রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

রবীন্দ্রনাথ আমার ভরসার জায়গা

রবীন্দ্রনাথ আমার ভরসার জায়গা

মহাকালের চেনা পথ ধরে প্রতি বছর বাইশে শ্রাবণ আসে। আজ ২২শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম প্রয়াণ দিবস। এই বাইশে শ্রাবণে কবিগুরু প্রসঙ্গ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে দেশের অন্যতম জনিপ্রয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অণিমা রায়ের  সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

আজ বিশ্বকবির মহাপ্রয়াণ দিবস। এই দিনে একজন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে ব্যস্ততা কেমন?

সারা দিন ধরেই তো ব্যস্ত। বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে গান করব। একাই গাইব। আর চ্যানেল আইয়ে লাইভ রয়েছে। আমি ছাড়াও বিভিন্ন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী থাকবেন। আমি ১২টা ৩০ মিনিটে থাকব সেখানে। দুটি গান করব। এরপর বিকাল ৫টায় এখন টিভিতে ‘এখন আনন্দ’ নামে কথোপকথন ও গানবিষয়ক অনুষ্ঠানে থাকব। সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলার সংগীত ও নৃত্যকলায় আমার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমবেত সংগীত গাইবে। সেখানে আমিও কিছু গান করব। এই তো সারা দিনের ব্যস্ততা। বিভিন্ন দিবস এলে এভাবেই ব্যস্ততায় কেটে যায় সময়।

 

রবীন্দ্রনাথ আপনার কাছে কেমন?

রবীন্দ্রনাথ আমার বন্ধুর মতো। সবসময়ের খেলার সঙ্গী। রবীন্দ্রনাথ আমার ভরসার জায়গা। আমরা দিনকে দিন যে শূন্যতায় ডুবে থাকি, সেই শূন্যস্থানটা পূরণ করেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর সৃষ্টিকর্ম। ‘কি যেন নেই’- এই শূন্যতায় আমরা বেঁচে থাকি। রবীন্দ্রনাথের সব সৃষ্টি সেই শূন্যতায় আমাকে বাঁচিয়ে রাখে। রবীন্দ্রনাথ আমার প্রতিদিনকার জীবনের শান্তির খোড়াক। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব, রবীন্দ্রনাথকে এই প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার। তাঁর নামে সড়ক, ভাস্কর্য বেশি করে নির্মাণ করা দরকার তাঁকে সঠিকভাবে হৃদয়ঙ্গমের জন্য।

১৮ দিনের আমেরিকা ভ্রমণে চারটি অনুষ্ঠান শেষ করলেন। কেমন হলো?

অনেক ভালো হয়েছে। আমি খুবই খুশি সবকিছু মিলিয়ে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। চারটি অত্যন্ত সুন্দর ও সফল অনুষ্ঠান করেছি। সবকটিই আমার একক সংগীত অনুষ্ঠান ছিল। প্রত্যেকটিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টার কমে গান করিনি। রবীন্দ্রনাথের গানে সেখানকার শ্রোতারা শুদ্ধ¯œান করে পরিপূর্ণ হয়েছে বলে মনে হয়েছে।

 

গতকাল আপনার প্রিয় মানুষের জন্মদিন ছিল। সেদিনও তো অনেক ব্যস্ত ছিলেন। কীভাবে তাঁকে সময় দিলেন?

হ্যাঁ, ভালোবাসার মানুষ তানভীর তারেকের জন্মদিন ছিল। যদিও তেমন করে সময় দিতে পারিনি তাকে। আসলে সে বোঝে আমাকে; আমিও তাকে বুঝি। আর প্রতিদিন দুজনই তো অনেক ব্যস্ত থাকি। তাই জন্মদিনে আমি নেই বলে সে কোনো অভিমান করেনি। তবে সারা দিনের ব্যস্ততার পর বাসায় ফিরে তার প্রিয় খাসির গোশত রান্না করেছি। এরপর পরিবারের সবাই মিলে বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছি।

 

কলকাতায় একক সংগীত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

কলকাতার লেক ক্লাবে চৈত্র-সংক্রান্তির রাতে ১৪ এপ্রিল এটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের মূল শিল্পী হিসেবে একটানা ২ ঘণ্টা পারফর্ম করেছি। সবাই বনেদি ও রুচিসম্পন্ন। আসলে ভারতীয় অডিয়েন্সের কানপাকা অনেক। তাদের রুচিবোধ প্রশংসার যোগ্য। আর পাশের দেশ, রবীন্দ্রনাথের দেশ আর সবচেয়ে বড় কথা দুই বাংলার ভাষা-সংস্কৃতি একেবারেই এক। এর আগে এখানকার তারা মিউজিক চ্যানেলসহ একাধিক চ্যানেলে পারফর্ম করা হয়েছে। এবারের অভিজ্ঞতা মেমোরি হয়ে থাকবে। সুন্দর অনুষ্ঠানটির জন্য আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর