রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

এখন শিল্পের চেয়ে বাণিজ্যটাই বেশি

গুণী অভিনেতা, নির্মাতা ও নাট্যকার সালাহউদ্দিন লাভলু। ক্যামেরার কবি হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় তাঁকে। তাঁর হাস্যরসাত্মক অভিনয় ও নির্মাণ দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

এখন শিল্পের চেয়ে বাণিজ্যটাই বেশি

মিডিয়ার পালাবদলকে কীভাবে দেখেন?

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকটি সেক্টরই ডেভেলপ হচ্ছে, পরিবর্তন হচ্ছে। সব পরিবর্তনই যে খুব ভালো, তা বলা যাবে না। কিছু কিছু পরিবর্তন ভালো, কিছু খারাপ। আমাদের কালচারাল দিকটার কথা যদি বলি তাহলে বলব একসময় আমাদের গোল্ডেন সময় ছিল। সেটা ৮০, ৯০-এর দশকের দিক। সে সময় সংস্কৃতির সুস্থ বিকাশ ঘটেছিল। সে সময় আমাদের যৌবনকাল ছিল। তবে ইদানীং সময় পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবর্তন তো হচ্ছেই। আগে নাটকের কাহিনি ছিল অনেক বেশি ফ্যামিলিনির্ভর। এখন তো সেই বিষয়টি অনুপস্থিত। সবার হাতে হাতে, মোবাইলে চলে আসছে সব। এখন যে ধরনের কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে একা একা দেখা ছাড়া তো উপায় নেই। এগুলোর কাহিনি ও কনটেন্ট হয়ে গেছে ১৮ প্লাস। এটা কতটা ভালো হয়েছে বা খারাপ হয়েছে তা বলা মুশকিল। এটা সময়ই বলে দেবে।

 

ভাইরাল নিয়ে মন্তব্য?

আমি মনে করি, শিল্পের একটা আলাদা চরিত্র থাকা দরকার। প্রথমত এটা শিল্প, তারপর বাণিজ্য। ভাইরাল বিষয়টি এসে আমাদের সমাজের অনেক কিছুই কিন্তু খারাপ হয়েছে। এখন সবাই দেখে কোনটার ভিউ বেশি, কোনটা ভাইরাল হবে। ভাইরাল হতে হবে! আরে ভালো কাজ দিয়ে ভাইরাল হও। কিন্তু ভালো কাজ বাদে উল্টাপাল্টা কাজ দিয়ে ভাইরাল হওয়া বা ব্যক্তিগত ইস্যু দিয়ে নিজেকে সবার সামনে আনা কি ঠিক? নেগেটিভ ইস্যুকে পুঁজি করে ভাইরাল হওয়ার টেনডেন্সি এখন। মজার বিষয় হচ্ছে, বাণিজ্যিকভাবে ভাইরাল হওয়াটাই আবার মানুষের চাহিদা। এখন শিল্পের চেয়ে বাণিজ্যটাই বেশি। আমরা একটা আইডোলজি নিয়ে বেড়ে উঠেছি। এখন সেই আইডোলজির অভাবটা ভীষণভাবে ফিল করছি।

 

কী পরিচয়ে আপনাকে মানুষ মনে রেখেছে?

আমি নিজেকে একজন নাট্যকর্মী ভাবী। নাটক-চলচ্চিত্রের বাইরে আর কিছু বুঝি না। বেশির ভাগ মানুষ প্রথমত আমাকে অভিনেতা হিসেবেই চিনে, তারপর পরিচালক। অভিনয়টা না করলে চেহারাটা চিনত না; নামে চিনত।

 

এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে ছিল আপনার হৃদ্যতা। আজকে তাঁর জন্মদিন...

টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এ টি এম ভাইয়ের আগমন কিন্তু আমার নাটকের মাধ্যমে। আমার ‘রঙের মানুষ’ দিয়ে। এরপর থেকে তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন এমন কোনো নাটক নেই যে, এ টি এম ভাই সেখানে নেই। এ টি এম ভাই ছাড়া আমি কখনো ভাবতেই পারতাম না। তিনি অসাধারণ গুণী একজন মানুষ ছিলেন। বটগাছের মতন মানুষ। ভালো একজন মানুষ। আমাকে যে কী পরিমাণ ¯ন্ডেœহ করতেন তা বলে বোঝানো যাবে না। পর্দায়   চরিত্র দেখে যেটা বোঝা যায়, বাস্তবে  তিনি অন্যরকম ছিলেন।

 

 

সর্বশেষ খবর