সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

সময়োপযোগী গল্পেই সাফল্য আসবে

 শোবিজ প্রতিবেদক

সময়োপযোগী গল্পেই সাফল্য আসবে

অনন্ত জলিল, ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা। অনন্তর ছবি মানেই দর্শক ক্রেজ। তাঁর সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত দুটি ছবি ‘দিন : দ্য ডে’ ও ‘কিল হিম’ আবারও তাই প্রমাণ করেছে। বর্তমান সময়ে দেশীয় ছবির সুদিন ফেরা নিয়ে অনন্ত জলিলের বলা কথা তুলে ধরা হলো-

 

ঢাকার ছবি আবার দেশ-বিদেশে সফল হচ্ছে, অনুভূতি কেমন?

এটি আসলেই অসাধারণ একটি ভালো লাগার ব্যাপার। আমাদের ছবি যদি দর্শক দেখতে আবার সিনেমা হলে ফেরে তাহলে চলচ্চিত্র শিল্প ফের ঘুরে দাঁড়াবে। প্রযোজক, প্রদর্শক, নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলী সবাই প্রাণ ফিরে পাবে। দেশের এই প্রধান গণমাধ্যমটির জন্য এর চেয়ে বড় সফলতা আর কী হতে পারে।

 

এই নির্মাণের ধারা কীভাবে ধরে রাখা যায়?

দর্শক দেখতে চায় এমন গল্পের ছবি নির্মাণ করতে হবে। এর জন্য বিগ বাজেট প্রয়োজন নেই। ছবির গল্পে সমসাময়িক চিত্র, উন্নত নির্মাণ, নতুন প্রজন্মকে সুস্থ বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ বাণী থাকলে সেই ছবি অবশ্যই দর্শক দেখতে সিনেমা হলে ফিরে আসে।

 

ভালো গল্প বলতে কী বোঝাচ্ছেন?

ভালো গল্প মানে মৌলিক গল্প হতে হবে। যে গল্পে দেশ, সমাজ, পরিবার, থ্রিলার, অ্যাকশন, রোমান্স থেকে শুরু করে ফুল প্যাকেজের ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধু অ্যাকশন বা রোমান্স দিয়ে ছবি বানিয়ে লাভ নেই। কারণ একটি ছবিতে যদি সুস্থ বিনোদনের সঙ্গে সমৃদ্ধ বাণী না থাকে তাহলে সেই ছবি দর্শক দেখে কতটুকু আনন্দ পাবে বা কি শিখবে। এখন ছবির গল্প হবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন প্রজন্মকে ঘিরে, তাহলে বর্তমান পজিটিভ বাংলাদেশের আগামীটা আরও সুখ ও সমৃদ্ধির হবে।

 

ভালো ছবি নির্মাণে নির্মাতারও দায়বোধ নিয়ে  কী বলবেন?

অবশ্যই শতভাগ দায়ভার নির্মাতার। কারণ তিনি হলেন ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ। একটি দর্শক গ্রহণযোগ্য ছবি নির্মাণে একদিকে যেমন ক্রিয়েটিভিটি দরকার তেমনি অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন। আসলে ছবির সফলতা, দর্শক আস্থা ফেরানো- সর্বোপরি দেশের প্রধান গণমাধ্যম চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে একজন নির্মাতার দায়বোধ শতভাগ থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।

 

বিদেশেও এখন বাংলাদেশের ছবি সাড়া জাগাচ্ছে, বিষয়টি কেমন লাগছে?

বিদেশে বাংলাদেশের ছবির চাহিদা সবসময়ই ছিল, এখনো আছে। বিদেশে যখন দর্শক বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের ছবি দেখে তখন তারা তীব্রভাবে নিজের দেশকে মিস করে। দেশের প্রতি ভালোবাসা বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই দেশকে যাতে কেউ ভুলে না যায়, যে বাবা, মা অনেক কষ্টে তাঁর সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়েছেন সে সন্তানরা যাতে বাবা, মা পরিবারকে ভুলে না যায় এর জন্য দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ দেশ, সমাজ, পরিবারের গল্পে সুস্থ বিনোদন ও বাণীর ছবি নির্মাণ করতে হবে। সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই চলচ্চিত্রে কোনো বিষয়ে নেগেটিভ কিছু দেখানো উচিত নয়। যত পজিটিভ বিষয় চলচ্চিত্রে তুলে আনা যায় ততই তা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প, দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে আমি মনে করি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর