শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

বাংলাদেশ টেলিভিশনের কাছে পুরো নৃত্যজগৎ কৃতজ্ঞ

শিবলী মোহাম্মদ

বাংলাদেশ টেলিভিশনের কাছে পুরো নৃত্যজগৎ কৃতজ্ঞ

শিবলী মোহাম্মদ দেশের একজন অন্যতম প্রধান নৃত্যশিল্পী। এ ছাড়াও তিনি একজন নৃত্যশিক্ষক ও প্রশিক্ষক। ‘কত্থক’ নাচে অধিক পারদর্শী। এ ছাড়াও তার সুগঠিত শরীরে নাচ সঞ্চালনের জন্যও খুব জনপ্রিয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

 

কেমন আছেন?

আমার মা গত ৯ তারিখ সকালে মারা গেছেন। এ নিয়ে মনটা ভারাক্রান্ত অবস্থায় আছে। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সলিমুল্লাহ। বাবা হারানোর পর এতগুলো বছর আমাদের মা আমাদের আগলে রেখেছিলেন। আমাদের অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন।

 

নৃত্যশিল্পে আসার গল্পটা...

সবাই জানেন আমার ভাই প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হাদী মোহম্মদ। আমি নিজেও গান করতাম। গান করতে করতেই নাচের ক্লাসে ভর্তি হলাম। পারফর্মিং আর্টস একাডেমিতে ভর্তি হই। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে পড়া অবস্থায় আমি ভারতে স্কালারশিপ পাই। সেখানেই নাচের শিক্ষাটা শুরু হয়। এখানেও যারা শিখিয়েছেন আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ। আমি বুঝে ফেলি যে আমার রক্তে নাচ মিশে গেছে। নৃত্যশিল্পের দিকে মনোযোগী হই।

 

আপনার মা সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চাই...

আমার মা একজন রত্নগর্ভা। অগণিত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও শোকবার্তা দিয়েছেন। খুব ছোটবেলায় আমার ময়ের বিয়ে হয়। উনি শুধু সেলাই করতে পারতেন। সেলাই করেই আমাদের নিয়ে তিনি সংগ্রামী জীবন পার করেছেন। আমার বাবার নামে রোড রয়েছে সলিমুল্লাহ রোড। কিন্তু আমার মা কোনো যোদ্ধার চেয়ে কম নন। উনি সেলাই করে রাত-দিন ছুটে ছুটে ১০ সন্তানকে মানুষ করতে যুদ্ধ করে গেছেন। সামান্য অর্থ অর্জন করে আমাদের পড়িয়েছেন। আসলে আমাদের মায়ের সম্পর্কে বলতে গেলে আমরা ভাষা হারিয়ে ফেলি। অসাধারণ একজন মহীয়সী মহিলা ছিলেন তিনি।

 

ব্যালেট ও জ্যাজ নৃত্যের ওপরেও তালিম নিয়েছিলেন...

আমি তখন শিল্পকলা একাডেমিতে। আশির দশকের শেষেদিকের কথা বলছি। আমার তখন মাথায় এলো আরও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। আমাদের এখানে তখন মডার্ন ডান্স কিছুই ছিল না। লন্ডনে যাই। সেখানে ব্যালেট থিয়েটারে ব্যালেট, ট্যাপ ও জ্যাজ নৃত্যে প্রশিক্ষণ নিই। এতে করে আমি আধুনিক নৃত্যের সঙ্গে কত্থকের এর মেলবন্ধন ঘটাতে শিখেছি। যা পরবর্তীতে অনেক কিছুতেই কাজে এসেছে।

 

বর্তমানে দেশের নৃত্যশিল্পীরা কেমন করছে?

আমাদের এখানের নৃত্যশিল্পীরা খুবই মেধাবী। এ ক্ষেত্রে আমরা বিটিভির কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। গত ১২ বছরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্পীদের নিয়ে আসতে পেরেছি বিটিভির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের কাছে পুরো নৃত্যজগৎ কৃতজ্ঞ।

সর্বশেষ খবর