শিরোনাম
সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : দিলারা জামান

ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম

শোবিজ প্রতিবেদক

ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম

কিংবদন্তি অভিনেত্রী দিলারা জামান গত মাসেই ৮১ বসন্তে পা দিলেন। এখনো কর্মব্যস্ততায় তিনি প্রাণোজ্জ্বল।  বর্তমান সময় কেমন কাটছে এবং নিজের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা জানালেন তিনি-

 

আপনার এবারের জন্মদিন ও ঈদে প্রবাসী দুই কন্যাকে কাছে পেলেন, কেমন লাগছে?

আসলেই অনেক ভালো লাগছে। ওরা আসলে প্রতি বছরই আসে, তবে একসময়ে নয়। একজন কানাডা অন্যজন যুক্তরাষ্ট্র থাকে। এবার তারা একসঙ্গেই এলো। তাই বিশেষ দিনগুলোতে তারা আমাকে নিয়ে অনেক আনন্দ করল। ওদের আনন্দ দেখে আমার মনটাও খুশিতে ভরে গেল।

 

এখানে আপনি তো একাই থাকেন, কখনো কী কন্যাদের কাছে বিদেশে চলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে?

না, একদম নেই। ২০১৪ সালে আমার স্বামী প্রয়াত হওয়ার পর প্রায় সময় বিদেশে কন্যাদের কাছে গিয়ে থাকতাম। এখন আর পারি না। দীর্ঘ জার্নি শরীরে কুলোয় না। তাই ওদের বলি সময় পেলে আমাকে এসে দেখে যেতে। ওরা আমাকে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু এ দেশেই আমার শিকড়, এ দেশের মাটি, মানুষ আর প্রকৃতি আমার খুব প্রিয়। তাই কখনো নিজের সোনার দেশ ফেলে কোথাও যেতে চাই না।

 

অভিনয়ে এখন ব্যস্ততা  কেমন?

আসলে অভিনয় অনেক কমিয়ে দিয়েছি। কারণ একদিকে এখন আগের মতো আর ফ্যামিলি ড্রামা হয় না। আর বয়সের কারণে নিজের শরীরেও আর সায় দেয় না। তাই খুব কমই অভিনয় করি।

 

তাহলে সময় কাটে কীভাবে?

এই তো ঘরের কাজ করি, রান্নাবান্না থেকে সব কিছুই। টিভি দেখি, পত্রিকা পড়ি, বিকাল বেলা ইভিনিং ওয়াকে বের হই। এভাবেই একাকী সময়গুলো ব্যস্ততা তৈরি করে কাটিয়ে দেই।

 

জীবনে কোনো অপূর্ণতা আছে?

না, সৃষ্টিকর্তা আমাকে সব দিয়েছে। এক কথায় আমি খুব সুখী। শুধু ২০১৪ সালে আমার স্বামী হঠাৎ চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার দুঃখটা আমাকে খুব ভোগায়। তাছাড়া আর কোনো অপূর্ণতা নেই। এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে আমি যেতে চাই না। বলতে গেলে মানুষের অজস্র ভালোবাসা আর অনিন্দ্যসুন্দর পৃথিবীর মায়ায় পড়ে গেছি আমি। তাই পৃথিবী ছেড়ে এক দিন যেতে হবে ভাবলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।

 

জীবনের বড় প্রাপ্তি কী?

প্রথমত মানুষের ভালোবাসা। দ্বিতীয়ত যে মানুষটি আমাদের এই স্বাধীন-সার্বভৌম সোনার বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে (যেটি শ্যাম বেনেগাল নির্মাণ করেছেন) বঙ্গবন্ধুর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এটি আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। আমি সত্যি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম। এ কথা ভাবলে গর্বে মনটা ভরে যায়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর