বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কথোপকথন

যুদ্ধটা আসলে নিজেকেই করতে হয়

যুদ্ধটা আসলে নিজেকেই করতে হয়

জনপ্রিয় অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার প্রথম পতাকা বহনকারী প্রয়াত মহিব উল ইসলাম ইদু। এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্র ‘মাটির রাজকুমার’ সম্প্রতি সরকারি অনুদান পেয়েছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাইফ ইমন

 

আপনার চলচ্চিত্র সরকারি অনুদান পেয়েছে...

আমি খুবই ভাগ্যবতী মনে করছি নিজেকে, যেহেতু একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পেয়েছি। এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। তবে অনেকেই বলেন অনুদান প্রদান সুষ্ঠুভাবে হয় না। আমি সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই কমিটিতে কিন্তু বিশিষ্ট সিনিয়র চলচ্চিত্রকাররা থাকেন। অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পরই একটা চলচ্চিত্র অনুদান পেয়ে থাকে। আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হয়েছি, সম্পৃক্ত রয়েছি। আমার ফাউন্ডেশনও শিশুদের নিয়ে কাজ করে। তাই এই অনুদান পাওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ সরকারের প্রতি।

 

আমাদের দেশে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহ কম কেন?

আমাদের এখানে আসলে সবকিছুতেই কমার্শিয়াল ভ্যালু খুঁজে মানুষ। দিপু নাম্বার টু, ছুটির ঘণ্টা চলচ্চিত্রগুলোতে কিন্তু কমার্শিয়াল ভ্যালু ছিল।আমরা আসলে বর্তমানে শর্টকাটে সবকিছু পেয়ে যেতে চাই। পরিবারসহ শিশুদের নিয়ে হলে নিয়ে আসাটাও একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। করপোরেট প্রতিষ্ঠানও আগ্রহী থকেন না শিশুতোষ চলচ্চিত্রে। আমি এসব চ্যালেঞ্জ জয় করে চেষ্টা করব সমন্বয় করার। আমি খুবই আশাবাদী আমার চলচ্চিত্র যদি

আমি গ্রহণযোগ্য করতে পারি এটাই আমার সার্থকতা। যুদ্ধটা আসলে নিজেকেই করতে হয়।

 

আপনার চলচ্চিত্র মাটির রাজকুমার সম্পর্কে জানতে চাই...

শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক জগৎ, পরিবর্তন, অনুভূতি, উপলব্ধি এসব দিক নিয়ে এই চলচ্চিত্র। আমি গল্পটা এখনই বলতে চাই না। বেশ কিছু বিশেষ ইতিবাচক দিক রয়েছে এখানে।

 

বয়ঃসন্ধীকাল নিয়ে নানারকম ট্যাবু সমাজে বিদ্যমান, এ নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ আরও বেশি হওয়া দরকার.... 

অবশ্যই, আমি এই বিষয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমি এই ট্যাবুগুলো নিয়ে সবসময় বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তখন দেখা যায় মানুষ নানারকম উল্টাপাল্টা কথা বলতে থাকে না জানার কারণে। এখন তো সবাই আমরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে দেখা যায় এখনো স্যানিটারি ন্যাপকিনের বদলে কাপড় বা অস্বাস্থ্যকর তেনা ব্যবহার হচ্ছে। তাই এ বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি বেশি কাজ করা উচিত। জনসচেতনতা বাড়ানো উচিত। আমরা একটু কম দামে যদি স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিতে পারি সেটা একটা বড় কাজ হবে।

সর্বশেষ খবর