সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → জায়েদ খান

শিল্পীদের রক্ষায় প্রণোদনা চাই

শিল্পীদের রক্ষায় প্রণোদনা চাই

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির  সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় অভিনেতা জায়েদ খান। করোনার মধ্যেও নিজের জীবন তুচ্ছ করে অসহায় শিল্পী-কলাকুশলীদের নিরলস সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। চলচ্চিত্র ও শিল্পীদের নিয়ে তার বলা কথা তুলে ধরেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

 

করোনায় চলচ্চিত্র শিল্প বন্ধ, এতে ক্ষতির কেমন আশঙ্কা করছেন?

এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পের অবস্থা শোচনীয়। এর ওপর করোনার কারণে শিল্পটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এই ক্ষতি অপূরণীয়। একমাত্র সরকারই পারে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই শিল্পটিকে রক্ষা করতে।

 

সরকার কীভাবে শিল্পটিকে রক্ষা করবে?

আগামী জুনে জাতীয় বাজেট পেশ করা হবে। বাজেটে যদি চলচ্চিত্র ও এর মানুষের জন্য থোক বরাদ্দ রাখা হয় এবং বর্তমানে যেসব শিল্পী ও কলাকুশলী বেকার ও উপোস করছেন তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হলে এই শিল্প ও এর সঙ্গে যুক্তরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

 

অসহায় শিল্পীর সংখ্যা কেমন?

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য প্রায় ৫ শতাধিক। এর মধ্যে অসচ্ছল প্রায় তিন শতাধিক। অসহায় শিল্পী-কলাকুশলী ও মিডিয়ার অসচ্ছল মানুষকে বাঁচাতে এ পর্যন্ত ৫ দফায় প্রায় ১২ শতাধিক মানুষের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছি। সমিতির ফান্ডে কোনো অর্থ নেই। আমি এই করোনাঝুঁকির মধ্যেও নিজের জীবনের মায়া তুচ্ছ করে প্রতিনিয়ত  সহযোগিতা নিয়ে সবার ঘরে ছুটে যাচ্ছি। আমাকে এ কাজে যারা সহযোগিতা করছেন তাদের মধ্যে মিশা সওদাগর, ডিপজল ও অনন্ত ভাই অন্যতম। শুধু চলচ্চিত্রের শিল্পী- কলাকুশলী নয়, এর বাইরে যারা সহযোগিতার জন্য ছুটে আসছেন যেমন কণ্ঠশিল্পী আকবর, তাকেও শূন্য হাতে ফিরাইনি।

 

শিল্পী সমিতির ফান্ড নেই, এভাবে কতদিন পরনির্ভরশীল হয়ে সহযোগিতা করা সম্ভব?

দেখুন শিল্পীরা হলেন চলচ্চিত্রের প্রধান একটি অংশ। এদের রক্ষার দায়িত্ব ভোটের মাধ্যমে সদস্যরা আমাকে দিয়েছেন। আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস দিয়ে হলেও তাদের রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাব। কতদিন এই মহামারী চলবে তা কেউ জানে না। এই অবস্থায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখা সত্যিই কঠিন। এর জন্য আমি আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী, যিনি সবসময় চলচ্চিত্রের মানুষের দুর্দিনে তাদের মাথার ওপর নিরাপত্তার ছায়া হয়ে আছেন তার কাছে বিনীত অনুরোধ করব অসহায় শিল্পীদের বাঁচাতে তাদের জন্য প্রণোদনা, বিনা সুদে ঋণ বা শিল্পী সমিতির ফান্ডে একটি বড় অঙ্কের অনুদান দিন। তাদের জীবন বাঁচান। তারা না বাঁচলে এই শিল্প পঙ্গু হয়ে যাবে। কারণ একজন শিল্পী বা কলাকুশলী তৈরি করতে কয়েক যুগ লেগে যায়। এরা যদি বেঁচে থাকে তাহলে দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর দ্রুত তাদের নিয়ে এই শিল্পের চাকা সচল করা সম্ভব হবে। সামনে ঈদ, এসব মানুষের জন্য তখন আর্থিক সহযোগিতা দরকার হবে। শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধ আছে, তারা চাইলেই যে কারও কাছে হাত পাততে পারেন না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই পারেন তাদের রক্ষা করতে।           

 

সরকারের কাছে এ ব্যাপারে অফিশিয়ালি আবেদন করেছেন?

শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহযোগিতার জন্য লিখিত আবেদন করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার অপেক্ষায় আছি।

 

আপনার চলচ্চিত্রের কাজের কথা জানতে চাই।

দেখুন, ৫ মে থেকে আমার চুক্তিবদ্ধ হওয়া মালেক আফসারি পরিচালিত ‘টেনশন’ ছবির কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তাছাড়া আমার অভিনীত ‘বাহাদুরী’সহ বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সবই করোনা দুর্যোগের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে। সত্যিই খুব আফঙ্কায় আছি। সবার দোয়া চাই।

সর্বশেষ খবর