সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → অন্তু করিম

ফিল্মে আসার কোনো ইচ্ছা নেই

ফিল্মে আসার কোনো ইচ্ছা নেই

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা অন্তু করিম। ‘এক জীবন’ গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়ে পেয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয়তা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।  কাজ করে চলেছেন নিয়মিত। অভিনয়ের পাশাপাশি এখন ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত রয়েছেন। বর্তমান ব্যস্ততা ও অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

শোবিজে লাইমলাইটে আসার পেছনে কোন কাজকে এগিয়ে রাখবেন?

কাজ তো করি অনেক বছর যাবৎ। তবে মিডিয়া জগতের টার্নিং পয়েন্ট যদি বলি, তবে শহীদ-শুভমিতার গাওয়া ‘এক জীবন’-এর মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে কাজ করা। ভিডিওটি নির্মাণ করেছিলেন শিমুল হাওলাদার। এই মিউজিক ভিডিওতে যারাই ছিলাম, সবারই বলা যায় টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এমনকি ওখানে পাসিং শট দিয়েছিলেন একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট। আমি বলব, এর মাধ্যমে তারও একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল।

 

নিজেকে যদি বিশ্লেষণ করতে বলা হয়...

প্রথমেই বলব, আমি খুবই পরিশ্রমী। আমি যে কোনো কাজই শ্রদ্ধা ও গুরুত্ব দিয়ে করি। তা যত ছোট হোক বা বড়। আজ পর্যন্ত সেটে কখনো দেরি করে যাইনি। নির্মাতা ও ক্রুদের আগেই আমি শুটিং সেটে পৌঁছে গেছি। এর নেপথ্যে কিছু কারণও আছে। ছোটবেলায় থিয়েটার করতাম। সে সময় তিন মাস যাবৎ রিহার্সেল করার পর ফাইনাল শো হতো। একবার স্টেজ রিহার্সেল পরপর তিন দিন ছিল। সব সংলাপ, সিন মুখস্থ। শোর দুই দিন আগের এক দিন স্টেজ রিহার্সেলে না যাওয়ার কারণে আমি শো থেকে বাদ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি শোটি করতে পারিনি। সেই থেকে শিক্ষা নিয়েছি। তারপর থেকে কখনো কোথাও শুটিং হলে আমি দেরি করে যাইনি।

 

জনপ্রিয়তা আপনাকে কতটা আন্দোলিত করে?

আমি খুবই সাধারণ ঘরের এবং সাধারণ একটি ছেলে। যখন দেখলাম একসময় বেশির ভাগ মানুষ আমাকে চিনতে শুরু করল, তখন আমি একে সহজভাবেই নিয়েছি। আমি মনে করি, জনপ্রিয়তা সবার একরকম স্থায়ী হয় না, আমারও হবে না। আমাকে ক্যামেরায় যেমন দেখেন, বাস্তবে ঠিক একই রকম। বেশি প্রশংসা করলে খুব ভয় পাই। তাই কারও প্রশংসায় গদগদ হওয়ার চেষ্টাও করি না। তবে, সবার ভালোবাসা ধরে রাখার জন্য অনেক বেশি লোভী বলতে পারেন আমাকে।

 

এ পর্যন্ত কতগুলো বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও করেছেন?

বিজ্ঞাপন করেছি প্রায় ৫০টি আর মিউজিক ভিডিও সবমিলিয়ে ১৫টির মতো হবে।

 

ব্যবসায়ী অন্তু করিম-বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

আমি বেসিক্যালি চাইল্ড হেলথ নিয়ে কাজ করি। একযুগেরও বেশি সময় ধরে এই কাজের সঙ্গে আছি। এটি জাপানিজ বেবিকেয়ার ব্যান্ড, নাম কুডোমো। এর বাংলাদেশের সোল এজেন্ট আমি। সারা দেশে আমি  প্রোডাক্টটাকে ছড়িয়ে দিয়েছি। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম প্যান্টাগন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। আল্লাহর রহমতে, গত ১০-১২ বছর ধরে এই প্রোডাক্টের সহযোগিতায় কোটি কোটি শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর বিভিন্ন প্রসাধনী, স্টেশনারি ও বাচ্চাদের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছি। এছাড়াও পাটজাতীয় কিছু পণ্যও বাইরের দেশে আমদানিও করছি আমি ।

 

একটি ওয়েব সিরিজ করেছিলেন। সেটি কবে রিলিজ পাবে?

এটি বাংলাদেশে নির্মিত চার ভাষার ওয়েব সিরিজ ‘সাজিদ-দ্য প্রোটেকটর’। বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ ও আরবি এই চার ভাষায় কনটেক্স জি-ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে। অ্যাকশন-থ্রিলারধর্মী এই ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন অনিক কান্তি সরকার। গল্প লিখেছেন অনিক কান্তি সরকার ও নোমান হোসেন। এটি এ বছরের শেষে আসবে আশা করছি। 

 

বড় পর্দায় দেখতে পাব কবে?

একজন আর্টিস্টের এমন কথা শুনলে অবাক হবেন। তারপরও বলব, আমার আসলে ফিল্মে আসার কোনো ইচ্ছা নেই। যদিও নতুন একটি ফিল্মের কাজ শুরু করেছি নাম ‘দীপ নেভার আগে’।

 

নিজেকে কোন পরিচয়ে পরিচিত করতে চান?

আমাকে মানুষ যেভাবে চেনে, সেভাবেই থাকতে চাই। পেশাগত শিল্পী বা      শৌখিন শিল্পী যা ভাবুক সে পরিচয়েই থাকতে চাই। যেহেতু এ পেশাটাকে ভালোবাসি, সেহেতু আগামীতে প্রযোজনা করার ইচ্ছা আছে।

সর্বশেষ খবর