাফের (সজল) সঙ্গে। চুটিয়ে প্রেম করছি এ হ্যান্ডসাম ফ্যাশন ফটোগ্রাফারের সঙ্গে ...হা হা হা। মজার বিষয় হচ্ছে, প্রেমের অধ্যায় শেষ করে আমরা বিয়েও করে ফেলেছি। আর সিনেমা রিলিজের সময় বরযাত্রী হিসেবে দর্শক হলে যাবেন। আমার বৌভাত খাওয়ারও দাওয়াত রইল সবার; আসবেন কিন্তু।

সর্বশেষ খবর