ঢাকাই চলচ্চিত্রে পরিবর্তন চায় দর্শক-নির্মাতারা। শিল্পী, গান, গল্প, নির্মাণ থেকে শুরু করে ছবির সব ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন সবার কাম্য। এদিক থেকে শিল্পীর নাম প্রথমেই উঠে আসে। দর্শক শিল্পীদের বেলায়ও নতুন মুখ খোঁজে। দর্শকের এই চাহিদা পূরণ করে এগিয়ে চলেছে বেশ কজন নায়িকা। এর মধ্যে জয়া আহসান থেকে পরীমণির কথা উল্লেখ করতে হয়। ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ ছবির মাধ্যমে ছোট পর্দার মডেল-অভিনেত্রী জয়ার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে। দর্শক তাকে চলচ্চিত্রেও সাদরে গ্রহণ করে। জয়া তার অনবদ্য অভিনয় দিয়ে কেবল দর্শক মনই জয় করেননি, একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। অন্যদিকে নিজের অভিনয় প্রতিভাকে জয়া শুধু নিজ দেশেই সীমিত রাখেননি, ওপার বাংলা মানে কলকাতার চলচ্চিত্র দর্শকদেরও সমানভাবে মাতিয়েছেন। সেখানে প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি লাভ করেছেন টেলিসিনে ও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। বর্তমানে জয়া দুই বাংলায় সমান ব্যস্ততায় এগিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশে তার হাতে রয়েছে আমি প্রজা হব, বিউটি সার্কাস, মেসিডোনা, আলতাবানু ছবি আর সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হতে চলেছেন নকশীকাঁথার জমিন ছবিতে। অন্যদিকে কলকাতায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ভূতপরী, রবিবার, অর্ধাঙ্গিনী ছবিগুলো। জয়ার পরই সাড়া জাগানো নায়িকার তালিকায় রয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশার নাম। ছোট পর্দার এই মডেল-অভিনেত্রী ২০০৯ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ডপার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য অন্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- টেলিভিশন, রানওয়ে, অস্তিত্ব, ডুব, ফাগুন হাওয়া এবং হালদা। অস্তিত্ব ও হালদা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে এ পর্যন্ত দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
এখন তিশার হাতে রয়েছে শনিবার বিকেল, কুয়াশা, বোবারহস্য প্রভৃতি স্থানীয় ও কলকাতার ছবি। ২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মাহিয়া মাহী বড় পর্দায় এসে সফল হন ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মাধ্যমে। এরপর রোমান্টিক ও অ্যাকশন ঘরানার একডজনেরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকার আসনটি নিজের দখলে রাখেন। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় করে কলকাতায়ও সমান দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন মাহী। বর্তমানে মাহীর হাতে আছে আনন্দ অশ্রু, মন দেব মন নেব, প্রেমের বাঁধন, গোলাপতলীর কাজল প্রভৃতি ছবি। ২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরীর ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ববির। এ পর্যন্ত অর্ধডজনেরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে দর্শক মনে স্থান করে নেন তিনি। আগামীতে ববি আসছেন জঙ্গি, কলকাতার রক্তমুখী নীলা, বৃদ্ধাশ্রম ‘পিকনিক’ ও ‘বি হ্যাপি’ ছবিগুলো নিয়ে। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৭ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করে একই বছর হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিদ্যা সিনহা মিমের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ২০১৪ সালে ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন মিম। এ পর্যন্ত ১১টি ছবিতে অভিনয় করে দর্শক নজর কেড়েছেন তিনি। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে ‘ওয়েব সিরিজ বিউটি অ্যান্ড বুলেট’,