গত ৩৪ বছরে এই ঈদ নিয়ে মোট দুটি ঈদে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর বড় পর্দায় অনুপস্থিত ছিলেন। এর প্রতিক্রিয়া ও ঈদের ছবি নিয়ে তিনি তাঁর অনুভূতির কথা জানালেন মুঠোফোনে সুদূর সিডনি থেকে। তাঁর বলা কথা এখানে তুলে ধরা হলো-
বর্তমানে ডালাসে আছেন, সেখানে ব্যস্ততা কী নিয়ে?
আসলে এক মাস হয়েছে এখানে এসেছি। আমি এখানকার গ্রিনকার্ড হোল্ডার। এখানে দুটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছি।
ঈদের ছবি মানেই মিশা সওদাগর, কিন্তু এবারের ঈদে দর্শক বড় পর্দায় আপনাকে পায়নি, কেন?
আমার ফিল্ম ক্যারিয়ারের ৩৪ বছরের ইতিহাসে এবার নিয়ে মোট দুটি ঈদে আমার অভিনীত কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। এটি হতেই পারে। তবে দর্শকের কাছে ক্ষমা চাইছি। আসলে আমার অভিনীত ইকবাল পরিচালিত ‘রিভেঞ্জ’ ছবিটি ঈদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঈদে ছবি বেশি হওয়ায় আমি ইকবালকে মুক্তি দিতে না করেছি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবি নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
এবারের ঈদের প্রতিটি ছবিই সমৃদ্ধ। গান, গল্প, অভিনয় আর নির্মাণের কারণে ভূয়সী প্রশংসার দাবিদার। দুজন তরুণ নির্মাতা হিমেল আর রাফি অসাধারণ নির্মাণ করেছে। অপু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেশের বিলুপ্তপ্রায় তাঁতশিল্প নিয়ে ছবি নির্মাণ করে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে। শাকিব, নিশোর ভিন্নধর্মী অভিনয়, প্রহেলিকার ভিন্ন ধাঁচের গল্প, ক্যাসিনোর সময়োপযোগী মেসেজ। সবমিলিয়ে এবারের ঈদের ছবি মানে অসাধারণ প্রাপ্তি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি।
তাহলে দেশীয় ছবির সুদিন ফিরেছে মনে করছেন?
না, আমি মোটেও তা মনে করছি না। কারণ দুই ঈদে যদি শুধু ভালো ছবি মুক্তি পায়, মানে দুই ঈদেই শুধু পোলাও কোরমার ব্যবস্থা করা হয় আর বাকি সময় পান্তাভাতও যদি না জোটে তাহলে তাতে লাভ কী হলো। আমি চাই প্রতি সপ্তাহে ভালো ছবি মুক্তি পাক। কারণ মানসম্মত ও পর্যাপ্ত ছবি পেলে দর্শক অবশ্যই সিনেমা হলে যাবে। তাতে সিনেমা হল মালিক এবং প্রযোজক বাঁচবে। আর প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে।
কখন ফিরছেন?
১৩ জুলাই ফিরছি। ছয়টি নতুন ছবির কাজ শুরু করতে হবে। তাছাড়া আগের কিছু ছবির কাজ অসমাপ্ত রয়ে আছে। সেগুলোও শেষ করতে হবে। সবমিলিয়ে আবার চরম ব্যস্ততায় ফিরব।