বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

মনেই হচ্ছে না যে বিয়ে করছি

মনেই হচ্ছে না যে বিয়ে করছি

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা চাষী আলম, যিনি সবার কাছে ‘হাবু ভাই’ নামেই বেশি পরিচিত। গত শুক্রবার পারিবারিক আয়োজনে তুলতুলের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তাঁর। বিবাহিত জীবন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

ব্যাচেলর তকমা থেকে বেরিয়ে এখন বিবাহিত। কেমন লাগছে এই নতুন জীবন?

আগের মতোই কাটছে। আগেও যেরকম ছিলাম এখনো সেরকমই আছি। মনেই হচ্ছে না যে বিয়ে করছি।

 

বিয়ের পরও জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি?

মনে তো হচ্ছে না। যেদিন ডেট দিল যে, গায়ে হলুদ হবে আমার। তো নামলাম, পাঞ্জাবি পরলাম। অনেককেই দেখলাম, অনেকে মোবাইল, ক্যামেরা-ট্যামেরা নিয়ে আসছে। বললাম, গরম লাগতেছে। তাড়াতাড়ি কর। স্ক্রিপ্ট ভুলে যাচ্ছি কিন্তু... হাহাহা। বললাম, ক্যামেরা রোল দে। আসলে আমার কাছে মনে হচ্ছিল যে, আমি নাটকের সেটে আছি। মনেই হচ্ছিল না যে, আমি বিয়ে বসছি।

 

বিয়ে নিয়েও অনেক মুখরোচক সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কতখানি বিরক্ত ও বিব্রত?

কিছু ভুলভাল নিউজ আসতেছে। যেগুলো অথেনটিক নয়। বেশ কিছু নিউজ হয়েছে যেগুলোর শিরোনাম- ‘কাবিলাকে না পেয়ে হাবুকে বিয়ে করলেন তুলতুল’, ‘৫৬ বছর বয়সী হাবুকে বিয়ে করলেন তুলতুল’- এগুলো খুব ফানি নিউজ। তারপর খবর উড়ছে, এটা নাকি আমাদের দ্বিতীয় বিয়ে। শুধু তাই নয়, বাচ্চাও নাকি আছে। আমার মা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এটা নাকি তোর তিন নম্বর বিয়ে? সেটাই যদি হয় তবে তোর অন্য বউ-পোলাপান কোথায়?’ আরেকটি নিউজ দেখলাম, যাতে বলা হয়েছে, এক কলেজ ফ্রেন্ডের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। অথচ কলেজ জীবনে ওই নামে আমার কোনো বান্ধবী ছিল না। আবার বলা হচ্ছে, প্রেম ভাঙার ৩৩ বছর পর বিয়ে করলেন হাবু। নিউজ হচ্ছে, মানুষ মজা নিচ্ছে। যারা এসব নিউজ করছে তাদের আর কী বলব? শিক্ষিত মানুষ যদি অশিক্ষিত মানুষের আচরণ করে কিছু বলার থাকে না। এসব নিউজ দেখে মানুষ মজা নিক, অসুবিধা নেই। কারণ এসবের কোনো মূল্য নেই। এসব নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। আমার বউও মজা পাচ্ছে বিষয়গুলো নিয়ে।

 

বিয়ের রিসিপশনের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে?

আপাতত বড় করে কোনো অনুষ্ঠানের ইচ্ছা নেই। বরং রিসিপশনে যে টাকাটা খরচ হতো সেটা এতিমখানায় দিয়ে দিতে চাই। আমার অনেক শুভাকাক্সক্ষী। অনেক বন্ধুবান্ধব। তুলতুলের পরিবারেও অনেক মানুষ। আমি বড় করে অনুষ্ঠান করতে গেলে ইচ্ছাকৃতভাবে বা মনের অজান্তেই অনেকে হয়তো বাদ পড়তে পারেন। এই কারণে সেটা চাচ্ছি না। এখানে আমার বন্ধু-বান্ধবরা যদি মন খারাপ করে তাহলে কিছু করার নেই। আর আমি একবেলা খাওয়াতে রাজি নই। খাওয়ালে ভালোভাবে খাওয়াব। একটা এতিমখানায় তিন দিনের যে খরচ হয় সেটা দিয়ে দেব। এমন চার-পাঁচটা এতিমখানায় খাওয়াব। এছাড়া সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনে দেব- যাতে তারা সেগুলো অনেকদিন ব্যবহার করতে পারে। ইতোমধ্যেই একটা এতিমখানার খোঁজ পেয়েছি। যেটি সাভারের বিরুলিয়ায় অবস্থিত। এতিমখানাটি মেয়েদের। সচরাচর আমাদের আশপাশে নারীদের এতিমখানা দেখা যায় না। তো আমার ইচ্ছা, সেখানেই করার।

 

হানিমুনে কোথায় যাচ্ছেন?

হানিমুন নয়, বেড়াতে যাব। কিছু নাটকের শিডিউল দেওয়া আছে, সেগুলোর কাজ আগে শেষ করতে হবে। এরপর ইউরোপের কয়েকটি দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি আমি ও আমার স্ত্রী তুলতুল। ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগালসহ বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে আসব।

সর্বশেষ খবর