পায়ে পায়ে ৮৫। ছয় দশক দাপিয়ে অভিনয় করেছেন বলিউডে। তাঁর ছবি দেখার জন্য ভোর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করত সিনেমা হলে। তিনি ওয়াহিদা রেহমান। আজ কিংবদন্তি অভিনেত্রীর জন্মদিনে রইল ফিরে দেখা...

৮৫-তে পা দিলেন। আজও তিনি গ্ল্যামার কুইন। আজও তিনি ডিভা। তিনি ওয়াহিদা রেহমান। ‘চৌধবি কা চাঁদ’-খ্যাত এই অভিনেত্রীর ১৯৫৫ সালে ‘রোজুলু মরায়ি’ নামের তেলুগু ছবির হাত ধরে রুপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ। ১৯৫৬ সালে ‘সিআইডি’, ’৫৭ সালে ‘পেয়াসা’, ’৫৯ সালে ‘কাগজ কে ফুল’, ’৬০ সালে ‘চৌধবি কা চাঁদ’, ’৬২ সালে ‘সাহেব বিবি গোলাম’-এর মতো ব্যাক টু ব্যাক হিট ছবির মাধ্যমে বলিউডের প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন ওয়াহিদা রেহমান। গুরু দত্তের সাহেব বিবি গোলাম ছবিটি এই অভিনেত্রীর মুকুটে সাফল্যের পালক এনে দেয়। প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এনে দেয় ছবিটিই। এরপর গাইড, নীল কমল, রাম আউর শাম, খামোশি ছবির মাধ্যমে অভিনেত্রীর প্রতিভা বিকশিত হতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে রেশমা আউর শেরা ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। পরের বছর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। ২০১১ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান দিয়ে কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানায় ভারত সরকার। জন্ম ১৯৩৮ সালে চাংগলপেটে (বর্তমান তামিলনাড়ু)। ছোট থেকেই ভরতনাট্যমের তালিম নিয়েছেন। স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। মায়ের অসুখ এবং সাংসারিক টানাপোড়েনের কারণে সেই স্বপ্নকে ধাওয়া করতে পারেননি। তবে হেরে যাননি। নিজের নাচের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে টিনসেলে দখল করে নিয়েছেন নিজের স্থান। অভিনয় দক্ষতাও দুর্দান্ত। এতটাই পারদর্শিতা ছিল যে, ১৯৭৬ সালে আদালত ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের প্রেমিকা এবং ১৯৭৮ সালে ত্রিশূল এবং ১০৮২ সালে কুলি ছবিতে তাঁর মায়ের ভূমিকায় পর্দা মাতিয়ে দিয়েছিলেন। বলাবাহুল্য, সাতের দশকে ওয়াহিদা  রেহমানের জন্যই বলিউডের অনেক গুণ জৌলুস বেড়েছিল। আশি পেরিয়েও কিন্তু এতটুকুও ফিকে হয়নি গ্ল্যামার। অগণিত ছবিতে অভিনয় করেছেন ক্যারিয়ারের প্রাইম টাইমে। ২০২০ সালেও অভিনয় করেছেন ‘ডেসার্ট ডলফিন’ নামক ছবিতে। এ ছাড়াও বিশ্বরূপম ২, আরশিনগরের মতো ছবিতেও দেখা গেছে তাঁকে।