সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

শিল্পের জন্য বাধামুক্ত পরিবেশ চাই

শিল্পের জন্য বাধামুক্ত পরিবেশ চাই

দেশের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাণে বরাবরই সরব। তাঁর নতুন নির্মাণ মানেই নতুন আলোচনার ঝড়।  সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘শনিবার বিকেল’-এর মুক্তি আটকে রয়েছে অনেকদিন ধরেই। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন - সাইফ ইমন

 

শনিবার বিকেল ছাড়পত্র পাওয়ার পরও আটকে যাচ্ছে কেন বারবার?

এটা একটা বড় ধরনের সার্কাস হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আসলে নিয়মের ভিতর দিয়ে পরিচালিত হয় নাকি কোনো ব্যক্তিবিশেষের খেয়াল-খুশিতে পরিচালিত হয় তা বোঝার একটা আদর্শ উদাহরণ শনিবার বিকেল। সেন্সর বিধিমালা অনুযায়ী সেন্সরের আপিল কমিটি চলচ্চিত্র বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার চূড়ান্ত ক্ষমতা রাখে। ২০১৯ সালে এ বিষয়ে তারা চলচ্চিত্রটি দেখার পর কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। এর সাড়ে তিন বছর পর আরেকবার আপিল কমিটি মিটিং করে! মিটিং শেষে কমিটির অন্যতম সদস্য শ্যামল দত্ত বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে আপত্তিকর কিছু নেই। আমরা দ্রুত চলচ্চিত্রটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’ আইন অনুযায়ী এর কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের ছাড়পত্র পাওয়ার কথা।

 

কিন্তু আপনারা সেটা না পেয়ে পেয়েছেন আরেকটা চিঠি

হ্যাঁ! অদ্ভুত চিঠি। আপিল কমিটি সব জাতীয় গণমাধ্যমে সিনেমাটা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর ১০-১৫ দিন পর তথ্য সচিবের স্বাক্ষর সংবলিত এক চিঠির মাধ্যমে আবারও একটি সার্কাসের সূচনা হয়। চিঠিতে বলা হয় আপিল কমিটি চলচ্চিত্রটি পুনরায় মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাংবাদিকরা যখন এ বিষয়ে শ্যামল দত্তের কাছে জানতে চান কেন পুনরায় মূল্যায়ন করতে চেয়েছেন? জবাবে শ্যামল দত্ত বলেন, ‘না আমরা চলচ্চিত্রটি পুনরায় মূল্যায়ন করতে চাইনি। কেন তা চাইব কারণ চলচ্চিত্রটিতে আপত্তিজনক কিছু নেই।’ আসলে আমার মনে হয় এর মধ্য দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একটা তামাশায় পরিণত করা হয়েছে। সরকারকে খতিয়ে দেখা উচিত এর সঙ্গে কোন ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। আমি দ্রুত শনিবার বিকেলের ছাড়পত্রের দাবি জানাই।

 

আপনার চলচ্চিত্র মানেই আলোচনার ঝড় বিষয়টি কীভাবে দেখেন?

এ বিষয়টা নিয়ে আমার মিশ্র অনুভূতি কাজ করে। শুরুতে টেলিভিশনে কাজ করেছি। এরপর সিনেমা করতে এলাম। আমি নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতাম। অভিনয়ের ধরনে পরিবর্তন এনেছি হয়তোবা। ভাষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাষা ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। আপনি যে কোনো নতুন কিছু জন্ম দিলে এক ধরনের আলোচনার জন্ম দিবে। এখন আর আমি আলোচনা চাই না। আমি এখন অ্যানোনিমাস (বেনামি) হতে চাই। আমি চাই কোনোরকম পূর্ব ধারণা না নিয়ে মানুষ আমার চলচ্চিত্র দেখতে যাক।

 

আপনার জীবনে টার্নিং পয়েন্ট কোনটা?

এটার উত্তর দেওয়া মুশকিল। (একটু ভেবে)... কঠিন প্রশ্ন। নিজের কথা নিজে বলতে চাই না (হাহাহা)।

সর্বশেষ খবর