শিরোনাম
রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

নতুনদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করছি

নতুনদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করছি

অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদ। ‘প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে’ কথাটি শুনলেই শ্রোতারা হারিয়ে যান সংগীতের সেই সোনালি সময়ে। এই সময়ের শ্রোতানন্দিত ‘ঈশ্বর’ গানটিরও সুরকার তিনি। এই গান ও বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

সবাই ‘ঈশ্বর’ গানটির মায়ায় বা প্রেমে পড়বে এটা কি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন?

যখন তৈরি হয় গানটি তখনই গানের মায়ায় পড়ে যাই আমি, শাকিব খান ও হিমেল আশরাফ। আশা রেখেছিলাম দর্শকরাও এ গানের মায়ায় পড়বে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখনো যখন গান করতাম তখন এভাবেই আমি আগে থেকে বুঝতে পারতাম যে, কি হতে যাচ্ছে। তখন তো বলতাম না মুখে কিন্তু মনে মনে ধরে রাখতাম যে, এটা চমৎকার কিছু হবে। এবং শেষমেশ তাই হলো। আমার কাছের অনেক শিল্পীই বলত এটা কীভাবে চিন্তা কর যে, এটাই হবে? আমি হয়তো বলতাম, এটা হবেই। এই হবেই বা ভালো লাগবেই যখন বলছি তখন অনেক সময় বুঝতে হবে যে, সবার ভালো লাগবে। ‘ঈশ্বর’র বেলায়ও এরকম হয়েছে। সবাই প্রেমে পড়ে গেছে।

 

গানটির সুর করতে গিয়ে কোন কোন বিষয়গুলো ভেবেছিলেন?

হিমেল গানটি তৈরি করতে আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল। আমি গানটির দৃশ্যের কথা কল্পনা করে মনে মনে একটি সুর ও রিদম তৈরি করি। তবে হিমেল লিরিকটা যখন পাঠায়, সত্যি বলতে তখনো আমি লিরিক দেখিনি। আমার চিন্তায় ছিল ‘এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়’ বা ‘যদি হিমালয় হয়ে’র মতো অন্যরকম কিছু একটা করব। এরকমই আমি চিন্তা করেছিলাম। তারপর যখন লিরিক লিখতে বসব তখন পাঠানো লিরিকটা দেখি। সেখানে কিছু শব্দ আমার মনের মতো পাই। যে ধরনের শব্দ আমি মাঝে মাঝেই ব্যবহার করি। তবে সোমেশ্বর অলি ভালো লিখেছে।

 

নতুন অনেক শিল্পী আপনার মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছে। বিষয়টি ভাবলে কেমন লাগে?

ভালোই তো লাগে। বড় বড় তারকা গায়কদের পাশাপাশি আমি সর্বদা চেয়েছি নতুনদের নিয়ে কাজ করতে। মাহাদী, রুমির মতো অনেকের কণ্ঠে আমার জনপ্রিয় গান আছে। অন্যদিকে আজ থেকে অনেক বছর আগে ১৯৯৯ সালে রকস্টার গায়ক মিজানের প্রথম একক গানটি আমি করেছিলাম। তাই আগেও যেমন নতুনদের নিয়ে কাজ করেছি তেমনি এখনো করছি। সত্যি কথা কি, কাজ করে যাচ্ছি। অবসর নিতে পারছি না। একটা সময় হয়তো শরীর সায় দেবে না। তবু অনেক দিন কাজ করতে চাই, সুরের মধ্যে থাকতে চাই।

 

কোনো গানের সুখবর দেবেন শ্রোতাদের?

নতুন একটি কাজ করছি। তবে ফিল্মের নয়। সবার প্রিয় একজন শিল্পীর। ভালো লাগবে সবার। আসলে আমি যখন কোনো প্রজেক্টে কাজ শুরু করি, তখন আমি নিজেকে পুরোপুরি সেই কাজে দিয়ে দেই। আমার চারপাশের মানুষের সঙ্গে আলোচনা চলতে থাকে। আবেগ এবং অনুভূতি এই পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে সঞ্চালিত হয়। সেই প্রজেক্টের প্রভাব গানটি প্রকাশের কয়েকদিন পর থেকে যায়। তারপর পুরনো বিষয়গুলো ভুলে নতুন প্রজেক্ট নিয়ে আমি যাত্রা শুরু করি।

সর্বশেষ খবর