জনপ্রিয় মডেল-অভিনেতা আবদুন নূর সজল। ইদানীং ব্যস্ত ওয়েব সিরিজসহ একাধিক সিনেমা নিয়ে। আজ এই তারকা হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ সিনেমা নিয়ে সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে হাজির হচ্ছেন।  এই সিনেমা ও সমসাময়িক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

কেন জানেন না! সবাই তো জানে... হাহাহা। সিনেমা হলে যাচ্ছি। হৃদির ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছি সবাই মিলে, ছবিটি দেখব বলে।

সত্তরের দশকের আবহে সজল-প্রীতি। সিনেমার গানটিতে সাড়া কেমন?

ভালোই তো। গানটি নিয়ে দর্শকদের দারুণ রেসপন্স পেয়েছি। এই গানের দৃশ্যে দুজনার প্রেম, খুনসুটি সবার ভালো লেগেছে বলে শুনেছি। গানটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে।

সিনেমাটির গল্প ও এটিতে আপনার চরিত্র কেমন?

এটি একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প। সেই সময়কার একটি পরিবারের গল্প। গল্পটি ড. এনামুল হকের লেখা। সত্যি বলতে, অসাধারণ একটি গল্পে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন হৃদি হক। এতে আমি রঞ্জু চরিত্রে অভিনয় করেছি। আসলে সবারই চেষ্টা ছিল সবার সেরাটা দেওয়ার।

সিনেমাটি দেখতে হলে দর্শকদের ঢল নামবে মনে করছেন?

প্রত্যাশা তো রয়েছেই। বাকিটা দেখা যাক। আমার বিশ্বাস দর্শকরা হলে আসবেন। কারণ সিনেমাটির গল্প ভালো, হৃদির নির্মাণও ভিন্নকিছু। নির্মাতা গল্পটিকে একেবারে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলো আমরা যেভাবে দেখি তার বাইরে গিয়ে নির্মাতা সেই সময়ের একটি পরিবারের হাসি-কান্না, মায়া ফ্রেমবন্দি করেছেন। আর যেহেতু এখনো দর্শকদের হলমুখী হওয়ার ধারা অব্যাহত রয়েছেন সেহেতু ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ও সেই ধারা বজায় রাখবে।

যুদ্ধের সেই সময়কে পর্দায় তুলে আনা কতখানি কঠিন কাজ ছিল?

অনেক বেশি কঠিন ছিল। মুক্তিযুদ্ধকে পর্দায় দেখানো এত সহজ কাজ নয়। কিন্তু চেষ্টা ছিল যেন সেই সময়কে ধারণ করা যায়। সময়ের সঙ্গে তো সবই পরিবর্তন হয়েছে।

‘পাফড্যাডি’তে সুলতান সজল। চরিত্রটি কি নেতিবাচক?

চরিত্রটি নিয়ে এখনই খোলাসা করতে চাই না। এটা দর্শকদের জন্য চমক হিসেবেই থাকুক।

ওটিটির কাজও নিয়মিত করছেন...

বেশ কিছু কাজ করেছি। কাজগুলোও দর্শকের কাছে ভালো লেগেছে। আসলে দিনশেষে এটাই ভালো লাগার যে, যেই কাজটি পরিশ্রম দিয়ে করি তা যদি দর্শকের ভালো লাগে। সামনে আরও কিছু ভালো কাজ আসবে।

আপনার বিয়ে নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ রয়েছে। কবে বিয়ে করছেন?

কবে বিয়ে করছি! দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি। এখনই বলতে পারছি না।