সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

বয়সকে শুধু সংখ্যা চিন্তা করি

বয়সকে শুধু সংখ্যা চিন্তা করি

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিণী মুনমুন আহমেদ দেশীয় নৃত্যের প্রসারে অসামান্য ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সপ্রতিভ নাট্য ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে। নিয়মিত অভিনয়ের সঙ্গে সময় দিচ্ছেন নৃত্য প্রশিক্ষণে। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

মুনমুন আহমেদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে?

সবমিলিয়ে অনেক টাফ টাইম আমার জন্য। কারণ এখনকার সময়ে যে কাজগুলো করছি আমি অর্থাৎ চারটি অনুদানের ছবি করেছি। আমার অভিনীত কিছু সিরিয়াল প্রচার হচ্ছে। এর বাইরে রেগুলার নাচের চর্চা তো আছেই। আমার নাচের কিছু  প্রোডাকশন চলছে। আর আমার সংসার! সংসারে আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড আছে। তাঁদের নিয়েই আমার ব্যস্ততা। আপনি তো জানেন এই সময়ে কাজের লোকের অভাব। তাই সব কিছু আমাকে সামলিয়েই বাকি কাজগুলো করতে হচ্ছে। খুবই কঠিন সময় যাচ্ছে বলা যায়। ক্লান্ত হয়ে যাই। সেই ক্লান্তিকে কাটিয়ে আবার কাজ শুরু করি।

 

নতুন কোনো নৃত্য প্রযোজনা নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে কি?

হ্যাঁ। কাজ চলছে। ছোটদের জন্য একটি নৃত্য প্রযোজনার কাজ করছি। আমি এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না। এটা আয়োজন করে বলতে চাই। আর প্রতি বছর আমি নৃত্য কর্মশালা করি, সেটা এই নভেম্বর-ডিসেম্বরে করার পরিকল্পনা করছি। এর বাইরে নাচ নিয়ে একটু পড়াশোনা করছি। কিছু লেখালেখি করছি। অনেক চাপ এখন।

 

সবাই বলে আপনার বয়স বাড়ে না। রহস্য কি?

বয়স বাড়ে না! এখন আমি বুঝতে পারি যে কাজগুলো আমি আগে করতে পারতাম খুবই সহজে, এখন সেই কাজগুলো একটু ভেবেচিন্তে করতে হয়। বয়স কিন্তু একজন মানুষকে কোথাও না কোথাও আটকে ফেলে। আমি বয়সকে শুধু সংখ্যা চিন্তা করি। তাই যেভাবে আগে করতাম, এখনো সেভাবেই করি। তবে কখনো কখনো বয়স মনে করিয়ে দেয় যে, বয়স হচ্ছে। কখনো চিন্তা করি না যে, আমি থেমে যাচ্ছি।

 

হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজের কিছু স্মৃতি জানতে চাই...

হুমায়ূন স্যারের সঙ্গে কাজ করা একটা বড় পাওয়া। প্রথম কাজ একটি করা হয়েছিল তাঁর ‘রঙের বাড়ই’ নামে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে আমি হাছন রাজার একটি হিন্দি গানে পারফর্ম করেছিলাম। সেটি বিটিভিতে প্রচার হয়েছিল। আমার নাচের যে ক্লাসরুম ছিল সেখানেই তিনি এই অংশখানি করতে চেয়েছিলেন। এরপর তিনি আমার বাসায় এলেন। সব কিছু দেখলেন। তিনি পরে বললেন, আমি এই নাচটা আরও বড় পরিসরে করতে চাই। চারদিকে মোমবাতি জ্বালিয়ে তিনি পরে এই নাচটি ধারণ করেছিলেন। ওটা কিন্তু আছে ইউটিউবে। যে কেউ সার্চ করে দেখতে পারবেন। এর বাইরে তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর সঙ্গে অনেক নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। ‘আমার আছে জল’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’য় কাজ করেছি। এই কাজগুলো করতে গিয়ে আমরা একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। 

 

নৃত্যচর্চায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কেমন?

ভালো-খারাপ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। নৃত্যশিল্পের যথাযথ সমৃদ্ধির জন্য আরও বেশি সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। যদিও বর্তমান সরকার সংস্কৃতিবান্ধব হওয়ায় আগের তুলনায় পৃষ্ঠপোষকতা কিছু বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর