বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

সালমান শাহ বেঁচে থাকলে আমাকে ফিল্ম ছাড়তে হতো না

সালমান শাহ বেঁচে থাকলে আমাকে ফিল্ম ছাড়তে হতো না

অভিনয়জগতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডলি জহুর। চার যুগেরও বেশি সময় ধরে সাবলীল অভিনয়ে তিনি জয় করেছেন কয়েক প্রজন্ম। বিশেষ করে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের ভাসিয়েছেন আবেগের জোয়ারে। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

মেইনস্ট্রিম চলচ্চিত্রে আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে না...

মেইনস্ট্রিম চলচ্চিত্রে আমি আর কাজ করতে যাব না হয়তো। কিন্তু ওটিটি ফিল্ম যেগুলো হচ্ছে বা ওয়েব কনটেন্ট, যেগুলোতে আমি যদি আমার মনের মতো চরিত্র পাই সেগুলো করব। যদি ডিরেক্টর চয়েজ করে নিশ্চয়ই করব।

 

পর্দায় ছিলেন সালমান শাহর মা। বাস্তবে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন ছিল?

পর্দায় যেমন আমি ওর মা ছিলাম বাস্তবেও তাই ছিল। ও আমাকে আম্মু বলে যখন ডাক দিত, মনে হতো আমার ছেলেই আমাকে ডাকছে। মা-ছেলের মতোই আমাদের কথার আদান-প্রদান হতো। একবার অভিনয় করছিল আরেক সেটে। ওর মা চরিত্রটি অন্য আরেকজন করছিল। ওই সেট থেকে আমার কাছে আসার পর আমি বললাম, ‘বাহ! এবারে তোর মা তো দেখতে খুবই গ্ল্যামারাস, সুন্দর। তোর আজকে নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগছে কাজ করতে? তখন সালমান আমার কাঁধে হাত দিয়ে কানের কাছে মুখ রেখে বলল, ‘নাহ, মা মা লাগে না।’ মাঝে মাঝে আমার খুবই কষ্ট লাগে। আমি ইমোশনাল হতে চাই না কিন্তু হয়ে যাই। এই ছেলেটা (সালমান শাহ) বেঁচে থাকলে হয়তো আমাকে ফিল্ম ছাড়তে হতো না।

 

এ টি এম শামসুজ্জামানের শূন্যতা অনুভব করেন?

কখনো কখনো হঠাৎ আমার মনে হয়, এই মানুষটি তো নাই! তখন কষ্ট লাগে। এ টি এম ভাই ভালো থাকতেই চলে গেছেন, এটা আলহামদুলিল্লাহ! তাঁকে বেশি কষ্ট পেতে হয়নি। এখন যখন কোনো চরিত্র আসে তখন মনে হয়, ‘ইস, তিনি থাকলে হয়তো আমার সঙ্গে অভিনয় করতেন।’ আমার হিরো খুঁজে পাওয়া যায় না এখন। এক আবুল হায়াত আর কতটা টানবেন।

 

এই বয়সে নিজেকে একা অনুভব করেন?

কখনো একা ফিল করি না। এখনো করছি না। আমি হতাশায় বিশ্বাস করি না। কারণ আমার জীবনে যখন একবার চাকচিক্য থাকে, সকাল হলে রাত হয় রাত হলে সকাল হয় আমি এটিকে বিশ্বাস করি। সূর্য যখন থাকবে না চাঁদ উঠবে চাঁদ যখন থাকবে না সূর্য উঠবে। আমার জীবনেও তা হতে পারে। আমি মেনে নিই। আমি সব সময় প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করি। আমি সব কিছুর পরে রাতের বেলা হলে ওপরওয়ালাকে ধন্যবাদ জানাই। আমার পাওয়ার ভাগটাই বেশি, না পাওয়ার ভাগ অনেক কম।

 

বন্ধুদের সঙ্গে এখনো আড্ডা দেওয়া হয়?

বাইরের বন্ধু আছে আমার অনেক বেশি। ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের গ্রুপ, কলেজের বন্ধুদের আরেকটা গ্রুপ আর আমার স্কুল জীবনের বন্ধুদের গ্রুপ আছে। প্রায়ই আমরা এই তিনটা গ্রুপ একসঙ্গে হই। আমি বন্ধুবান্ধব নিয়ে থাকতে ভালোবাসি।

সর্বশেষ খবর