মাসুদ রানা চরিত্র রূপায়ণ কতটা চ্যালেঞ্জিং?
এটি যে কারও জন্যই স্বপ্নের একটি চরিত্র। আমার জন্য এই চরিত্রে রূপায়ণ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের ছিল। নিজের শতভাগ দিয়েই চেষ্টা করেছি কাজটি করার। দেখুন আসলে ফিল্মের ডিজাইনটা যা হবে সেটা তো ডিরেক্টর অবশ্যই ভাবেন। আর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টের বিষয়টা সেটা তো আমাকেই ভাবতে হয়েছে। অ্যাক্টিং ক্লাস, ফাইটিং ক্লাসও করেছি। এর সঙ্গে প্রতিদিন সকালে উঠে মাসুদ রানার বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে ওয়ার্ক করেছি।
কাজী আনোয়ার হোসেন আর তাঁর সৃষ্টি মাসুদ রানা সম্পর্কে কতখানি জেনে এমআর-নাইন ফিল্মে অভিনয় করেছেন?
আসলে ছোটবেলা থেকেই তো মাসুদ রানা পড়ছি। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকেই মাসুদ রানা পড়া শুরু। আর তখন থেকেই রাইটার কাজীদা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজীদা পর্দার আড়ালের মানুষ ছিলেন। তাঁকে তো তাই সেভাবে জানার বা চেনার সুযোগ ছিল না। তবে তাঁর ছবি দেখেছি। আর মাসুদ রানা সম্পর্কে যথেষ্টই জানি। মাসুদ রানা পড়েই বড় হয়েছি। একটা বিশাল সময় ধরে পড়েছি।
এই ছবির সঙ্গে হলিউডও জড়িত। অনেক বড় প্রজেক্ট। দেশি ও বিদেশি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
অসাধারণ! এখানে হলিউড ও বলিউডের যাঁরাই অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুবই ফ্রেন্ডলি। কো-আর্টিস্ট হিসেবেও তাঁরা খুবই দারুণ ও কোঅপারেটিভ ছিল। বিশেষ করে হলিউডের যে টিমটি ছিল, তাঁরা ছিল খুবই আন্তরিক। আমাকে ইন্ডাস্ট্রির বাইরে মনে করেনি। অভিজ্ঞতা ভালো।
আরেকটি সিনেমা অন্তর্জালও মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবিটি মাল্টিকাস্টি। এই ছবি দিয়ে দর্শক সুমনকে আলাদা করে কতটা ভাববে?
অন্তর্জাল সিনেমায় আমি একজন ডিফারেন্ট টাইপের সিআইডি চরিত্র করার চেষ্টা করেছি। ক্যারেক্টার ডিজাইনটা একটু ভিন্ন ছিল সাধারণ কপ ক্যারেক্টার থেকে। আশা করছি, এই চরিত্র সবার ভালো লাগবে।
নতুন প্রজেক্টের সুখবর আছে?
আপাতত আমি অপারেশনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার সিনেমা দুটি রিলিজ পেলে আমি ইনশাআল্লাহ অপারেশনটা করব। তারপর নতুন কিছুর চিন্তা করব।
সংসার কেমন চলছে? পর্দার সুমন আর ঘরের সুমন কি ভিন্ন?
সংসার অনেক ভালো চলছে। আর সংসার জীবন ও পর্দার সুমন একেবারেই আলাদা। আমি অনেক বেশি ঘরকুণো মানুষ। ঘরে থাকতে পছন্দ করি। পর্দার সুমন তো ক্যারেক্টার যেভাবে আসে ওভাবে করে। আর পর্দার বাইরের সুমন অনেক চঞ্চল টাইপের।