বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উত্তপ্ত করে রেখেছে নেটফ্লিক্সের একটি সিনেমা, এক্সট্রাকশন। এই ছবির শুরুটাই ছিল ভুল দিয়ে। যেমন স্প্যানিশ শব্দ সিউদাদ অর্থ শহর। তাই প্রথমে এই ছবির নাম ছিল ঢাকা। চিত্রনাট্যকার জো রুশো এই গল্প নিয়ে বই প্রকাশেরও আগে ২০১২ সালে একটা সিনেমা করতে চেয়েছিলেন। সেই ছবিতে টাইলার চরিত্রের জন্য ডোয়াইন জনসনকে চুক্তিবদ্ধও করা হয়েছিল। সিনেমাটির গল্প ছিল প্যারাগুয়ের প্রেক্ষাপটে। ছয় বছর পর প্যারাগুয়ের জায়গা নিল ঢাকা। আর ডোয়াইন জনসন হয়ে গেলেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা, ৩৬ বছর বয়সী ‘থর’ ক্রিস হেমসওর্থ। বইয়ে, এক মাফিয়ার মেয়েকে অপহরণ করে লুকিয়ে রাখা হয় পৃথিবীর নিকৃষ্ট স্থানে। তাই বলে, বাংলাদেশের ঢাকা সেই নিকৃষ্ট স্থান কেন সেটা পরিচালকই ভালো বলতে পারবেন। পর্দায় এই মাফিয়া চরিত্রে দেখা দিয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। তার ১৪ বছর বয়সী ছেলে অভি মহাজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাংলাদেশের ড্রাগ মাফিয়া আমির আসিফ। পঙ্কজ ত্রিপাঠি জেলে বন্দী। তাই বাইরে থেকে তার সব কর্ম দেখাশোনা করে তার প্রধান সহকারী রণদীপ হুদা। রণদীপ হুদার ওপর দায়িত্ব পড়ে বসের ছেলে অভিকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করে আনার। হলিউডের স্ট্যান্টম্যান স্যাম হারগেভের পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবি। ছবিটি মূলত প্রযোজনা করেছেন হলিউডের জনপ্রিয় দুই ভাই, এন্টনি রুশো আর জো রুশো। অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থ নিজেও এই ছবির অন্যতম প্রযোজক। প্রায় পুরো সিনেমার ব্যাকড্রপে ঢাকা। কিন্তু এই ঢাকা ঢাকা শহরবাসীর অজানা, অচেনা। ঢাকায় শুটিংও প্রায় হয়নি বললেই চলে। ভারতের আহমেদাবাদে বানিয়ে ফেলেছেন পুরান ঢাকা। ঢাকায় ঢাকার বিশেষ কিছু নেই। রিকশার শহর ঢাকা হয়ে গেছে অটোরিকশার শহর। অটোরিকশার পেছনে লেখা, ‘নাসিব পরিবহন’। সাইনবোর্ডে লেখা ‘এই দোকান বিক্রি হবে’।