বলিউডের মতো হলিউডের অনেক নামি তারকাই ছিলেন মাদকে আসক্ত। মাদককান্ডে জড়িত এসব হলিউড তারকার অনেকেই জেল-জরিমানার সম্মুখীন হয়েছেন। আবার অনেক তারকাই নিজে থেকে অকপটে শেয়ার করেছেন মাদক সেবনের অভিজ্ঞতা। সেসব নিয়ে লিখেছেন - পান্থ আফজাল
জন লেনন
১৯৬৮ সালে বিটলসের জন লেননের লন্ডনের বাসায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় আধা গ্রাম মরফিন এবং ২০০ গ্রাম ভাং (সিদ্ধি)। সে সময় তিনি প্রায় ২০০ ডলার জরিমানা দিয়েছিলেন।
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র
মার্ভেল সুপারহিরো রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে গাঁজা, কোকেন এবং হেরোইনকান্ডে অনেকবার গ্রেফতার হন। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি কারাগারে ৬ মাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ১ বছর ছিলেন।
লুই আর্মস্ট্রং
বিখ্যাত ট্রাম্পেট প্লেয়ার ‘লুই আর্মস্ট্রং’ ১৯৩০ সালে গাঁজা রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং ছয় মাসের কারাদন্ড হয়। তাঁর জরিমানা হয় হাজার ডলার।
জিমি হেন্ড্রিক্স
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রক গিটারিস্ট জিমি হেন্ড্রিক্সকে ১৯৬৯ সালে টরেন্টো বিমানবন্দরে ব্যাগে হেরোইন থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তিনি ১০ হাজার ডলার ভর্তুকি দিয়ে জামিন পান।
লিন্ডসে লোহান
জনপ্রিয় অভিনেত্রী লিন্ডসে লোহান। তিনি মাদককান্ডে একাধিকবার গ্রেফতার হন। মজার বিষয় হচ্ছে, তিনি বিভিন্ন সময় ৮৪ মিনিট থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত কারাগারে কাটিয়েছেন।
উইলি নেলসন
টেক্সাসের কান্ট্রি মিউজিক সুপারস্টার উইলি নেলসনকে বলা হতো গাঁজার প্রবক্তা। তাঁকে ২০০৬ সালে লুইজিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। কারণ, তাঁর ট্যুর বাসে দেড় পাউন্ড গাঁজা এবং তিন আউন্স মাদকদ্রব্য পেয়েছিল পুলিশ।
ম্যাথিউ ম্যাককোনাঘি
অস্কার বিজয়ী অভিনেতা ম্যাথিউ ম্যাককোনাঘিকে ১৯৯৯ সালে তাঁর অস্টিনের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারণ হিসেবে জানা যায়, তিনি নগ্ন বাঙ্গো খেলছিলেন এবং তাঁর কাছে ছিল বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, গাঁজা। তিনি একটি কাউন্টি জেলে নয় ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন; তারপর হাজার ডলার বন্ডে মুক্তি পেয়েছিলেন।
মিশা বার্টন
জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দ্য ওসির অভিনেত্রী মিশা বার্টন ২০০৭ সালে গ্রেফতার হন অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানো এবং সঙ্গে গাঁজা রাখার অভিযোগে। এরপর সাত ঘণ্টা জেলে কাটানোর পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
ডেমি লোভাটো
মাত্র ১৭ বছর বয়সে এ তিনি কোকেন ব্যবহার করেন। ২০১০ সালে তিনি প্রথমে বাইপোলার এবং খাওয়ার ব্যাধিসহ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ আসক্তির জন্য চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
ব্র্যাডলি কুপার
ব্র্যাডলি কুপার বছরের পর বছর মাদক ও অ্যালকোহল ব্যবহার করে জীবন নষ্ট করছিলেন। যদিও ২০০৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি মাদক ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
এলটন জন
গায়ক এলটন জন এইডসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন অ্যালকোহল এবং কোকেন ব্যবহারে করে। তিনি ১৯৯০ সালে চিকিৎসা নেন এবং ২ বছর পর এলটন জন ‘এইডস ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন।
ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ
হ্যারি পটার তারকা ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ শেষ তিনটি পটার চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের সময় প্রচুর পান করেছিলেন।
অন্য যাঁরা...
নেশায় আসক্ত ছিলেন ব্যাটম্যান চরিত্রের অ্যাফ্লেক, অভিনেত্রী ডরু ব্যারিমোর, গিটার কিংবদন্তি এরিক ক্ল্যাপটন, অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস, গায়ক কিথ আরবান, মডেল-অভিনেত্রী অ্যাম্বার ভ্যালেটা, স্টার ওয়ার্স অভিনেত্রী ক্যারি ফিশার, তরুণ অভিনেতা রব লো, অভিনেতা ম্যাথু পেরি, অভিনেত্রী এডি ফ্যালকোসহ অনেকেই।