মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ক থো প ক থ ন

রাজনীতিবিদ চরিত্রটি আগে করা হয়নি

রাজনীতিবিদ চরিত্রটি আগে করা হয়নি

তারকা মডেল-অভিনেতা আবদুন নূর সজল। ইদানীং ব্যস্ত ওয়েবফিল্ম-সিরিজসহ একাধিক সিনেমা নিয়ে। চলতি বছরে এই তারকা চ্যালেঞ্জিং ও বৈচিত্র্যময় চরিত্র নিয়ে ‘জ্বীন’, ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ এবং ‘পাফড্যাডি’তে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

হৃদির নির্মিত সিনেমাটি দেখতে দর্শকদের ঢল নেমেছে...

সিনেমাটির গল্প ভালো, হৃদির নির্মাণও ভিন্ন কিছু। নির্মাতা গল্পটিকে একেবারে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গল্পগুলো আমরা যেভাবে দেখি তার বাইরে গিয়ে নির্মাতা সেই সময়ের একটি পরিবারের হাসি-কান্না, মায়া ফ্রেমবন্দি করেছেন। অনেকদিন ধরেই দর্শকদের হলমুখী হওয়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে। সেই হিসেবে ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ও সেই ধারা বজায় রেখেছে।

 

যুদ্ধের সেই সময়কে পর্দায় তুলে আনা কতটা কঠিন ছিল?

এটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প। সেই সময়কার একটি পরিবারের গল্প। গল্পটি ড. এনামুল হকের লেখা। অনেক বেশি কঠিন ছিল যুদ্ধের সেই সময়কে পর্দায় তুলে আনা। মুক্তিযুদ্ধকে পর্দায় দেখানো এত সহজ কাজ নয়। কিন্তু চেষ্টা ছিল যেন সেই সময়কে ধারণ করা যায়। সময়ের সঙ্গে তো সবই পরিবর্তন হয়েছে। আমি রঞ্জু চরিত্রে অভিনয় করেছি। আসলে সবারই চেষ্টা ছিল সেরাটা দেওয়ার।

 

সহিদ উন নবীর ‘পাফড্যাডি’তে সুলতান সজল। এই চরিত্রটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন?

চরিত্রটি একটু ভিন্ন ধরনের। এই চরিত্রটি আগে কখনো করা হয়নি। দর্শক প্রতিক্রিয়া ভালো। মনে হচ্ছে, ঠিকঠাক মতোই চরিত্রটি করতে পেরেছি। ‘পাফড্যাডি’ অবমুক্তের পর থেকেই সবার কাছ থেকে প্রচুর ফোনকল, ফেসবুক ইনবক্সে শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছি। এটা সত্যিই ভালো লাগার। অন্যদিকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে সুলতান চরিত্রটি নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে, সেটা অবশ্যই ইতিবাচক।

 

রাজনীতিবিদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন...

এই চরিত্রটি আগে কখনো করিনি। এই চরিত্রে দর্শক আমাকে আলাদাভাবে পেয়েছেন।

 

এ বছর আপনার বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেখানেও তো ভিন্নভাবে আপনাকে খুঁজে পেয়েছে দর্শক...

‘জ্বীন’ ছবিতে ফ্যাশন ফটোগ্রাফার রাফ, ‘১৯৭১ সেইসব দিন’-এ মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জুর চরিত্রে অভিনয় করেছি।  সবকটিতে নতুন চরিত্র রূপায়ণ করেছি। ‘পাফড্যাডি’তে রাজনীতিবিদ চরিত্রে দর্শক ভিন্ন সজলকে পেয়েছেন।

 

সহশিল্পী হিসেবে পরীমণি কেমন ছিলেন?

ভীষণ ভালো ও সহযোগিতাপরায়ণ। কাজের সময় তো তিনি দারুণ সিরিয়াস। বলা যায় একজন ম্যাজিক্যাল শিল্পী। শুটিংয়ের সময় সবার সঙ্গেই মিশে যেতে পারেন। শুটিংয়ের বাইরে সারাক্ষণ দুষ্টামি, মজার মধ্যে থাকেন।

 

ইদানীং নাটক কেন কম করা হচ্ছে?

এখনকার নাটকে যে ধরনের গল্প নিয়ে কাজ হয়, তা আমাকে তেমন করে টানে না। আমরা যাঁরা অভিনয়কে ভালোবাসি তাঁরা এমন গল্প চাই, যেগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ নিতেও রাজি আছি। আসলে সে কাজগুলোই করা দরকার যেগুলোর গল্প, চরিত্র, নির্মাণ একটু আলাদা হবে। ওটিটি-সিনেমায় এমন কিছু গল্প পাচ্ছি যেগুলো মনে হয়েছে করা যায়।

 

ওটিটিতেও প্রশংসিত হয়েছেন...

আসলে দিনশেষে এটাই ভালো লাগার যে, যেই কাজটি পরিশ্রম দিয়ে করি তা যদি দর্শকের ভালো লাগে। আরও কিছু কাজ আসবে।

 

বাকি সিনেমাগুলো কবে আসবে?

সিনেমার কাজগুলো শেষে করেছি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘সংযোগ’, ‘সুবর্ণভূমি’। ‘সুবর্ণভূমি’ আগামী ডিসেম্বর মুক্তির কথা রয়েছে। নতুন আরও দুটি কাজ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর