একজন অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীর প্রধান পরিচয় হচ্ছে তার অভিনয়। বলিউড কিংবা হলিউড, দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এর জন্য কেবল সুন্দর মুখশ্রী নয়, অভিনয় দক্ষতাও লাগে। সম্প্রতি দর্শক মাতিয়ে রাখা সেরা অভিনেত্রীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভ্যারাইটি ম্যাগাজিন। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-

চাইনিজ অভিনেত্রী ও মডেল ঝাং ২০০০ সালে ‘ক্রাউচিং টাইগার’, ‘হিডেন ড্রাগন’ সিনেমায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি সেরা সহায়ক অভিনেত্রীর জন্য ব্রিটিশ একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তিনি চীনের সফল অভিনেত্রীদের একজন হয়ে উঠেছেন।

রাভশানা কুরকোভা

উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অভিনেতাদের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রাভশানা ১২ বছর বয়সে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি আগে বিভিন্ন রাশিয়ান টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সম্পাদক এবং প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছিলেন। রুপালি পর্দায় বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় রাশিয়ান চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি থিয়েটারেও অভিনয় করেন।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা ভারতের বড় অভিনেত্রীই নন, তিনি সবচেয়ে প্রভাবশালীদের মধ্যেও একজন। টাইম এবং ফোর্বসের ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের তালিকায়ও আছে তার নাম। অভিনয়ের জন্য প্রচুর পুরস্কার জিতেছেন। পেয়েছেন নানা রকম সম্মাননা। শিশুদের অধিকারের জন্যও কাজ করেন জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।

ঐশ্বরিয়া রাই

১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট পরেন তিনি। তাকে সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী ভারতীয় অভিনেত্রীদের একজন বিবেচনা করা হয়। তিনি ইংরেজি, তামিল এবং বাংলা ভাষার সিনেমায় কাজ করেছেন।

ক্লদিয়া লিংকস

তিনি ইরানে জন্মগ্রহণ করেন। কানাডায় বেড়ে ওঠা। ক্লদিয়াকে পারস্য দেবী বলা হয় তার ক্ষমতার কারণে। একজন সফল মডেল হওয়ার পাশাপাশি তিনি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। বেশ কয়েকটি পপ অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন।

হাইফা ওয়েহবে

এই লেবানিজ অভিনেত্রী এবং গায়িকা ১৬ বছর বয়সে মিস লেবানন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় রানারআপ হন। পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় পপ তারকাদের একজন হয়ে ওঠেন। ৭টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি পুরস্কারও জিতেছেন। তিনি এলজিবিটি সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থনও প্রকাশ করেছেন।

সোফিয়া বুতেলা

আলজেরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সোফিয়া তার নাচের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। আলজেরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে তার পরিবার ১৯৯২ সালে ফ্রান্সে চলে যায়। তিনি হিপ-হপসহ বিভিন্ন নৃত্য শেখেন। পরবর্তীতে ম্যাডোনা, রিহানা এবং জাস্টিন টিম্বারলেকের মতো শিল্পীদের গানে নাচ করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি একজন অভিনেত্রী হিসেবে তার পথ খুঁজে পেয়েছেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে নেটফ্লিক্সের ‘সাই-ফাই’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

সাবা মোবারক

২০ বছর ধরে জর্ডানের টেলিভিশনে সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রীদের একজন। সাবা তার কাজের জন্য ২০০৩ সালের মধ্যপ্রাচ্য চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার এবং সেরা জর্ডানিয়ান এবং আরব অভিনেত্রীর পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছেন।

ফ্রিদা পিন্টো

ফ্রিদা অভিনয়ে যেতে ২০০৩ সালের একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী সিনেমা মনস্টার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ তার ক্যারিয়ারের জন্য ব্রেক-থ্রু সিনেমা। এর আগে তিনি বেশ কয়েকটি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন।

সিরিন আবদেলনৌর

সংগীত এবং অভিনয়ে লেবানিজ তারকার কর্মজীবন ১৯৯৮ সালে বিস্তৃত ছিল। তিনি ২০০৬ সালে একটি হিট পপ গান প্রকাশ করেছিলেন যা সেই বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় হিসেবে জায়গা করে নেয়। এ ছাড়াও তিনি চারবার সেরা লেবানিজ অভিনেত্রীর পুরস্কার (দ্য মিউরেক্স ডি-অর) জিতেছেন। তিনি দেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন।