জনপ্রিয় অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে অর্জন করেছেন দর্শক ভালোবাসা। আজ মুক্তি পাচ্ছে এমআর-৯, যেখানে তিনি অভিনয় করেছেন। এই সিনেমা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
অভিনয়ে আপনি অনিয়মিত। কারণ কী?
আসলে ভালো স্ক্রিপ্ট হলে কাজ করি, না হলে করি না। স্ক্রিপ্ট ভালো হলে কাজ করতে মজা লাগে। নিম্নমানের কাজ করার চেয়ে বাসায় বসে থাকা ভালো। তবে হাতে ভালো কিছু কাজ আছে। এখন সেগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আজ আপনার অভিনীত বিগ বাজেটের সিনেমা ‘এমআর-৯’ মুক্তি পাচ্ছে...
হুমম... বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রেক্ষাগৃহে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে আসিফ আকবরের ‘এমআর-৯’। যেখানে আমি ‘বিসিআই’র প্রধান হিসেবে থাকছি। পৃথিবীতে বড় ক্ষতি হতে যাচ্ছিল। সেই ক্ষতিটা ঠেকানোর জন্য বিসিআইয়ের সাহায্য চায় সিআই। এরপর ‘এমআর-৯’-কে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যেতে আমি হেল্প করি।
মাসুদ রানাকে এর আগে বইয়ে পড়েছেন পাঠকরা। সেখান থেকে বড় পর্দায় দর্শকরা কতখানি গ্রহণ করবেন?
কল্পনাটা কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারে না। সাহিত্যের জায়গাগুলো অনেক বড় হয়। সেই জায়গা থেকে সাহিত্য নির্ভর সিনেমাগুলোতে আমরা আশাহত হই। আমার মনে হয় ‘এমআর-৯’ আশাহত করবে না।
এই সিনেমায় যুক্ত ঢালিউড-বলিউডের শিল্পীরা বাংলাদেশকে কীভাবে দেখেছেন?
ক্রিকেটসহ আরও অনেক কিছু দিয়ে বিদেশিরা কিন্তু বাংলাদেশকে চেনেন। এখন আর সেই দিন নেই। বাইরের দেশের মানুষ এখন আমাদের অন্যভাবে দেখেন। এ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে সেটা বুঝেছি। ওনারা আমাদের কাছে যতটুকু আশা করেছেন তেমনটাই পেয়েছেন।
এখনকার নাটকের মান নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
সব যে খারাপ নাটক হচ্ছে তা কিন্তু না। ভালো নাটকও হচ্ছে। তবে সিনিয়র শিল্পীদের কম ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা যদি পাশের দেশে তাকাই তাহলে দেখব সেখানে সিনিয়র অভিনেতাদের ব্যবহার করে। আমাদের দেশে সেটা করা হচ্ছে না। অনেক সময় তিনজন দিয়েই নাটক শেষ করে দিচ্ছি। পরিবারে বাবা-মা বলে যে কিছু আছে সেটা স্ক্রিপ্ট রাইটাররা মনে হয় ভুলেই যাচ্ছেন।
ওটিটিতে সিন্ডিকেট নিয়ে কী বলবেন?
এটা করা মোটেই ঠিক নয়। দিন শেষে সত্যিকার অভিনয় শিল্পীদের কাছে যেতেই হবে।