রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি

আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি

মডেল, উপস্থাপক, অভিনেত্রী এবং আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। যিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে পরিচিত করেছেন অনন্য ফ্যাশন সেন্স ও মডেলিং দিয়ে। সম্প্রতি কাশ্মীরে শো-স্টপার হিসেবে অংশ নেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? কি নিয়ে ব্যস্ততা?

খুব ভালো এবং অনেকদিন পর কাজ থেকে একটু বিরতিতে ছিলাম। ব্যস্ততা তেমন করে ছিল না। তখন কোর্টও বন্ধ ছিল। তাই রিলাক্স টাইম কাটিয়েছিলাম। তবে ফের ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। কাশ্মীরে একটা কাজ করতে গিয়েছিলাম। আরেকটি কাজে বাইরে যাব। এ বিষয়ে পরে জানাব।

 

কাশ্মীরের একটি ফ্যাশন শোতে শো-স্টপার হিসেবে দেখা গেল...

শো-স্টপার তো ছিলাম, তবে কাশ্মীরে প্রথমবারে মতো গিয়ে খুবই ভালো লেগেছে। কাশ্মীরের এত বড় আয়োজনের সঙ্গে যে থাকতে পেরেছি সে কারণে আমার অনেক ভালো লেগেছে। তবে সেখানে কাশ্মীরের কোনো স্থানীয় মডেল বা লোকাল কেউ ছিল না শুধু ডিজাইনার ছাড়া। মডেলরা ছিল সব মুম্বাই আর বলিউড থেকে। বলিউড থেকে ছিল মীর সারোয়ার, মারিয়াম জাকারিয়া ও মিস ইন্ডিয়া ২০১৪-এর নয়নিকা লোধাও ছিলেন সেখানে।

 

আপনার গ্লুমিং স্কুলের কার্যক্রম কেমন চলছে?

ট্রেনিং করাচ্ছি। এটি ‘পারসনালিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মডেল গ্লুমিং’-এর ওপর। আমি মনে করি, একটা মানুষ যতটুকু জানবে তা যদি মানুষের মধ্য দিয়ে যেতে পারি, সেটাই সার্থকতা। যেহেতু আমার এত বছরের অভিজ্ঞতা। সো হোয়াই নট! তো সেই চিন্তা থেকেই এই গ্লুমিং স্কুলটি খোলা।

 

এখনকার মডেল ও মডেল ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে সবার ভুল ধারণা রয়েছে। আপনি কি বলেন?

মডেলদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করলে তো আমারও খারাপ লাগবে। গ্লুমিং স্কুলটা এই জন্যই করা। কিছু হলেই মানুষ বলে, মডেলরা এরকম, মডেলরা ওইরকম। দেখুন, মডেল তো আমি, তাই না? আমি মডেল হিসেবে যত কাজ করেছি, বাংলাদেশে স্ট্রাগল করে সারভাইব করে এত কাজ খুব কম মডেলই করেছেন। ১৫ বছর কনটিনিউ করে যাচ্ছি।

 

ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন...

যে কাজটি করেছি সেটি রাশিদ পলাশ ভাইয়ের। নাম ‘রঙবাজার’। সম্প্রতি এটির শুটিং শেষ করেছি। এখনো ভয়েজ দেওয়া বাকি আছে। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো এটির কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর এটি যখন আসবে সবাই দেখতে পাবেন।

 

অভিনয়ে নিয়মিত দেখা যায় না...

আমি তো ৩০ দিন অভিনয় করি না যে, সবসময় ব্যস্ত থাকব। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে আরও কাজ করি।

 

সামনে আর কি কি কাজের পরিকল্পনা?

সময়ই বলে দেবে। সামনে তো অনেক প্ল্যান আছে। আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখি। তবে শুধু নিজের জন্য নয়। আমি এখন পরিণত মানুষ। তাই দেশের জন্য, সমাজের জন্য, মানুষের জন্য, পশুপাখির জন্য চিন্তা করা উচিত।

 

সেলিব্রেটিদের কি সহজলভ্য হওয়া উচিত?

আগে সেলিব্রেটি যাদের বলতাম মনে করতাম তারা আকাশের চাঁদ বা স্টারের মতো। তারকাদের সবসময় ধরা যায় না। এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তারকাদের সব জায়গায় দেখা যায়। এটা কিন্তু গুড থিং। আগের মতো যদি বলেন, যারা একটু মুড নিয়ে থাকে বা নাক উঁচু করে থাকে, সেটা কিন্তু এই সময়ের ফ্যানরা পছন্দ করে না।

সর্বশেষ খবর