বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → অপর্ণা ঘোষ

সুবর্ণা আপাকে বাঘের মতো ভয় পাই

সুবর্ণা আপাকে বাঘের মতো ভয় পাই

জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ।  ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রের জন্য অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘ভুবন মাঝি’খ্যাত নির্মাতা ফাখরুল আরেফিনের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘গন্ডি’তে অভিনয় করেছেন।  সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

‘ভুবন মাঝি’র পর একই নির্মাতার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘গণ্ডি’তে অভিনয় করেছেন। দ্বিতীয়বার কোনো তাড়না থেকে কাজটি করেছেন?

আসলে ‘ভুবন মাঝি’ ছবিটি করার পর ভাইয়ার (ফাখরুল আরেফিন) ওপর বিশ্বাস বেড়ে গেছে বহুগুণ। ভুবন মাঝি ছবিটি নিয়ে তার সঙ্গে অনেক ফেস্টিভ্যাল ঘুরেছি। অনেক কিছু জেনেছি, শিখেছি। তাই ‘গন্ডি’ ছবিটি করতে দ্বিতীয়বার ভাবিনি। গন্ডি করতে গিয়ে বুঝেছি, তিনি কি চাচ্ছেন। তিনি তার ডিরেকশনের জায়গাটা ক্লিয়ার করেছেন। আমি আমার মতো করে কাজটি করে গেছি শুধু। আর শ্রদ্ধেয় সব্যসাচী ও সুবর্ণা আপা আছে বলে ছবিটিতে অভিনয়ে মিস করতে চাইনি। একটি সিকোয়েন্স হলেও করতাম।

 

নির্মাতার সঙ্গে আপনার বোঝাপড়াটা কেমন ছিল?

বোঝাপড়াটা বলতে গেলে একশতে একশ। আমি তো তার একজন ফ্যামিলি মেম্বার। তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতো। ‘ভুবন মাঝি’ ছবি থেকেই দেখে আসছি, তিনি একা আনন্দ করতে পছন্দ করেন না। সবাইকে নিয়ে আনন্দ করতে পছন্দ করেন। তিনি অনেক কিছু জানেন। তার সঙ্গে থেকে কিছু শিখতে পারলেও লাভ। তাই গন্ডি ছবির স্টোরি যখন তিনি শোনালেন, তখন কোনো কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যাই ছবিটি করতে।

 

‘গণ্ডি’র কাহিনি কী বিষয় নিয়ে?

এটি একটি ফ্রেন্ডশিপ স্টোরি। রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার এই চলচ্চিত্রটির কাহিনি গড়ে উঠেছে ষাটোর্ধ্ব বয়সী দুজন নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব নিয়ে। জীবনের শেষ সময় অবসরে থাকা এই দুজনের বন্ধুত্ব কেমন হয়, পরিবার ও আশপাশের মানুষ বিষয়টিকে কীভাবে নেয়- সেটাই উঠে আসবে চলচ্চিত্রটিতে।

 

চলচ্চিত্রটিতে আপনার চরিত্রটি কোন ধরনের?

আমার চরিত্রের নাম মিলি, এন্টিপ্রোটোগনিস্ট চরিত্র। আমি হচ্ছি ষাটোর্ধ্ব সব্যসাচীর ছেলে মাজনুন মিজানের স্ত্রী। থাকি লন্ডনে।

 

সুবর্ণা, সব্যসাচী, মাজনুন মিজান ও আমান রেজার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে কেমন লেগেছে?

সুবর্ণা আপাকে আমি বাঘের মতো ভয় পাই। তার অভিনয়ের ভক্ত আমি। গন্ডির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছি। তার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতে পারাটা পরম সৌভাগ্যের। আর ফেলুদার মাধ্যমে শ্রদ্ধেয় সব্যসাচীকে চিনি। ভেবেছিলাম তিনি গম্ভীর প্রকৃতির হবেন। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, তার স্বভাব বাচ্চাসুলভ, অনেক সাধারণ তিনি। আসলে সুবর্ণা আপা ও সব্যসাচীদার মতো সিনিয়র মানুষের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলে অনেক কিছু শেখা যায়। মিজান ভাই সহশিল্পী হিসেবে চমৎকার! আমান রেজাও ভালো অভিনয় করেছেন।

 

গণ্ডির কাজ তো শেষ। মুক্তি পাবে কবে?

শুটিং শেষ। এডিটিং আর ডাবিংও শেষ হয়েছে। তবে মুক্তির বিষয়টা আরেফিন ভাইয়ের ওপর নির্ভর করছে। তিনি অবশ্য ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন।

 

মানিক মানবিকের একটি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল...

শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘ছেলেটি অ™ভুত’। মানিকদা আমার অনেক ফেভারিট। তার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম; তবে ছবিটি শেষ পর্যন্ত করা হয়নি।

 

‘লিলিথ’ চলচ্চিত্রটি কেমন হবে?

এটি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি নাটক ভেবেই কাজটি করেছি। মাত্র দুদিন শুটিং করে কি চলচ্চিত্র হয়? একটি নাটককে কীভাবে তিনি চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি দেবেন জানি না! এটি দেখে তারপর বলা যাবে কেমন হবে।

সর্বশেষ খবর