শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

হুমায়ূন আহমেদের লেখা অপ্রকাশিত গান আসছে

সেলিম চৌধুরী

হুমায়ূন আহমেদের লেখা অপ্রকাশিত গান আসছে

সংগীতশিল্পী সেলিম চৌধুরী। পড়াশোনা করেছেন মাইক্রোবায়োলজিতে। ছিলেন স্কলার স্টুডেন্ট। ছোটবেলা থেকেই গান করতেন। তার কণ্ঠে বাংলাদেশের প্রচুর লোকসংগীত উঠে এসেছে ঘরের ড্রইংরুমে। অসংখ্য জনপ্রিয় আধুনিক গানও উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। গুণী এ শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

 

আপনি মাইক্রোবায়োলজিতে পড়াশোনা করেছেন, তবে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন গানকে-

গান এবং বিজ্ঞান দুটোই ক্রিয়েটিভ সেক্টর। আমি আসলে ক্রিয়েটিভ সেক্টরেই থাকতে চেয়েছিলাম। পড়াশোনাটা সিরিয়াসলিই করেছি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই গানের আবহে বড় হয়েছি, গান করেছি। তাই গানকে ভালোবেসে গান নিয়েই আমার পথচলা। আর আমি স্বাধীনচেতা মানুষ, আমার চাকরি করতে ভালো লাগে না। এ জন্যই আমি গানকে বেছে নিয়েছি।

 

লোকসংগীতকে আপনি মানুষের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন-

আমি গ্রামের ছেলে। গ্রামেই বড় হয়েছি। কিন্তু আমার বাসা কিছুটা ফিউশন টাইপের ছিল। অর্থাৎ বাড়ি থেকে বের হলে যেমন ধানখেত কিংবা গবাদিপশু চড়াতে দেখেছি, তেমনি বাবাকে শুনেছি ওয়েস্টার্ন মিউজিক শুনতে। মুক্তিযুদ্ধের আগে আমরা যেমন আধুনিক গান শুনতাম, ইংরেজি গান শুনতাম তেমনি আবার লোকসংগীতও শুনতাম। বাড়ি থেকে বের হলেই আবার গ্রামীণ পরিবেশ। সুনামগঞ্জে যেহেতু পড়াশোনা করেছি, সুনামগঞ্জকে আসলে ফোকের রাজ্য বলা যায়। এভাবেই আমার মধ্যে লোকসংগীতের প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়।

 

ফিউশন সংগীতকে আপনি কীভাবে দেখেন?

ফিউশন গান আমি নিজেই করেছি। আমার কথা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে আমাদের ফোকের দিকে টেনে আনতে হবে। গানের কথা এবং সুরকে ঠিক রেখে তার সঙ্গে ভালো লাগবে এমন প্রয়োজন অনুযায়ী মিউজিক বসতে পারে। এটা মোটেই দোষের কিছু নয়। অবশ্য অনেকে গানের কথা বা সুর পরিবর্তন করে ফেলে যা মোটেও হওয়া উচিত নয়। সুর এবং কথা বিকৃত করে মূল গানটা থেকে সরে গেলে অবশ্যই সেটা হওয়া উচিত নয় এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ফিউশনটা যদি তেল-জলের মতো হয়ে যায় তাহলে আর ভালো লাগবে না।

 

আপনার কণ্ঠে হুমায়ূন আহমেদের শেষ গানটি সম্পর্কে বলুন

গানটির শিরোনাম ‘আজ আমাদের ছুটি/ছুটির নূপুর বাজে রিন ঝিন/আকাশের গায়ে রোদ্দুর/পাগলা হাওয়ার দিন’। ‘নির্বাসন’ নামের একটি সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন। সেখানে উনার লেখা এ গানটি সংযোজন করার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সিনেমাটির মহরত হলেও সেটি আর নির্মাণ করা হয়নি। এক সময় গানটি আমার হাতছাড়া হয়ে যায়। গেল বছর গানটি উদ্ধারের চেষ্টা করি আমি, যদিও গানের কিছু অংশ আমি ভুলে গিয়েছিলাম। পরে শাওনের (হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী) সহযোগিতায় পুরো গানটি উদ্ধার করতে সমর্থ হই। এ জন্য শাওনের কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামী ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে গানটি প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে আমার।

সর্বশেষ খবর