মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

আজীবন নায়ক হিসেবেই থাকতে চাই

আজীবন নায়ক হিসেবেই থাকতে চাই

দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। দীর্ঘ ২৬ বছরের ফিল্ম ক্যারিয়ারে তিনি এখনো চিরসবুজ। এই আগস্ট মাসে মুক্তি পাচ্ছে তার জোড়া সিনেমা। এ দুই সিনেমা ও সমসাময়িক কাজ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

উল্লেখযোগ্য বেশকিছু মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা করেছেন। হৃদি হকের সিনেমাটি আগেরগুলো থেকে কতখানি আলাদা?

হৃদির ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ আসলেই অন্যরকম একটি সিনেমা। এটা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা। মুক্তিযুদ্ধের পরিপূর্ণ গল্প রয়েছে এটিতে। এতে প্রেম রয়েছে, একান্নবর্তী পরিবার ও তাদের গল্প রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকাশিত ট্রেইলার ও গান দেখে অনেকেই বুঝে গেছে সেটা। ’৭৫-এর সময়কার মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা থেকে আমাদের এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধনির্ভর গল্প-নির্মাণ অনেকটা বদলে গেছে। তখন ঢাকাকেন্দ্রিক সিনেমা নির্মিত হতো না। হৃদি হক ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ সিনেমায় ঢাকাকেন্দ্রিক গল্প অসাধারণভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তার বাবার দেখা সেই সময়ের গল্প সুন্দরভাবে চিত্রণ করেছেন। এটা সত্যিই কঠিন কাজ। হৃদি ও তার টিম প্রচন্ড ইফোর্ট দিয়েছে। গল্পকে ফুটিয়ে তুলতে কোনো কিছুতেই কার্পণ্য করেনি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। সিনেমায় অসংখ্য তারকাশিল্পী অভিনয় করেছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালোই লেগেছে। আর এই সিনেমার গানগুলো দেখে অনেকেই বিদেশ থেকে ফোন করে প্রশংসা করেছেন। এটা সত্যিই ভালো লাগার। এই সিনেমার জার্নি আমার আজীবন মেমোরি হয়ে থাকবে।

 

একই মাসে ‘মাইক’ নিয়েও বড় পর্দায় আসছেন... 

হুমম। ১১ আগস্ট ‘মাইক’ আর ১৮ আগস্ট ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ রিলিজ হচ্ছে সিনেমা হলে। দুটি সিনেমাই দেশের সিনেমা। ‘মাইক’ অনুদানের সিনেমা। শিশুতোষ চলচ্চিত্র। আমাদের দেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্র খুবই কম। হাতেগোনা ৫-৭টা হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। মাইক সিনেমায় বাচ্চাদের সঙ্গে কাজ করে মজা পেয়েছি। লক্ষ্মীপুরে শুটিং হয়েছ। শাহীন অনেক যত্ন করে সিনেমাটি বানিয়েছেন। এই সিনেমা নির্মাণের উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে এই জেনারেশনকে সঠিকভাবে জানানো।

 

আফজাল হোসেনের সিনেমাসহ প্রায় এক ডজন সিনেমায় কাজ করেছেন। সেগুলো মুক্তি পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে?

আফজাল হোসেনের ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ শিশু একাডেমির সিনেমা। সামনে মুক্তি পাবে। আর ‘দাম পাড়া’ কী কারণে রিলিজের জটিলতায়-সেটা অজানা। এ ছাড়াও করেছি ‘দখিন দুয়ার’, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’, ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’, ‘সুজন মাঝি’, ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’। নিয়ামুলের গাঙচিল সিনেমাটি শিল্পীদের শিডিউল নিয়ে জটিলতায় রয়েছে। তবে ‘জ্যাম’ শেষ হয়েছে। আর পূর্ণিমার সঙ্গে ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ করলাম। বলতে গেলে তো বেশকিছু সিনেমা করেছি। এগুলো একে একে এই সময়ে রিলিজ পেলে তো ভালোই লাগত।

 

চারিত্রাভিনেতা হিসেবে কখনো সিনেমায় অভিনয় করবেন?

না। কারণ নায়ক চরিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেছি, নায়ক হিসেবেই শেষ করব। আজীবন নায়ক হিসেবেই থাকতে চাই।

 

ওটিটিতে কাজের অফার এলে...

ওটিটিতে কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। তবে সেই চরিত্রগুলো আমার কাছে আকর্ষণীয় প্রস্তাব মনে হয়নি। সে রকম চরিত্র পেলে অবশ্যই কাজ করব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর