সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বলিউড তারকাদের ঈদ আনন্দ

বলিউড তারকাদের ঈদ আনন্দ

বিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ভারতে বেশির ভাগ মানুষ একে ‘বকরি ঈদ’ বলে। কারণ, এদিন তারা বকরি বা খাসি কোরবানি দিয়ে থাকে। বলিউডের মুসলিম তারকারাও যোগ দেন এ উৎসবে।  কোরবানির ঈদ নিয়ে বলিউড তারকাদের মজার গল্প তুলে ধরেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

 

শাহরুখ খান

একবার শাহরুখ, সালমান আর সাইফকে জয়পুরের এক পশুর হাটে বিক্রি করা হয়। সত্যি। তিনটি বকরির নাম এই তিন তারকার নামে রাখা হয়েছিল। ২০১১ সালের বকরি ঈদে এই তিন বকরি বেশ ভালো দামে বিক্রি করেন তাদের মালিক। সালমান ও শাহরুখের ওজন ১০০ থেকে ১২৫ কেজির মধ্যে ছিল। আর সাইফের ওজন ছিল ৮০ কেজি। বকরির মালিক বুদ্ধিমান বটে। এমনকি ৪ লাখ রুপিতে সেবার বিক্রি হয় সাইফিনা (সাইফ আলী খান ও স্ত্রী কারিনা কাপুর খানের ছোট নাম) নামের একটি বকরি। ঠিক এর আগের বছর আমির খান নামের এক বকরি বিক্রি হয় দেড় লাখ রুপিতে। ওজন ছিল ১২৫ কেজি। এদিকে, নিজ বাড়িতে প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে বিশেষ পার্টির আয়োজন করেন শাহরুখ খান। সেই পার্টিতে বলিউডের প্রায় সব তারকাই উপস্থিত থাকেন। ছেলেদের নিয়ে সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেন কিং খান। এরপর বাসায় ফিরে পুরো পরিবারের সঙ্গে সারা দিন সময় কাটান তিনি। সাধারণত ঈদের দিনটিতে কোনো কাজ রাখেন না শাহরুখ।

 

সালমান খান

২০১৩ সালে আবার শাহরুখ, সালমান আর আমির নামে তিনটা বকরি বিক্রি হয়। ১৫ হাজার থেকে ৫ লাখ রুপি পর্যন্ত চড়া দাম হাঁকেন এদের মালিক। ২০১৫ সালে শাহরুখ খানকে ১ লাখ রুপির ব্যবধানে হারিয়ে দেয় সালমান খান। শাহরুখ খান নামের একটি বকরি বিক্রি হয় ১০ হাজার রুপিতে আর সালমান খান নামের আরেকটি বকরি বিক্রি হয় ১ লাখ ১০ হাজার রুপিতে। লক্ষেèৗর বকরি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি আমার দুই বছরের নাদুসনুদুস বকরির নাম রেখেছি সালমান খান আর দাম রেখেছি ১ লাখ ১০ হাজার।’ ব্যবসায়ীরা জানান, বলিউডের মুসলিম তারকা, বিশেষ করে ‘খান’দের নামে বকরির নাম রাখলে তা খুব ভালো দামে বিক্রি করা যায়। শুধু কি তা-ই? তারা বকরির গায়ে রং দিয়ে আলপনা এঁকে, সেগুলোর পায়ে ঘুঙুর বেঁধে, চোখের পাপড়িতে রং করে আকর্ষণীয় করে হাটে নিয়ে আসেন। এ বছর অবশ্য কোনো ‘খান’কে হাটে উঠাতে শোনা যায়নি। এদিকে, ঈদের দিন সকালে সালমান খান ভাইদের নিয়ে বাড়ির সামনে মসজিদে নামাজ পড়েন। বাবা সেলিম খানের কড়া হুকুম, যত যাই হোক, ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে থাকা চাই। আর তাই তিন ছেলে সালমান, আরবাজ ও সোহেল বাবার সেই আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। ঈদের দিন তাঁদের বাড়িতে বিশেষ রেসিপির বিরানি রান্না করা হয়। সালমানের ঈদ পার্টির বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে বলিউড পাড়ায়। প্রতি বছর সালমানের বাড়িতে এই পার্টির আয়োজন করা হয় ।

 

আমির খান

আমির খান বরাবরই সাধারণভাবে ঈদ উদযাপন করেন। হাতেগোনা কজন বন্ধু কিংবা পরিচিতজন ছাড়া ঈদে কারও সামনে উপস্থিত হন না তিনি। সকালে মুম্বাই জামে মসজিদে নামাজ পড়েই ঘরে প্রবেশ করেন আর বের হন না। স্ত্রী-সন্তান আর ভাগ্নে ইমরানকে নিয়েই তাঁর ঈদ উদযাপিত হয়।

 

আরবাজ খান

কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততা থাকলেও প্রতিটি ঈদ পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করেন আরবাজ খান। ঈদের স্মৃতি মনে করে এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের এই অভিনেতা বলেছিলেন, আমি কখনো দেখিনি ঈদে আমাদের বাড়িতে কাউকে দাওয়াত দেওয়া হতো। কেননা ওই দিন সবাই নিজ থেকেই আসত এবং আমাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করত।

 

এ আর রহমান

পরিবারের সঙ্গেই ঈদ উদযাপন করতে ভালোবাসেন সংগীতশিল্পী এ আর রহমান। এ আর রহমান বলেন, ‘ঈদ সবসময়ই আমাদের পরিবারের জন্য মূল্যবান এবং বিশেষ উৎসব। ওই দিনটি আমরা পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাটাই। ওই দিন আমাদের বাড়িতে আলাদা বাবুর্চি দিয়ে বিরানি রান্না করা হয়। এখনো শিশুদের মতো বিরানি রান্না করা দেখি এবং কী করে এত সুস্বাদু হয় এ নিয়ে গবেষণা করি।’ এভাবেই সারা দিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান এ আর রহমান। বাড়িতে মিষ্টি জাতীয় নানা খাদ্য রান্না হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

সোহা আলী খান

ঈদের স্মৃতি হাতড়ে সোহা বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, সে সময়ের ঈদের দিন খুব সকালে উঠে নতুন জামাকাপড় পরে বাড়ির বড়দের সালাম করতাম। তাঁরা আমাকে ঈদি দিতেন। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে চোখে পানি চলে আসে। ঈদি পেতাম রঙিন সব খামের ভিতরে। সব খামেই থাকত নতুন ১০ কিংবা ২০ রুপির কয়েকটি চকচকে নোট। সেমাই খেতাম, কাবাব খেতাম, আর খেতাম খাসির রেজালা দিয়ে পোলাও।

 

দিয়া মির্জা

বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জার ঈদ আনন্দ ঈদি আদায়ে। দিয়া মির্জার ঈদ মানেই যেন ঈদি আদায় করা।  এখনো শিশুদের মতো বড়দের থেকে ঈদি পেতে ভালোবাসেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে টুইট করেও নিজের ঈদি পাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে ভুলে যান না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর