মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

এটা তো দুঃখের জন্মদিন

এটা তো দুঃখের জন্মদিন

অভিনয়জগতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডলি জহুর। চার যুগেরও বেশি সময় ধরে সাবলীল অভিনয়ে তিনি জয় করেছেন কয়েক প্রজন্ম। বিশেষ করে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের ভাসিয়েছেন আবেগের জোয়ারে। গতকাল ছিল এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? জন্মদিন উপলক্ষে জানাই শুভেচ্ছা...

আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ! কিসের জন্মদিন? এটা তো দুঃখের জন্মদিন। জীবন তো শেষের দিকে। যে কোনো সময় ওপারে চলে যেতে পারি। আজ আছি, কাল নেই! তারপরও প্রতি বছর জন্মদিন এলে ভালোবাসার মানুষেরা যেভাবে আমাকে শুভেচ্ছা জানায়, আমি সত্যিই তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

 

বিশেষ দিনটি কেমন গেল?

আসলে ধর্মীয়ভাবে মুসলমান হিসেবে জন্মদিন পালন করা ঠিক নয়। আমিও কোনো দিন জন্মদিন পালন করি না, পছন্দও করি না। তারপরও দিন তো আর থেমে থাকে না। সব দিনের মতো জন্মদিন আসে, আবার চলেও যায়। তবে এবারের জন্মদিনে চ্যানেল আইয়ের তারকাকথনের অতিথি হিসেবে ছিলাম। অনন্য রুমা গাড়ি পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে এলো। এরপর দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তারকাকথন শুরু হলো আমার বিশেষ দিন উদযাপন উপলক্ষে। এই ভালোবাসা ভালোই লাগে। এরপর শো শেষ করে বিকাল ৪টা থেকে কিছু ছবি দেখলাম। আসলে আমি ১৩ জন জুড়ি বোর্ডের সদস্যের একজন। তাই জুড়ি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ২০২২ সালের জাতীয় পুরস্কারের জন্য এই ছবিগুলো দেখা আর কি!

 

একা থাকছেন। এই একাকিত্ব কেমন লাগে?

আসলে একা থাকতে কার ভালো লাগে? তারপরও যদি অসুস্থ থাকি, খুব বিরক্ত হই। তিন দিন না খেয়ে থাকতে পারি, কিন্তু আর অসুস্থ হতে চাই না।

 

অসংখ্য নাটক-সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ধরনের চরিত্র করতে কেমন লাগে?

মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের সময় প্রচন্ড ইমোশনাল হয়ে পড়ি। আসলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নাটক-সিনেমায় চরিত্র করতে হয়। মায়ের চরিত্রে অনেকবার অভিনয় করেছি। এখনো করছি। নাটকে বা সিনেমায় মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের কারণে অনেক শিল্পী আমাকে মা ডাকেন। জন্ম না দিয়েও আমি মা। এটা আবেগের বিষয়। একই পরিবার আমরা। কতটা শান্তি পাই তা বলে বোঝাতে পারব না।

 

সামনে নতুন কোনো নির্মাণের সুখবর দেবেন কি? 

আসলে কাজটি আমার কাছে ভালো লাগেনি। তাই আপাতত পরিচালনা নিয়ে ভাবছি না। তবে ভালো গল্প আর সময়-সুযোগ মিললে হয়তো করতে পারি। দেখা যাক।

 

ঈদে হলে গিয়ে কোনো সিনেমা দেখা হয়েছে?

দেখেছি। প্রহেলিকা দেখেছি। চয়নিকা সিনেমাটি দেখার আমন্ত্রণ জানাল, এরপর চলে গেলাম। আসলে একা মানুষ। তাই একা একা তো সিনেমা দেখতে পারি না। তবে সামনের শুক্রবার সুড়ঙ্গ সিনেমাটি দেখব। আগেই টিকিট নিয়ে এসেছি। এরপর প্রিয়তমা সিনেমাটি দেখার ইচ্ছা রয়েছে। 

 

সিনেমা হলে দর্শকের জোয়ার বইছে। অভিমত কি?

ছবি তো আসতে হবে। তাহলেই দর্শক হলমুখী হবে আগের মতো। তবে আগে যে সিনেমা ইন্ডাস্ট্র্রির রমরমা ভাবটা ছিল, তা অনেকটাই অনুপস্থিত বলা যায়। আগের সঙ্গে তুলনা করলে এই সময়ের ছবি আসাকে আসা বলা যায় না। সেই সিনেমা হলের রমরমা ভাবটা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর