‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৭’ খেতাব পাওয়ার পর মিস ওয়ার্ল্ডের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন জেসিয়া ইসলাম। ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ থেকে ‘এমআর নাইন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে জেসিয়ার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন
মিস ওয়ার্ল্ডে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রথম বাংলাদেশি আপনি...
হুমম, মিস ওয়ার্ল্ডের বিশ্বমঞ্চে প্রথম বাংলাদেশি আমি। সেখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেরা চল্লিশে ছিলাম। এরপর আমাদের দেশ থেকে আরও অংশ নিয়েছে এবং ভাবিষ্যতেও অনেকেই আসবে অংশ নিবে। ইন্টারন্যাশনাল বিউটি কনটেস্ট নিয়ে আসলে আমাদের দেশের মেয়েদের আইডিয়া ছিল না। এখন যা হয়েছে। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা রোমাঞ্চকর। গাইড করার জন্য কেউ ছিল না। নিজে নিজে বুঝে জেনে অনেক কিছু করতে হয়েছে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এটা আমার জন্য গর্বের নিঃসন্দেহে।
মাসুদ রানা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক কেমন লাগছে?
নিঃসন্দেহে এটা আমার জন্য খুব ভালো খবর ছিল। এরপর অনেক কষ্ট করেছি যেন পর্দায় আমার করা চরিত্রটা ঠিকঠাক ফুটিয়ে তুলতে পারি। আমার জীবনে যে কোনো সুযোগই আমি আশীর্বাদ মনে করি। মনে করি আমার জন্য ব্লেসিং এটা। আমি যদি ১০ সেকেন্ডের জন্যও সুযোগ পাই, আমি চাই আমার সেরাটা দিয়ে কাজ করতে।
এত বড় কাজে যুক্ত হওয়া নার্ভাস লেগেছে?
আসলে শুরুতে একটু একটু নার্ভাস তো লেগেছেই। কিন্তু সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। সহঅভিনেতা অভিনেত্রীরা অনেক বেশি কোঅপারেটিভ এবং হেল্পফুল ছিলেন। তাই কাজটা করতে সহজ হয়েছে।
চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে অনেক পরিশ্রম করেছেন...
একদম তাই। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। চরিত্রটায় নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে আমি মার্শাল আর্ট শিখেছি এক বছর। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত জিম করেছি। স্যুমিং করেছি। সবমিলিয়ে আমি আমার সম্পূর্ণ মেধা আর মনন দিয়ে কাজটা করেছি। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও গ্রুমিং করেছি। সবমিলিয়ে এখন আমি মুখিয়ে আছি নিজেকে বড় পর্দায় দেখার জন্য।
প্রেম জীবন কেমন চলছে?
হাহাহা। এ বিষয়ে একদমই বলতে চাই না। আমি প্রেমে পড়িনি। কেউ প্রেমের প্রস্তাব দিলে যদি ভালো লাগে তখন হয়তো দেখা যাবে। প্রেম করতেও পারি। তবে এই মুহূর্তে ক্যারিয়ার এবং নিজের কাজে ফোকাস দিতে চাই অনেক বেশি বেশি।