সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

সিনেমা হলের পরিবেশ আগে ঠিক করতে হবে

সিনেমা হলের পরিবেশ আগে ঠিক করতে হবে

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা আবার অভিনয়ে ফিরবেন, এমনটাই সম্প্র্রতি জানালেন তিনি। অভিনয় থেকে দূরে আছেন প্রায় ৯ বছর হলো।  বর্তমানে তিনি কানাডায় প্রবাসী পুত্রের সঙ্গে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। কেমন কাটছে এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর সময়। দেশীয় চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তাঁর অনুভূতি কী? এসব বিষয়ে ববিতার বলা কথা তুলে ধরেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

 

আবার অভিনয়ে ফিরছেন?

আমি তো চলচ্চিত্র জগৎ ত্যাগ করিনি। মনের মতো গল্প ও চরিত্র পাচ্ছি না বলেই অভিনয় থেকে দূরে আছি। ৯ বছর হলো আমি অভিনয় থেকে দূরে আছি। ওই সময়ে অনেক নির্মাতা আমার কাছে অনেক গল্প নিয়ে এসেছেন। কিন্তু সে সব গল্প পছন্দ হয়নি বলে আমি তাতে সম্মত হইনি। বর্তমানে কয়েকটি গল্প হাতে আছে। এর মধ্যে দু-একটি পছন্দ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে হয়তো আবারও অভিনয়ে ফিরতে পারি।

 

কানাডায় পুত্র অনিকের সঙ্গে অবসর সময়টা কেমন কাটছে?

অনেক মজার সময় কাটছে। অনিকের সঙ্গে উইক অ্যান্ড এ  ঘুরে বেড়াই। ও তো জব ও পড়াশোনা করছে। তাই বলতে গেলে সপ্তাহের এক দিন ছাড়া ওকে পাওয়া সম্ভব নয়। ছুটির দিনে কানাডার দর্শনীয় স্থানগুলোতে আনন্দ করে আমরা ঘুরে বেড়াই। আমার মাছ ধরার খুব শখ। সময় পেলেই মাছ ধরতে যাই। আমি যখন কানাডায় না থাকি, তখন জব শেষ করে বাসায় ফিরে রান্নাবান্না করে খেতে ওর খুব কষ্ট হয়। এখানে তো কাজের লোক পাওয়া যায় না। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়। তাই আমি যখনই আসি ওর জন্য ওর পছন্দের সব খাবার রান্না করি। ও খুব তৃপ্তি নিয়ে তা খায়। এতে আমার খুব খুশি লাগে। অন্যদিকে আবার যুক্তরাষ্ট্রেও যাই। সেখানে আমার প্রবাসী দুই ভাই আছেন, তাঁদের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটাই। এছাড়া বাসার দৈনন্দিন কাজকর্ম, নামাজ দোয়া, টিভি দেখা, বই পড়া- এসব নিয়েই সময় কেটে যাচ্ছে।

 

চলচ্চিত্রের দুর্দশার মধ্যেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ছবি কিন্তু দর্শক দেখেছে?

হ্যাঁ, অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হয়েছে এবং কিছু ছবি দর্শক দেখছে। এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য সত্যিই আশার কথা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দর্শক সিনেমা হলে যায় না। মানসম্মত ছবি নির্মাণ হয় না। সিনেমা হলের পরিবেশও ভালো নয়। এই অবস্থায় মুক্তি পাওয়া কিছু ছবি দর্শক সাড়া জাগাতে পারছে। এটি দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য সত্যিই সুখের কথা। এই সফলতা ধরে রাখতে হবে। আর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দর্শক আসলে কী চায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

 

চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কেমন মনে হয়?

অনেকে অনেক কারণে হতাশার কথা বলেন। অনেক ব্যবসায়ী আমাদের ফিল্মে ঢুকে গেছেন। তাঁরা শিল্পমান নয়, ব্যবসাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেন। সেদিক থেকে বিষয়টি হয়তো তারা বলছেন, দেখা যাক কী হয়। আগে পরিবার নিয়ে দর্শক সিনেমা হলে যেত, তখন হলের পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল। সিনেমা হলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল। সবার তো আর গাড়ি ছিল না; রিকশায়, হেঁটে যে যেভাবে পারত সিনেমা হলে যেত। কিন্তু এখন অনেকে হলে যায় না। কারণ বেশির ভাগ সিনেমা হলের পরিবেশ দর্শক উপযোগী নয়।

 

এই মন্দাবস্থার জন্য দায়ী কারা?

আসলে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে কী বানাচ্ছেন? ভালো গল্প তো নেই। আজকাল যেন মনে হয় ‘সেক্স’ ও ‘ভায়োলেন্সের’ দিকে ঝুঁকছে অনেকে। আমি তো অবাক হয়ে যাই, আমাদের মেয়েগুলো ভারতে গিয়ে ছবি করল, ওদের পোশাক দেখে ভয় লেগে গেছে। এ কি হচ্ছে! আমাদের সময় শাবানা আপা, কবরী আপা, সুচন্দা আপাদের কি সিনেমা চলেনি? আমরাও তো আধুনিক পোশাক পরেছি কিন্তু শালীনতা বজায় ছিল। খোলামেলা পোশাক দেখে মা-খালারা বলেন, সিনেমা হলে বাচ্চাদের নিয়ে যাব না; এমন কথাও শুনেছি।

সর্বশেষ খবর