শাকিরা ‘হিপস ডোন্ট লাই’, ‘ওয়াকা ওয়াকা’, ‘লোকা’ গেয়ে  নেচেছেন। আর তার সঙ্গে নেচেছে পুরো বিশ্ব। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত অ্যালবামের মালিকদের একজন। বিশ্বব্যাপী তার অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি। কলম্বিয়ার শাকিরার মাতৃভাষা স্প্যানিশ হলেও অনর্গল ইংরেজি, পর্তুগিজ ও ইতালীয় ভাষায় কথা বলতে পারেন। ২০১৭ সালে সেই শাকিরা দেখলেন জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। ডাক্তার জানান, ‘আর কখনো কথা বলতে পারবেন না, এমনও হতে পারে।’ সেই সব খারাপ দিন পার করে ‘এল ডোরাডো ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ শেষ করেছেন শাকিরা। ২২টি দেশের সেই ওয়ার্ল্ড ট্যুরের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছে বুধবার। ২০১৭ সালের নভেম্বরে অতিরিক্ত সংগীতচর্চার কারণে তার গলায় রক্তক্ষরণ হয় এবং কণ্ঠের জটিল সমস্যা ধরা পড়ে। ডাক্তার শাকিরাকে কথা বলা বন্ধ করার পরামর্শ দেন। ডাক্তার তখন বলেছেন, ‘কণ্ঠের ওপর কোনো চাপ দেওয়া যাবে না।’ দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে সেসব দিনের কথা। শাকিরা বলেন, ‘আমি জানতাম, আমার তারুণ্য, আমার সৌন্দর্য সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাবে। আমি সে জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু কণ্ঠ হারিয়ে যাবে,  তা কল্পনাও করিনি।’ শাকিরা আরও জানান, কণ্ঠ তার অস্তিত্ব। কণ্ঠ ছাড়া তার বেঁচে

থাকা আর না থাকার কোনো মানে নেই। তখন শাকিরা অন্যদের সঙ্গে ইশারায়  যোগাযোগের চেষ্টা করতেন। কিন্তু তার কথা কেউ বুঝত না। তাই লিখে যোগাযোগ করতেন। তখন তার বাচ্চারা এতটাই ছোট যে, লেখাপড়া করতে পারত না। এখন তার বড় ছেলের বয়স চার আর  ছোট ছেলের দুই বছর।