রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

তারকাদের পূজা উৎসব

তারকাদের পূজা উৎসব

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সেই উৎসবে মেতেছে আজ সবাই। পূজাকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা আর ব্যস্ততা থাকে সবার। শারদীয় আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে শোবিজ তারকাদের মাঝেও। লাইট-ক্যামেরা আর অ্যাকশনের ফাঁকে কেমন কাটবে তারকাদের পূজার আনন্দ। কেমন কেটেছে ছোটবেলার পূজার আনন্দ। সে কথাই বলেছেন কয়েকজন তারকা। তাদের কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

সবাই সেলফি তুলতে চান : বিদ্যা সিনহা মিম

ছোটবেলার পূজায় তো অনেক আনন্দ হতো। পূজায় মামাবাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম। মামার বাড়িতে পূজার আনন্দ একটু অন্যরকম হতো। পূজা মানেই সকলবেলা উঠে অঞ্জলি দেওয়া। সারা দিন নতুন পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানো এবং সবাই মিলে সারা দিন খুব মজা করা। পূজার সময় নতুন পোশাকের অপেক্ষায় থাকতাম, এখনো থাকি। তারকা হওয়ার আগের এবং পরের পূজার মাঝে পার্থক্য তো অবশ্যই আছে। আগে পূজার সময় ম-পে ঘুরতাম, কেউ তেমন একটা চিনত না। কিন্তু এখন সবাই চেনে। সবাই ঘুরে ঘুরে তাকায়, কাছে আসে এবং কথা বলতে চায়। এখন তো আবার সেলফির যুগ। অনেকেই আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে চান। অবশ্য এগুলো আমি বেশ এনজয়ই করি।

 

সারা বছর অপেক্ষা করতাম : চঞ্চল চৌধুরী

যখন ছোট ছিলাম। নতুন পোশাকের আনন্দ ছিল। সারা বছর অপেক্ষা করতাম পূজার জন্য, নতুন পোশাক পাব বলে এবং বারবার দর্জির দোকানে যেতাম। রীতিমতো দোকানদারও বিরক্ত হতেন। তার পরও যেতাম কারণ বছরে একবার নতুন পোশাক পাওয়া খুবই আনন্দের বিষয় ছিল।

ছোটবেলার পূজা ছিল পোশাককে কেন্দ্র করে। দিনের পরিবর্তনে সেই শৈশব-কৈশোর পার হয়ে এসে এখন আমার সন্তান পূজা উৎসবের দিনগুলোতে আনন্দ করবে। এখন সেই আনন্দ পূরণ করার দায়িত্বটা আমার। এখন নিজের জন্য সেভাবে আনন্দ করা হয় না। ছোটবেলায় এক মাস আগ থেকে অপেক্ষা করতাম পূজার জন্য।

 

পূজা মানেই ছেলেবেলা : অপর্ণা ঘোষ

আমি তখন ক্লাস ফোর বা ফাইভে পড়ি। আমাকে কুমারী সাজানো হয়েছিল। সেটা জীবনের অনেক বড় স্মৃতি। আর পূজায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ানোর অন্যরকম আনন্দ।

কিন্তু এখন সেই আনন্দ করা যায় না। এখন পূজামন্ডপে গেলে অনেকেই এসে ছবি তুলতে চায়, কথা বলতে চায়। এতে নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ানো যায় না। ছোটবেলায় ষষ্ঠী থেকে দশমী চার দিনই মহা আনন্দে কাটাতাম। আমাদের বাড়ি চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ নালাপাড়ায়। শুরুর দিন পাড়ার মন্ডপে ঘুরতাম। সপ্তমী ও অষ্টমী তোলা থাকত বাইরের মন্ডপের ঠাকুর দেখার জন্য। প্রতিমা বিসর্জনের দিন চলে যেতাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। এখন কাজের ব্যস্ততায় আর আগের মতো আনন্দ করা যায় না।

 

পূজার সময়টা বেশ কষ্টের : উর্মিলা আমার জীবনে আর কোনো দিন পূজা হয়তো বিশেষভাবে আসবে না। কারণ, বাবাকে হারিয়ে ভীষণ একা হয়ে গেছি। এখন পূজা এলেই মন খারাপ হয়। বাবা মারা যাওয়ার আগে একটি স্মরণীয় স্মৃতি আছে। মৃত্যুর ছয় দিন আগে আমাকে পাঁচটি শাড়ি কিনে দেয়। সব শাড়িই ছিল আমার পছন্দের। যার কারণে পূজার সময়টা আমার জন্য এখন বেশ কষ্টের। এটি চিরজীবনের জন্য।

 

উপহার পেতে ভালো লাগত : শিপন মিত্র

ছোটবেলায় পূজার উপহার পেতে খুবই ভালো লাগত। দশমীর সময় সালাম করলে বকশিশ পেতাম। সেই দিনগুলো খুব মিস করি। তারকা হওয়ার পর অন্যরকমভাবে সম্মান পাই।

পূজামন্ডপে গেলে সবাই খুব সম্মান করে। ছোটবেলায় কে কয়টি নতুন জামা পেল, কারটি বেশি সুন্দর প্রতিযোগিতা ছিল। খারাপ হলে অভিমান করা। এখন উপহার দিতে দিতে ক্লান্ত। কাউকে না দিতে পারলে অভিমান করে।

 

দুই মেয়ের আনন্দই আমার তৃপ্তি : চিত্রলেখা

আমার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম। বিয়ের পর থেকে সাধারণত দুর্গাপূজায় কুমিল্লা শহরেই থাকি। সেখানেই আমার শ্বশুরবাড়ি। বিশেষত পূজার চার দিন সেখানেই পূজা উদযাপন করি। সবার জন্য  কেনাকাটা করে তবেই কুমিল্লায় যাই। চারটি দিন বিশেষ আনন্দে কাটে আমার। আমার দুই মেয়ে অর্নিলা ও অর্নিশা পূজায় খুব আনন্দ করে এটাই যেন আমার তৃপ্তি।

 

কাছের মানুষদের উপহার দেব : বাপ্পা মজুমদার

পূজার আয়োজন তো এখন আর বাড়িতে তেমন করে হয় না। আর মা-বাবা চলে যাওয়ার পর তো রেওয়াজটা আরও কমে গেছে। বাইরেই বড় করে হয়। প্রস্তুতি বলতে তেমন কিছু নেই। কাছের মানুষদের নতুন কিছু উপহার দেব। সেটা তো বরাবরের মতো চলবেই।

 

ঢাক বাজনায় ছিল আকর্ষণ : কুমার বিশ্বজিৎ

পূজার আনন্দ এখন আর মন্ডপে গিয়ে সেভাবে করা হয়ে ওঠে না। তবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ ছিল ঢাক বাজানোর প্রতি। বড় ধরনের দুর্বলতা কাজ করত। পূজার ঢাক, মেয়েদের নূপুরের শব্দ আমার সংগীত জীবনের বড় প্রভাব।

এ জন্যই তোমরা একতারা বাজাইও না, দোতারা বাজাইয়ো না... পূজা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কণ্ঠে ধারণ করি। আমার বেশিরভাগ গানে ঢাকঢোল রাখার চেষ্টা করি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর