শিরোনাম
বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : তাসনিয়া ফারিণ

ভিউ পেতে যাচ্ছেতাই কাজ করতে চাই না

ভিউ পেতে যাচ্ছেতাই কাজ করতে চাই না

দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি করেছেন বেশ কিছু একক নাটক-টেলিফিল্ম। ইদানীং ওয়েবফিল্ম ও সিরিজেও তিনি ব্যস্ত। ছোট পর্দার গন্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন বড় পর্দায়।  তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

খুব অল্প সময়ে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায়! তাও এ দেশের নয়। এই সিনেমার অফার লুফে নেওয়ার কারণ কী ছিল?

আসলে দেশের বা দেশের বাইরের কাজ, তা নিয়ে ভাবিনি। সব সময় ভেবেছি ভালো একটি কাজ করতে হবে। এই অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে সিনেমায় অভিনয়ের অনেক অফার এসেছে দেশ ও দেশের বাইরে থেকেও। কিন্তু করিনি। কারণ, সিনেমার বিষয়ে আমার কিছু টাইটেরিয়া ছিল। সেই টাইটেরিয়াগুলো পূরণ করতে পারেনি অফারগুলো। মোটকথা, ব্যাটে-বলে মিলছিল না। এটা মিলে তো ওটা মেলে না।

তবে ওপার বাংলার নির্মাতা অতনু ঘোষের ‘আরও এক পৃথিবী’ সিনেমায় আমি সব পেয়েছি। শতভাগ বলা যায়। এমন গল্পের সিনেমাই আমি খুঁজছিলাম। আর প্রথমবার মনের মতো এমন সিনেমা, তাই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইনি। তাঁর মতো গুণী একজন পরিচালক আমাকে হুট করে কাজে ডাকবেন, তাও আনএক্সপেক্টেড ছিল। তবে আমার অভিনীত ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’র ক্রেডিটটা এখানে অনেক। সেটার কারণেই আসলে আমি ডাক পাই এই সিনেমায়।

 

সিনেমাটির কাজ তো শেষ। এ সিনেমার প্রেক্ষাপট কী? এখানে আপনার চরিত্রে কতখানি বৈচিত্র্যতা দর্শকের চোখে পড়বে?

কাজ শেষ। লন্ডনে এই সিনেমার টানা ২০ দিন শুটিং হয়েছে। সিনেমাটির প্রেক্ষাপট লন্ডনকে ঘিরে। তাই পুরো শুটিং হয়েছে সেখানেই। মূলত চারজনের গল্প। যে চারজনের মাথার ওপর নিজস্ব ও বিশ্বস্ত ছাদ নেই। সেই ছাদ খোঁজার গল্প ফুটে উঠবে সিনেমায়। আবার চারটি আলাদা চরিত্র এক সুতায় বাঁধা পড়বে গল্পের প্রয়োজনেই। আমার চরিত্রের নাম প্রতীক্ষা। যে কি না ১১ বছর বয়স থেকেই অন্য চরিত্রের মাঝে নিজেকে খোঁজে। মননের খোঁজ করে। যাকে বলে সেলফ ডিসকভারি। এই প্রতীক্ষা একসময় বিশ্বস্ত ছাদের খোঁজে একটি সম্পর্কের সূত্রে পৌঁছায় লন্ডনে। বাকিটা আর বলা যাবে না... হাহাহা।

 

শুটিং করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

নতুন লোকেশন, নতুন টিম সবমিলিয়ে নতুন এক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এই সিনেমায় আমার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন তারা অনেক ফ্রেন্ডলি ছিল। শুটিংয়ের সময় আমরা অনেক মজা করেছি। মনেই হয়নি শুটিং করছি।

 

‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এ আফজাল হোসেনের সঙ্গে সমানতালে অভিনয় করেছেন। তাঁর সঙ্গে অভিনয় করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

যারা দুর্দান্ত, তাদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং থাকে না। ফারুকী ভাইয়ের ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এ আমি আফজাল হোসেনকে একটি চরিত্র হিসেবেই দেখেছি। আমি খুব লাকি যে, জীবনে একবার হলেও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি।

তিনি সত্যিই অনবদ্য ও দুর্দান্ত একজন অভিনেতা। তিনি অভিনয়ের সময় নানামাত্রিক সিচুয়েশন সৃষ্টি করেন। একজন জাত শিল্পী। মানুষ হিসেবেও তিনি অসাধারণ! তাঁর সবকিছু আমার জন্য অনুপ্রেরণার।

 

শিহাব শাহীনের ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ে সাড়া কেমন?

অনেকে ভালো বলেছেন, আবার অনেকে বলেছেন চরিত্রে গভীরতা কম ছিল। মিশ্র প্রতিক্রিয়া বলা যায়। আসলে নিজের চরিত্রকে তেমন করে হয়তো প্রোট্রেট করতে পারিনি। যেটা আমি প্রত্যাশা করেছিলাম। আমি মনে করি, সবসময় শিখছি। একটা লার্নিং প্রসেসে আছি এখনো।

 

আর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’...

এটি নিয়ে তো প্রচুর রেসপন্স পাই। এখনো। যেখানেই যাই, আমাকে এটির কারণে চেনে। কথা বলে এই কাজটি নিয়ে। অনেকে দেখা হলেও বলেন, তোমার সিনেমা কবে আসবে?

 

ঈদের পর নতুন কোনো নাটকে কাজ করেছেন?

এখনো কোনো নাটকে কাজ করিনি। ঈদের আগে চার-পাঁচটি নাটকে কাজ করেছিলাম। সেগুলো ঈদে প্রচার হয়েছে। বেশি কাজ করিনি। মে মাসে তো লন্ডনেই চলে যাই সিনেমার কাজে।

 

লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই ‘কারাগার’ করেছিলেন। এই ওয়েব সিরিজটি এবার আসছে...

হুমম... ১৪ জুন লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছি দুপুর ১২টায়। এরপর শুটিং ব্যাগ নিয়ে শুটিং স্পটে চলে যাই। দুপুর ১টায় ‘কারাগার’-এর শুটিং শুরু করি। তখন বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাইনি। তাকদিরের পর হইচইতে  সৈয়দ শাওকীর আরেকটি ভিন্নরকম কাজ। আশা করি, দর্শক নিরাশ হবেন না।

 

টিভি নাটকের সংকট থেকে উত্তরণের উপায় কী?

আমার এখনো এ বিষয় নিয়ে বলার সময় আসেনি। আমি কি করছি, কেমন করছি, শুধু এটি নিয়েই বলতে পারব। ভিউ পেতে যাচ্ছেতাই কাজ করতে চাই না। ঈদে রাফাত মজুমদার রিংকুর ‘অতিরিক্ত’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘খোঁপা’ ও মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘এখানেই শেষ নয়’ নিয়ে অনেক রেসপন্স পেয়েছি।  দর্শক প্রশংসা করেছে। বাকি কাজগুলোরও রেসপন্স ভালো।

সর্বশেষ খবর