এখন থেকে আইয়ুব বাচ্চুর সব সৃষ্টি ও এককভাবে তার রচিত, সুরারোপিত ও নিজ কণ্ঠে পরিবেশিত ২৭টি অ্যালবামের সৃষ্টিকর্ম ও পাশাপাশি ‘এলআরবি’ নামে কার্যক্রম চালানো সম্পূর্ণ অবৈধ বলে জানিয়েছেন শিল্পীর দুই সন্তান ফাইরুয সাফরা আইয়ুব ও আহনাফ তাযওয়ার আইয়ুব। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইয়ুব বাচ্চুর দুই সন্তান ফাইরুয সাফরা ও আহনাফ তাযওয়ার এবং স্ত্রী চন্দনা আইয়ুব এ তথ্য জানিয়েছেন। সন্তানরা বলেন, একজন শিল্পী এবং তার সংগীতের স্রষ্টা হিসেবে আমার বাবুই তার সৃষ্টিকর্মগুলো দীর্ঘকাল আগেই কপিরাইট করার জন্য উদ্যোগী হন। বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পার হয়ে তিনি তার গানের পুরো তালিকা কপিরাইট নিবন্ধিত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিলেন। আইনিভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং শিল্পীদের অধিকার এবং মালিকানা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার প্রতি বাবুই সর্বদা লড়াই করেছেন। তারা বলেন, তার অকাল মৃত্যুতে আমরা পরিবার হিসেবে তার লক্ষ্য পূরণে তার অসম্পূর্ণ স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। রায় এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। আইয়ুব বাচ্চুর সন্তানদ্বয় বলেন, এলআরবি নামে ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ আমার বাবুই আইয়ুব বাচ্চু সম্পূর্ণ এককভাবে নেন। তাই তিনি এককভাবে তার রচিত, সুরারোপিত ও নিজ কণ্ঠে পরিবেশিত ২৭টি অ্যালবামের সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট করার পাশাপাশি ‘এলআরবি’ নাম সংবলিত লোগো এবং ব্যান্ডটিও তার নামে নিবন্ধিত করেছিলেন। রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও তার রচিত, সুরারোপিত ও স্বকণ্ঠে পরিবেশিত আরও অসংখ্য গান রয়েছে, যেগুলো কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। তার অকাল মৃত্যুর পর সন্তান হিসেবে আমরা তার বৈধ স্বত্বাধিকারী। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছি যে, বিভিন্ন ব্যক্তি বিচ্ছিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ না করেই তার রচিত, সুরারোপিত ও নিজ কণ্ঠে পরিবেশিত গানগুলো কোনো স্ট্যান্ডার্ড বজায় না রেখে যেনতেনভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে গাইছেন, এমনকি বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করছেন। যা বাংলাদেশ কপিরাইট আইন লঙ্ঘন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর আইয়ুব বাচ্চু মারা যান। ৯০-এর দশকের শুরুতে তিনি তার নিজের ব্যান্ড এলআরবি প্রতিষ্ঠা করেন।