রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → চন্দনা মজুমদার

এবারের ফোক ফেস্টেও দর্শকদের গান শোনাব

এবারের ফোক ফেস্টেও দর্শকদের গান শোনাব

লোকগানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার। সম্প্রতি প্রকাশ হলো রাধারমণের গানের অ্যালবাম ‘প্রাণবন্ধু বিহনে’। পাশাপাশি চলছে টিভি ও স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততা। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন- আলী আফতাব

 

‘প্রাণবন্ধু বিহনে’ নিয়ে বলুন।

আগে লালন সাঁই, শাহ আবদুল করিম, বিজয় সরকারের গান নিয়ে অ্যালবাম করেছি। ইচ্ছা ছিল রাধারমণের গান নিয়ে কাজ করার। এবার সেই ইচ্ছাটা পূর্ণ হয়েছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। এরই মধ্যে অ্যালবামটির জন্য বেশ সারা পাচ্ছি। একটু সময় নিয়েই কাজটি করেছি, যাতে কোনো অতৃপ্তি না থাকে।

 

আর কোনো নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন?

হাতে লালন গানের একটি অ্যালবাম আছে। এরই মধ্যে গান বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কলকাতায় অ্যালবামটির রেকর্ডিং হবে। আমরা চেষ্টা করছি এরই মধ্যে রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু করব।

 

শুনলাম এবার ফোক ফেস্টিভ্যালে গান করছেন?

হ্যাঁ, আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ফোক গানের সবচেয়ে বড় আসর ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্টিভ্যাল’। এবারের আসরে ১৬ নভেম্বর আমি গান শোনাব।

 

আপনার অনুপ্রেরণা কে বা কারা

আমার প্রথম অনুপ্রেরণা হচ্ছেন আমার মা। তার অনুপ্রেরণাতেই সংগীত জগতে আসা। আমার মা বেঁচে নেই। বিয়ের আগে মা আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দিতেন। এ ছাড়া বিয়ের পর যখন শ^শুরবাড়িতে আসি, তখন আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমার শাশুড়ি মা। শাশুড়ি প্রচন্ড ভাবে আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। এ দুজনের অনুপ্রেরণাতে আজকে আমি এখানে আসতে পেরেছি।

 

গান নিয়ে এমন একটি স্মৃতির কথা শুনতে চাই, যেটা এখন আপনাকে অনেক পেছনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়...

আসলে গান নিয়ে অনেক মজার মজার স্মৃতি রয়েছে। তবে একটা ঘটনা এখনো আমার খুব মনে পড়ে। আর সেটা মনে পড়লেই আমি আমার হারানো দিনগুলোকে খুব মিস করি। একবার সুইজারল্যান্ডে গান করতে গেলাম। ওখানে সে সময় বাঙালি খুবই কম ছিল। ওখানে যারা ছিল প্রায় সবাই সুইস। আমি গান করার জন্য স্টেজে উঠলাম। গানও শুরু করলাম। সেদিন গান শুনে ওখানের মানুষ খুব নাচানাচি শুরু করল। নাচতে নাচতে তারা আমার স্টেজে চলে এল। ওদের হাতে ছিল বিশাল একটি মালা, যে মালার পুরোটাই গাঁথা হয়েছিল সুইস ডলার দিয়ে। ওরা নাচতে নাচতে এসে সেই মালাটা আমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিল। এটা আমার খুব বড় একটা স্মৃতি। এ স্মৃতিটা আমাকে খুব নাড়া দেয়। ওই দিনটার কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে।

 

আপনার একমাত্র মেয়ে শতাব্দী রায়ও তো গান করে।

রক্তের সঙ্গে গান মিশে আছে তো। ওকে যদি আমরা না শেখাতেও চাই তবু গাইতে পারবে। ইদানীং টেলিভিশনে গান করছে। যারা ওর গান শুনেছে, বেশ প্রশংসা করেছে। ও নিজের পথ নিজেই বেছে নিক, আমাদের কোনো জোর নেই। তবে আমাদের চাওয়া হচ্ছে, যদি গানই করতে চায় তাহলে আগে শিখতে হবে।

 

অবসরে কী করেন?

বাগান করার খুব আগ্রহ। টবে অনেক গাছ আছে। সেগুলো পরিচর্যা করি। সবার আগে সংসারকে প্রাধান্য দিই। সংসারের কাজের ফাঁকে ভালো ভালো গান শুনি। বই পড়ি। সেলাই করা আমার শখ। সময় পেলে সেলাইয়ের কাজ করি। বাসায় শাশুড়ি আছেন, আমার নিজের বাবা আছেন। তাদের দেখভাল করি।

সর্বশেষ খবর