শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

ভিউ কখনো শিল্পের মানদণ্ড নয়

মেহের আফরোজ শাওন

ভিউ কখনো শিল্পের মানদণ্ড নয়

বাংলাদেশে মিডিয়া জগতে মেহের আফরোজ শাওন একটি পরিচিত নাম। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি যতটা পরিচিতি পেয়েছেন তেমনি সমান পরিচিতি পেয়েছেন গানে এবং চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

 

গান, অভিনয়, পরিচালনা বহুমাত্রিক দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আপনার টার্নিং পয়েন্ট কোনটা এবং কেন?

হা হা হা, জানি না। এটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সাংবাদিকদের, দর্শকদের। তবে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ আমার একটা ড্রিমওয়ার্ক ছিল। ছোটবেলায় যখন আমি উপন্যাসটা পড়ি তখনই আমার মনে হয়েছিল এতে যদি আমি অভিনয় করতে পারতাম! পরিচালক তখনো ভাবেননি আমি যখন স্বপ্ন দেখেছি। পরবর্তীতে কাজ হয়েছে এবং আমি আমার স্বপ্নের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি।

 

ওটিটি প্ল্যাটফরমে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?

এই মাধ্যমকে আমি খুবই সম্ভাবনাময় মনে করি। সিনেমা হলের বিস্তৃত ক্যানভাস বা সেই আবেগ এখানে পাওয়া যাবে না। তবে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য ওটিটি প্ল্যাটফরমের গুরুত্ব অনেক। সিনেমা হল তো আর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারব না। কিছু কিছু কাজ আমরা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই। সেই জায়গা থেকে ওটিটি মাধ্যম অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং আমার খুব ভালো লাগে। এখানে একটু কম বাজেটেও ভালো কাজ করার সুযোগ হয়েছে। অন্যদিকে নতুনদেরও কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

 

চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরছে বলে কি আপনি মনে করেন?

কিছুদিন পরপর একটা দুইটা ভালো কাজ ক্লিক করে যায় বা দর্শকপ্রিয়তা পায়। এটা একটা সময় পরপর কিন্তু হয়েই থাকে। এ ছাড়াও অনেক ভালো গল্পের ভালো নির্মাণ কিন্তু দর্শকপ্রিয়তা পায়নি। তাই চলচ্চিত্রের সুদিন খুব শিগগিরই ফিরছে বলে মনে করি না। সুদিন ফিরছে আসলে ওটিটি বেইজড চলচ্চিত্রগুলোতে। বর্তমানের ব্যস্ত নাগরিক জীবনে হলে গিয়ে সিনেমা দেখা বিলাসিতা। ওটিটি চলে আসায় নিয়ন্ত্রণটা নিজের হাতে চলে এসেছে। এ প্রজন্মের রুচিবোধে পরিবর্তন এসেছে। এখন সবাই ভালো গল্পের ভালো নির্মাণ দেখতে পছন্দ করে।

 

গানের ক্ষেত্রে ভাইরাল হওয়া কিংবা ভিউ কি গানের মানদণ্ড হতে পারে?

এটা শুধু গান নয়, কোনো ক্ষেত্রেই ভিউ কখনো মানদণ্ড হতে পারে না। গান, সিনেমা, নাচ, নাটক কোনো ক্ষেত্রেই কোনোভাবে মানদণ্ড হতে পারে না। ভিউ কখনো শিল্পের মানদণ্ড নয়।

 

হুমায়ূন স্যারের পাগল ভক্তরা কেমন বিরক্ত করে?

হুমায়ূন আহমেদের পাগল ভক্তরা আগে বিরক্ত করত আমিও বিরক্তিবোধ করতাম। এখন আর বিরক্তিবোধ হয় না। আমি বিষয়টাকে পাগলামি না ভেবে ছেলেমানুষি ভাবী। যখনই সুযোগ হয় আমি রিপ্লাই করি সেটা ফোনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হুমায়ূন আহমেদের ভক্তদের আগ্রহ বলি আর পাগলামি বলি বা ছেলেমানুষি তা একটুও কমেনি বরং বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর