বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : নকীব খান

বাংলা গানের ঐতিহ্যই রেনেসাঁ

বাংলা গানের ঐতিহ্যই রেনেসাঁ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক নকীব খান। ৫২ বছরের সংগীত জীবন তাঁর। ১৯৮৫ সাল থেকে ব্যান্ড দল রেনেসাঁর সঙ্গে পথ হাঁটছেন। সব ধরনের গানের এক উজ্জ্বল তারকা  নকীব খানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন - সাইফ ইমন

 

দীর্ঘ সংগীত জীবনে অসংখ্য অর্জনের মাঝে কোনো অপ্রাপ্তি কি আছে?

অপ্রাপ্তি নেই বলব, কারণ নিজস্ব পছন্দ ও রুচিবোধে তৈরি গান দিয়েই শ্রোতাদের কাছাকাছি আসতে পেরেছি। জনপ্রিয়তার কথা কখনো চিন্তা করিনি। বরং কথা ও মেলোডির ওপর জোর দিয়েছি সব সময়। এত দীর্ঘ সময় শ্রোতারা আমাদের গান শুনছেন, তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তবে এখনো মনে হয় আরও অনেক কিছু করার আছে।

 

শ্রোতাদের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পেরেছেন বলে মনে করেন?

আমাদের শ্রোতারা আমাদের অনেক অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। ৩০/৪০ বছর আগে যে গান করেছি মানুষ এখনো শুনছে। আমরা যখন শ্রোতাদের সামনে যাই কিংবা স্টুডিওতে লাইভ শো করি তখন ভক্তদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পাই, তা দেখে মনে হয় আমাদের অর্জন অনেক। আমরা কিছু ভালো গান উপহার দিতে পেরেছি। দর্শক এখনো সেই গানগুলোর জন্য আমাদের মনে রেখেছে, মনে রাখবে আশা করি।

 

দীর্ঘ কর্মজীবন পরে নেসলে থেকে অবসর নিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে বলুন...

নেসলে’তে প্রায় ২৬ বছর কাজ করার পর অবসর নিয়েছি। সুন্দরভাবে একটা অধ্যায় শেষ করতে পেরেছি। আমরা সবাই জানি, সব কিছুরই শেষ আছে, আবার পরিবর্তনই জীবনে নিত্য। সময়ের পরিবর্তনে আমাদের সবাইকে এগিয়ে চলতে হয় ও জীবন বয়ে চলে। আমিও তার ব্যতিক্রম হতে পারিনি। জীবনের প্রতিটি দিন আমি একটি নতুন অধ্যায়ের নব ভোরের জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠি।

 

কিংবদন্তিতুল্য ব্যান্ডদল রেনেসাঁর শুরু এবং নামকরণের ঘটনা জানতে চাই...

ব্যান্ড মিউজিকে বাংলা গানের ঐতিহ্যের পুনর্জাগরণই ‘রেনেসা’। ১৯৮৫ সালে শুরু করি আমরা। তখন ফয়সাল সিদ্দিকী বগি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। আগে অ্যাবনরম্যাল থ্রি প্লাস টু ব্যান্ডে ছিলেন। আমি ও পিলু সোলস থেকে এসেছি। মোটো ও মামুন আসে অন্য আরেকটা ব্যান্ড থেকে। মূলত ভিন্ন তিনটি ব্যান্ড থেকে আমরা রেনেসাঁ গঠন করি। শুরুতে কোনো নাম ছিল না। আমরা আলাপ করলাম আমরা তো একসঙ্গে বাজাচ্ছি, ব্যান্ড করি না কেন? পরবর্তীতে বিটিভির ‘ঝলক’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে গাওয়ার আমন্ত্রণ এলো। টিভি প্রোগ্রাম করতে নাম দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করতাম ব্যান্ড মিউজিকের অনেক কিছু দেওয়ার আছে দেশকে। সে সময়ের ব্যান্ড মিউজিকের গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন কিছু করার প্রত্যয় ছিল আমাদের মাঝে। বাংলা লিরিকস এবং মেলোডির ওপর জোড় দিয়ে আমরা চেয়েছিলাম বাংলা গানের ঐতিহ্যকে ব্যান্ড মিউজিককে ধরে রাখব। যা অনেকটা ব্যান্ড মিউজিকে বাংলা গানের ঐতিহ্যের ‘পুনর্জাগরণ’, ফরাসি ভাষায় ‘রেনেসাঁ’।

সর্বশেষ খবর