মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকার চলচ্চিত্রের বরপুত্র

সালমান শাহর জন্মদিন আজ

শোবিজ প্রতিবেদক

ঢাকার চলচ্চিত্রের বরপুত্র

ঢাকার চলচ্চিত্রের ‘বরপুত্র’ নামে খ্যাত প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ। বাংলাদেশের বিজয়ের বছর ১৯৭১ সালের এইদিনে পৃথিবীতে পা রাখেন তিনি। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তাঁর বাবার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী এবং মায়ের নাম নীলা চৌধুরী। তিনি ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে। সালমানের জন্মনাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। তবে চলচ্চিত্রে তিনি সবার কাছে সালমান শাহ নামেই পরিচিত ছিলেন। বেঁচে থাকলে আজ ৫২ বছরে পা দিতেন অসংখ্য ভক্তের এই স্বপ্নের নায়ক। সালমানবিহীন এ দেশে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর জন্মদিন উদযাপন হয়ে আসছে। যা অন্য কোনো প্রয়াত নায়কের বেলায় চোখে পড়ে না কখনো। এদিক বিবেচনায় এটা বড় একটি রেকর্ড। ১৯ সেপ্টেম্বর দিনটি এলে সালমান-ভক্তরা তাঁর জন্মদিনের কেক কাটেন এখনো। ১৯৯৩ সালে একই সঙ্গে দুজনের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। সালমান-মৌসুমী জুটি বেঁধে অভিনয় করেন সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে। সেই থেকে একবারের জন্যও পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেন সালমান শাহ। সেগুলোর প্রায় সবকটিই সুপারহিট। ১৯৯৬ সালে সালমান শাহর আকস্মিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সেই শোক সইতে না পেরে আত্মঘাতী হন বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী। তারা সবাই সালমানের অন্ধ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় তারকার মৃত্যুর খবরে এভাবে তরুণ-তরুণীদের আত্মাহুতি দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেই সালমান শাহ মরেও অমর হয়ে আছেন এ দেশের লাখো ভক্তের হৃদয়ে। আধুনিক বাংলা চলচ্চিত্রের বরপুত্র ও ফ্যাশন আইকন সালমান শাহ আজও দর্শকের হৃদয়ের মণিকোঠায় জ্বলজ্বলে। ক্ষণজন্মা এই নায়ক মাত্র ২৭টি চলচ্চিত্র ও বেশ কিছু নাটকের মধ্য দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন তারুণ্যের প্রতীক। আজও তিনি তাই আছেন। সালমান শাহ পড়াশোনা করেন খুলনার বয়রা মডেল হাইস্কুলে। তাঁর অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম অন্তরে অন্তরে, সুজন সখী, স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের ঠিকানা, চাওয়া থেকে পাওয়া, জীবন সংসার, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, মায়ের অধিকার, এই ঘর এই সংসার, তোমাকে চাই, আনন্দ অশ্রু, বুকের ভেতর আগুন ইত্যাদি। ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানায়। মৃত্যুর দীর্ঘ এত বছর পরও তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ও আবেদন একটুও ফুরায়নি। বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে আরও অনেক বেশি রঙিন হয়েছে তাঁকে নিয়ে ভালোবাসার রং। এখনো টিভি পর্দায় তাঁর অভিনীত ছবি প্রচার হলে দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখেন।

 

সর্বশেষ খবর